<p style="text-align: justify;">মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকদের আন্দোলনের মুখে গাজীপুরের কোনাবাড়ি শিল্পাঞ্চলসহ আশপাশের সাতটি পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি কারখানায় অঘোষিত ছুটি চলছে। </p> <p style="text-align: justify;">অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা কারখানাগুলো হলো- জরুন এলাকার ইসলাম গার্মেন্ট ইউনিট-২, রিপন নীটওয়্যার, সিনটেক্স লিমিটেড, কাশিপুর নয়াপাড়া এলাকার মনটেক্স ফ্যাব্রিকস, কাইজার নীটওয়্যারস, কটন ক্লাব বিডি ও মণ্ডল ফ্যাব্রিকস। গতকাল বুধবার বিকেল থেকে এসব কারখানার ফটকে বন্ধের নোটিশ টাঙানো হয়েছে।  </p> <p style="text-align: justify;">আজ বৃহস্পতিবার সকালে শ্রমিকরা কারখানায় গিয়ে বন্ধের নোটিশ দেখতে পান। নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, শ্রমিকরা হাজিরা দিয়ে কাজ না করে বাইরে চলে যাচ্ছে। ভাঙচুর, মারামারি, ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, কলকারখানা অধিদপ্তর, বিজিএমইএ এবং কারখানা কর্তৃপক্ষ বারবার কাজে যোগদানের অনুরোধ করা সত্ত্বেও কাজে যোগদান করা থেকে বিরত থাকছে।</p> <p style="text-align: justify;">শ্রমিক-কর্মচারীদের এমন কার্যকলাপ শ্রম আইন ২০০৬ অনুযায়ী অবৈধ ধর্মঘটের শামিল বলে নোটিশগুলোতে উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে ৯ নভেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করল।</p> <p style="text-align: justify;">বন্ধ ঘোষিত কারখানাগুলোর মধ্যে মণ্ডল ফ্যাব্রিকসের মানবসম্পদ কর্মকর্তা শামীম আহমেদের সঙ্গে সকালে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে তিনি কল রিসিভ করেননি।  </p> <p style="text-align: justify;">এদিকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই পোশাক কারখানার শ্রমিকরা নগরীর বাসন সড়ক, রওশন সড়ক, নাওজোর ও কোনাবাড়িতে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করছেন। কয়েকটি স্থানে পুলিশের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।</p> <p>জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক জোট বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আশরাফুজ্জামান জানান, অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ সমীচীন হয়নি। কারখানার নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব প্রশাসনের। এ ছাড়া, কারখানায় ভাংচুরের সঙ্গে কোনো সাধারন শ্রমিক জড়িত নন। যারা এসব করছে তারা বহিরাগত।</p> <p>আশরাফুজ্জামান বলেন, কোনো শ্রমিক সংগঠন আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেনি। ঘোষিত মজুরি নিয়ে তাদের আপত্তির বিষয়টি বোর্ডের কাছে নিয়মতান্ত্রিকভাবে জানানো হবে। </p> <p>কারখানায় ভাংচুরে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে অবিলম্বে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিও জানান আশরাফুজ্জামান।</p>