<p>কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে (কুসিক) মেয়র পদে উপনির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র জমা দেন চারজন। চারজনের মনোনয়নপত্রই বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ৯ মার্চ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএমে) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে।</p> <p>বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) নিজ কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে এই তথ্য জানান রিটার্নিং অফিসার ও কুমিল্লার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফরহাদ হোসেন।</p> <p>গত মঙ্গলবার শেষ দিনে আওয়ামী লীগের দুজন এবং বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত দুজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন। উপনির্বাচনে এবার কোনো রাজনৈতিক দল সরাসরি অংশ নিচ্ছে না।</p> <p>এদিকে চার প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণার পর ভোটের লড়াই জমে ওঠার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। দলীয় প্রতীক না থাকলেও আওয়ামী লীগ ও বিএনপির একাধিক নেতা স্বতন্ত্র হিসেবে মাঠে থাকায় লড়াই জমবে বলে জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।</p> <p>মনোনয়নপত্র বৈধ হওয়া চার প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র দুজন হলেন কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. তাহসীন বাহার সূচনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এমপির মেয়ে। অপরজন হলেন মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা নুর-উর রহমান মাহমুদ তানিম।</p> <p>অন্যদিকে বিএনপি থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র দুজন হলেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও সাবেক দুইবারের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু এবং মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি নিজাম উদ্দিন কায়সার। গত সিটি নির্বাচনে এই দুজন দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে মেয়র পদে ভোট করায় দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার হন।</p> <p>দলীয় সিদ্ধান্তের কারণে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে মেয়র পদের উপনির্বাচনে কাউকে দলীয় মনোনয়ন দেয়নি বিএনপি। আর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ‘কেন্দ্রে ভোটারদের টানতে এবং দলীয় বিভেদ দূর করতে’ স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে উপনির্বাচনে কাউকে দলীয় প্রতীক দেয়নি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।<br />  <br /> নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে ডা. তাহসীন বাহার সূচনা বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, কুমিল্লার মানুষ আমাকে নগরকন্যা হওয়ার সুযোগ দেবেন। আমার বাবা সারা জীবন কুমিল্লার মানুষের জন্য কাজ করেছেন। আমি বিশ্বাস করি, কুমিল্লা সিটির মানুষ বাবার মতোই আমাকে আপন করে নেবেন; আমাকে তাঁদের সেবা করার সুযোগ দেবেন। আমি নির্বাচিত হয়ে স্মার্ট কুমিল্লা গড়ার স্বপ্ন দেখি।’ </p> <p>মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা নুর-উর রহমান মাহমুদ তানিম বলেন, ‘কুমিল্লার মানুষ পরিবর্তন চায়। এ জন্য মানুষ প্রস্তুত হয়ে আছে। আমি ৪০ বছর ধরে কুমিল্লার মানুষের জন্য রাজনীতি করি। রাজনীতি করতে গিয়ে বারবার হামলা-মামলার পাশাপাশি অসংখ্যবার ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। তবে কুমিল্লার মানুষ সব সময় আমার পাশে ছিল। ইনশাআল্লাহ এবারও কুমিল্লার মানুষ আমার পাশে থাকবে।’</p> <p>বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ‘দুইবার সিটি মেয়র ছিলাম। আমার অসম্পূর্ণ কাজগুলো শেষ করার জন্য নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। আমি বিশ্বাস করি, কুমিল্লা নগরবাসী আমাকে আবারও তাঁদের সেবা করার সুযোগ দেবেন।’<br />  <br /> মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি নিজাম উদ্দিন কায়সার বলেন, ‘কুমিল্লার মানুষ পরিবর্তন চায়, দানবীয় শাসনের অবসান চায়। তবে সেই পরিবর্তন কোনো সাবেক দিয়ে নয় এবং ক্ষমতাসীন দলের কাউকে দিয়ে নয়। কুমিল্লার মানুষ আমাকে তাঁদের সেবক হিসেবে দেখতে চান।’</p>