<p>কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (নম্বর-১), কক্সবাজারের ম্যাজিস্ট্রেট শ্রীজ্ঞান তঞ্চঙ্গাঁ গত ৪ মার্চ এই উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদীকে গ্রেপ্তারে এই পরোয়ানা জারি করেন।</p> <p>আগামী ১৪ মার্চ তাকে গ্রেপ্তার করে সংশ্লিষ্ট আদালতে সোপর্দ করার জন্য জেলা পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।</p> <p>এদিকে এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকার পরেও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী রবিবার (১০ মার্চ) অনুষ্ঠিত কক্সবাজার জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় উপস্থিত ছিলেন। একই সভায় জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও জেলা পুলিশের মুখপাত্র মো. রফিকুল ইসলাম চৌধুরীসহ জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সদস্যরা।</p> <p>গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদীর উপস্থিতির সমালোচনা করে ছবি এবং আদালতের পরোয়ানার কপিসহ বিষয়টি রবিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।</p> <p>একই আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ শফি দ্রুত বিচার আইনের ৪/৫ ধারার অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।</p> <p>আদালত সূত্র জানায়, ২০১৪ সালে দ্রুত বিচার আইনের ৪/৫ ধারায় থানায় রুজু হওয়া মামলাটির  অভিযোগপত্র দাখিলের পর বর্তমানে বিচারিক কাজ শেষপর্যায়ে। আগামী ১৪ মার্চ উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দের জন্য জেলা পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন আদালত।</p> <p>নিজের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকার পরেও জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় উপস্থিত থাকার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদীর। এ সময় তিনি দাবি করেছেন- গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ার বিষয়টি তিনি অবগত ছিলেন না। তাই জেলার আইন-শৃঙ্খলা সভায় উপস্থিত ছিলাম। ষড়যন্ত্রমূলক এই মামলাটি আগামী ১৪ মার্চ শেষ হয়ে যাবে।</p> <p>এদিকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাটি তামিল করার জন্য কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার চকরিয়া থানার ওসির বরাবর পাঠিয়ে দিয়েছেন।</p> <p>চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী জানিয়েছেন- উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জারি করা আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কপিটি এখনো থানায় এসে পৌঁছায়নি। অবশ্য বিষয়টি অবগত রয়েছি। হাতে পাওয়ার পর পরোয়ানা তামিল করে আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।</p>