<p>চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ‘আমার গাড়ি নিরাপদ’ অ্যাপসের সুফল পেয়েছেন যাত্রী আহমদ মুনির। তিনি একটি অটোরিকশায় যাত্রার সময় ভুলক্রমে নিজের মানিব্যাগ ফেলে যান। পরে ট্রাফিক পুলিশকে অটোরিকশা নম্বর জানালে ট্রাফিক পুলিশ অটোরিকশাটি শনাক্ত করে এবং পরে চালকের সহযোগিতায় অন্য যাত্রীর কাছ থেকে মানিব্যাগ উদ্ধার করে মুনিরের কাছে ফেরত দেয়। এতে বিস্মিত হন মুনির।</p> <p>অটোরিকশায় মানিব্যাগ হারানোর ঘটনা ঘটে মঙ্গলবার দুপুরে। সেটি ফেরত পান সন্ধ্যার মধ্যেই। আজ বুধবার সিএমপির উপকমিশনার (ট্রাফিক-পশ্চিম) মো. তারেক আহম্মেদ কালের কণ্ঠকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।</p> <p>তিনি বলেন, যাত্রী মুনির যখন বুঝতে পারেন তিনি ভুলক্রমে নিজের মানিব্যাগ অটোরিকশায় ফেলে এসেছেন, তখন তিনি ট্রাফিক পুলিশের সহযোগিতা নেন। এরপর যাত্রী অটোরিকশা নম্বরটি ট্রাফিক পুলিশকে দিলে তাৎক্ষণিকভাবে আমার গাড়ি নিরাপদ অ্যাপসের মাধ্যমে অটোরিকশাটি শনাক্ত করা হয়। এরপর ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে গাড়ির মালিক ও চালককে ফোন করা হয়। ট্রাফিক পুলিশের ফোন পেয়ে চালক হাজির হন ট্রাফিক পুলিশের কাছে। কিন্তু চালক বলেন, যাত্রী মুনিরকে নামিয়ে দেওয়ার পর গাড়িতে কোনো মানিব্যাগ পাননি। অন্য দুই যাত্রীকে নিয়ে তিনি খুলশী এলাকায় নামিয়ে দিয়েছেন। এরপর ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট পুলক দেব ও সৈকত নাথ ওই অটোচালককে নিয়ে খুলশী যান। সেখানে গিয়ে যে দুই যাত্রীকে নামিয়ে দেন সেই দুজনকে শণাক্ত করতে সক্ষম হন চালক। এরপর ওই দুই যাত্রী মানিব্যাগ পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গাড়িতে তাঁরা ওঠার পর মানিব্যাগটি পড়ে থাকতে দেখেন। সেটি তাঁরা রেখেছেন। এরপর মানিব্যাগটি ট্রাফিক পুলিশকে ফেরত দেন তাঁরা।</p> <p>মানিব্যাগ ফেরত পেয়ে পুলকিত মো. মুনির বলেন, 'মোবাইল ফোন হারানো গেলে পাওয়া যায় শুনেছিলাম। কিন্তু নগদ টাকাসহ মানিব্যাগ হারানোর পর ফেরত পাওয়া যায় এটা জানতাম না। মানিব্যাগটি পেয়ে খুবই খুশি হয়েছি। কারণ এখানে আমার মূল্যবান ডকুমেন্টস, সাতটি ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড এবং নগদ ১২ হাজার টাকা ছিল। অক্ষত অবস্থায় সব ফেরত পেয়েছি। সিএমপি এমন একটি উদ্যোগ নিয়েছে, সেটি জানতাম না। আমার গাড়ি নিরাপদ অ্যাপসের মাধ্যমে অটোরিকশা শনাক্ত করে ট্রাফিক পুলিশ সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে। এই উদ্যোগ অনন্য।'</p> <p>আমার গাড়ি নিরাপদ নামের অ্যাপসটির মাধ্যমে গাড়ি শনাক্ত করার কৌশল সম্পর্কে উপকমিশনার মো. তারেক আহম্মেদ বলেন, সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর এই অ্যাপসটি চালু করেন। এর মাধ্যমে নগরীতে চলাচলরত অটোরিকশাগুলোর তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। সাথে প্রত্যেকটি গাড়িতে একটি স্টিকার লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। মোবাইল ফোন ব্যবহার করে কিউআর স্ক্যানিং কোড ব্যবহার করে যাত্রীরা গাড়ির চালক ও মালিকের তথ্য জানতে পারবেন। আবার বিপদে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ সহযোগিতা দিতে পারে। মো. মুনির যে অটোরিকশায় যাত্রা করেছিলেন, সেই গাড়ির নম্বর ট্রাফিক পুলিশকে দেওয়ার পরপরই অ্যাপসে সংরক্ষিত তথ্য থেকে গাড়িটি শনাক্ত করা সম্ভব হয়। আর চালকের তথ্য অনুযায়ী অভিযান চালিয়ে মানিব্যাগটি উদ্ধারের পর যাত্রীকে ফেরত দেওয়া সম্ভব হয়।</p> <p>তিনি বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরীর বাসিন্দারা অটোরিকশায় যাত্রার আগে যদি গাড়ির নম্বর সংগ্রহ করে রাখেন তাহলে বিপদের সময় ট্রাফিক পুলিশ সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা দিতে পারবে।</p>