<p>বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় এক রাতে ১০টি বৈদ্যুতিক মিটার চুরির পর চিরকুটে একটি মোবাইল ফোন নম্বর রেখে যায় সংঘবদ্ধ চোর চক্র। বুধবার (১৩ মার্চ) রাতে উপজেলার চাঁপাপুর ইউনিয়নের তিনটি গ্রামের গভীর নলকূপে এসব চুরির ঘটনা ঘটে। মিটারের গ্রাহকেরা ওই নম্বরে যোগাযোগ করলে তাঁদের কাছে প্রতিটি মিটারের দাম ১৪ হাজার টাকা দাবি করা হয় বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।</p> <p>বৃহস্পতিবার দুপুরে বন্তইর গ্রামের গভীর নলকূপের মালিক রফিক ও শাহজাহান আলী জানান, একরাতেই উপজেলার বন্তইর, হাউসপুর ও বরিয়াবার্তা গ্রামে গভীর নলকূপের বৈদ্যুতিক মিটার চুরি হয়। চোর চক্র মিটারগুলো চুরির পর চিরকুটে একটি নম্বর রেখে যায়। সেই চিরকুটে আবার ছোট করে ‘মিটার চোর’ শব্দটিও উল্লেখ করা হয়। মিটারের গ্রাহকেরা ওই নম্বরে যোগাযোগ করলে তাঁদের কাছে প্রতিটি মিটারের দাম ১৪ হাজার টাকা দাবি করা হয়। এ টাকা ওই নম্বরে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পাঠাতে বলা হয়েছে। </p> <p>এদিকে পরের দিন সকালে এসব চুরি যাওয়া মিটারগুলোর মধ্যে বন্তইর গ্রামের একটি ফসলি মাঠের জমিতে খড়ের স্তুপের মধ্যে ওই গ্রামের বেলাল নামের এক ব্যক্তির বৈদ্যুতিক মিটার পাওয়া যায়। বাকিগুলো না পাওয়ায় ভুক্তভোগী গ্রাহকরা নিরুপায় হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নেন।</p> <p>আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেশ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘মিটার চুরির ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে চোর শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।’</p>