<p style="text-align: justify;">প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জ-৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে অষ্টমবারের মত নির্বাচিত হয়েছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে তিনি জয়লাভ করেন। এই নির্বাচনে ৮৭ দশমিক ৮০ শতাংশ ভোট পেয়ে তিনি নির্বাচিত হলেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী নিয়ম অনুযায়ী ভোট না পেয়ে জামানত হারান। </p> <p style="text-align: justify;">গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী মাহবুবুল আলম রবিবার সন্ধ্যায় বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন।</p> <p style="text-align: justify;">স্থানীয় নেতারা জানান, দেশে ফিরে শেখ হাসিনা ১৯৮৬ সালে অনুষ্ঠিত তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে প্রথমে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯১ সালে পঞ্চম, ১৯৯৬ সালের সপ্তম ২০০১ সালে অষ্টম, ২০০৮ সালে নবম, ২০১৪ সালে দশম, ২০১৮ সালে  একাদশ ও ২০২৪ সালে  অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। প্রতিটি নির্বাচনে তিনি বিপুল সংখ্যক ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন এবং প্রতিটি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা জামানত হারান। </p> <div style="text-align:center"> <figure class="image" style="display:inline-block"><img alt="কালের কণ্ঠ" height="400" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/05-11-2023/Capture4 copy.JPG" width="600" /> <figcaption>দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বজনের কোলে চড়ে ভোটকেন্দ্র যান শতবর্ষী এক নারী। সংগৃহীত ছবি</figcaption> </figure> </div> <p style="text-align: justify;">দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জ-৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হয়ে নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। এই আসনে মোট ২ লাখ ৯০ হাজার ২৯৭ ভোটের মধ্যে ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দেন ২ লাখ ৫৪ হাজার ৮৯৫ জন ভোটার। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু কন্যা ও আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পেয়েছেন ২ লাখ ৪৯ হার্জা ৯৬৫ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির এম নিজাম উদ্দিন লস্কর একতারা প্রতীকে ৪৬৯ ভোট । আর ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি)  প্রার্থী শেখ আবুল কালাম আম প্রতীকে  ৪৬০ ভোট , জাকের পার্টির মাহাবুর মোল্লা গোলাপফুল প্রতীকে ৪২৫ভোট, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মোঃ শহীদুল ইসলাম (মিটু) ডাব প্রতীকে -১২২ভোট, ও গণফ্রন্টের সৈয়দা লিমা হাসান মাছ প্রতীকে ৮৬ ভোট পেয়ে জামানত হারান।  এই আসনে ভোট বাতিল হয়েছে ১ হাজার ৭২৩ ।  এই আসনে মোট ভোট সংখ্যা ছিল ১০৮টি।</p> <p style="text-align: justify;">প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অষ্টমবারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়ে তাঁর নির্বাচনি এলাকা কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের গর্ব। তিনি কোটালীপাড়া- টুঙ্গিপাড়া মানুষের জন্য নিবেদিত প্রাণ। তাঁর অবদান আমরাকোন দিন ভুলতে পারবো না। বঙ্গবন্ধু যেমন ভালো মনের মানুষ ছিলেন। তাঁর মেয়ে সেই মনুষত্ব নিয়ে গোপালগঞ্জসহ দেশব্যাপী উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করে বিশ্বদরবারে সমাদৃত হয়েছেন। আমি এই মহান নেতাকে  সশ্রদ্ধ অভিনন্দন জানাই।’</p> <p style="text-align: justify;">ভোটে বিজয়ী হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন প্রতিনিধি শহীদ উল্লা খন্দকার। তিনি বলেন, ‘একমাত্র বঙ্গবন্ধু কন্যাই পারেন চ্যালেন্স নিয়ে দেশবাসীর সম্মান রাখতে। শত প্রতিকুলতার মাঝে নির্বাচন করে বিশ্ববাসীকে দেখিয়ে দিলেন বাঙালি বীরের জাতি। এই নির্বাচনের মাধ্যমে তিনি আবার প্রধানমন্ত্রী হয়ে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল ও স্মার্ট বাংলাদেশে রূপ দিবে এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি।’</p>