<p style="text-align: justify;">জহিরুল একটি ওষুধ কম্পানিতে চাকরি করতেন। হঠাৎ তার মানসিক সমস্যা দেখা দেওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে পরিবার। ওই হাসপাতালের নতুন ভবনের সপ্তাম তলায় গত তিনদিন ধরে চিকিৎসা চলছে তার। এর মধ্যেই ভয়ংকর এক কাণ্ড ঘটিয়ে বসলেন তিনি। সবার অজান্তে রাতের বেলায় হাসপাতালের সপ্তম তলা থেকে লাফিয়ে পড়েন তিনি। এতে বড় কোনো দুর্ঘটনা না ঘটলেও কোমর ও পায়ের হাড় ভেঙে গেছে তার। </p> <p style="text-align: justify;">ঢামেকের আনসারের প্লাটুন কমান্ডার মো. উজ্জ্বল মিয়া জানান, গতকাল সোমবার রাত ১১টার দিকে জহিরুলকে হাসপাতালের দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা নতুন ভবনের চার তলা থেকে উদ্ধার করেন। পরে নিউরো সার্জারী বিভাগে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি এ হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তা কোমরের হাড় ও পায়ের হাড় ভেঙে গেছে।</p> <p style="text-align: justify;">জহিরুল ইসলাম ময়মনসিংহের পাগলা উপজেলার বড়ইহাতি চকপাড়া গ্রামের মৃত আসাদুজ্জামানের ছেলে। পরিবোরে এক ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি বড়।</p> <p style="text-align: justify;">জহিরুলের ভগ্নিপতি নিলয় বাবু বলেন, জহিরুল একটি ওষুধ কম্পানিতে চাকরি করতেন। হঠাৎ করে তার বিভিন্ন সমস্যা দেয়। মাঝে মধ্যে এলোমেলো কথাবার্তা বলতেন। পরে স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে গত তিন দিন আগে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিউরো মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করানো হয়। তাকে সেবা করার জন্য আমার শাশুড়ি তার পাশে ছিলেন। রাতে আমার শাশুড়ি একটু বাইরে যান। এই সুযোগে তিনি হাসপাতালের সাত তলা থেকে লাফিয়ে চতুর্থ তলায় পড়েন। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। </p> <p style="text-align: justify;">চিকিৎসকের বরাতে ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, জহিরুল নামের ওই রোগীর পা, কোমর ও মাথায় আঘাত লেগেছে। তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। </p>