<p>টিভি সিরিয়াল ক্রাইম প্যাট্রল দেখে পরিকল্পনা সাজিয়ে স্ত্রীকে আশুলিয়ার একটি বাঁশবাগানে নিয়ে হত্যা করেন মো. ফিরোজ ওরফে লাল মিয়া (৪৫)। হত্যার পর চোখ উপড়ে সেই বাঁশবাগানেই আনজু খাতুনের (৩২) লাশ ফেলে যান তিনি। হত্যাকাণ্ডকে ক্লুলেস রাখতে বেশ কিছু কৌশল ব্যবহার করলেও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর তদন্তে এসব ধরা পড়ে যায়।</p> <p>রবিবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে আশুলিয়া থানায় সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহিল কাফী। এর আগে শনিবার রাতে র‌্যাব-৪ ও আশুলিয়া থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে আশুলিয়া থেকে ফিরোজকে গ্রেপ্তার করা হয়।</p> <p>গ্রেপ্তার ফিরোজ মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর থানার রৌহা গ্রামের মৃত হাকিম উদ্দিনের ছেলে। স্ত্রী আনজুকে নিয়ে আশুলিয়ার পাশে গাজীপুরের কাশিমপুর বাগবাড়ী এলাকায় বসবাস করতেন তিনি। নিহত আনজু আশুলিয়ায় হা-মীম গ্রুপের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।</p> <p>পুলিশ জানায়, গত ২৬ এপ্রিল সকালে আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকার একটি বাঁশবাগান থেকে আনজুর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার তদন্তে নামে থানা পুলিশ ও ছায়া তদন্ত শুরু করে র‌্যাব-৪। তদন্তে ঘটনার সঙ্গে স্বামী ফিরোজের যোগসূত্র খুঁজে পেয়ে তাঁকে আটক করলে জিজ্ঞাসাবাদে সব স্বীকার করেন তিনি।</p> <p>প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফিরোজ জানিয়েছেন, একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে আনজুর পরকীয়ার সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ করে তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা করেন ফিরোজ। হত্যাকাণ্ডের আগে তিনি আনজুর এক স্বজনের পুরনো সিম দিয়ে ফোন করে কারখানা থেকে বের করেন। দোষ ঢাকতে নিজের ব্যবহূত মোবাইল ও সিম মানিকগঞ্জে চালু করে রেখে এসেছিলেন ফিরোজ। </p> <p>সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহিল কাফী বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের পর নিহতের ভাই বাদী হয়ে ২৭ এপ্রিল আশুলিয়া থানায় মামলা করেন। মামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই র‌্যাবের সহযোগিতায় আমরা আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছি। তিনি হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন। আদালতেও ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর।’</p>