<p>গাজীপুরের শ্রীপুরে আটকের পর পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় বিএনপির এক নেতা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সংজ্ঞাহীন অবস্থায় তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।</p> <p>শুক্রবার (৩ নভেম্বর) রাতে আটকের পর বিএনপির ওই নেতা অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে তাঁর স্বজনরা জানিয়েছেন। অসুস্থ হয়ে পড়া ওই নেতার নাম ইসমাইল হোসেন (৫৫)। তিনি তেলিহাটী ইউনিয়নের তালতলী গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে। ইসমাইল হোসেন তেলিহাটী ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি।</p> <p>ইসমাইল হোসেনের ছেলে মহসিন মিয়া দাবি করেন, তাঁর বাবার বিরুদ্ধে থানায় কোনো মামলা নেই। আটকের কিছু সময় পরই তাঁর বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে তাঁরা খবর পান। তিনি বলেন, ‘কী হয়েছে, বাবা সুস্থ হলেই বলা সম্ভব।’</p> <p>তবে শ্রীপুর থানার ওসি এ এফ এম নাসিম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ইসমাইল হোসেনকে আটক করা হয়নি। পুলিশ দেখে দোকান ফেলে চলে যাওয়ার সময় তাঁকে ডেকে নাম-ঠিকানা জানতে চাইলে তিনি (ইসমাইল) হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে মানবিক কারণে তাৎক্ষণিক তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।’</p> <p>ইসমাইল হোসেনের মেয়ের জামাতা মো. রুবেল জানান, তেলিহাটী ইউনিয়নের সাইটালিয়া বাজারে তার শ্বশুরের সারের দোকান রয়েছে। তিনি দোকানেই ছিলেন। আজ শুক্রবার রাত ৮টার দিকে সেখান থেকে পুলিশ তাকে (শ্বশুর) আটক করেন বলে তারা জানতে পারেন। পরে তিনিসহ তার শ্যালক ঘটনা জানতে থানার সামনে যান। সেখানে যাওয়ার কয়েক মিনিট পর তার শ্বশুর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে পুলিশ তাদের জানান। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে তার শ্বশুরকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পান।</p> <p>মো. রুবেল রাত ১০টার দিকে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘অ্যাম্বুল্যান্সে বাবাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছি। এরই মধ্যে জ্ঞান ফিরেছে। তবে কিছু বলার চেষ্টা করছেন।’</p> <p>উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক সুদেপ চক্রবর্তী বলেন, ‘আতঙ্ক-ভয় থেকে উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে। ওষুধেও তা নিয়ন্ত্রণে আসেনি। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই ব্যক্তিকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।’</p>