<p>কঠোর লকডাউনের অষ্টম দিনে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে যাত্রীদের চাপ রয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকেই ঢাকামুখী যাত্রীর পাশাপাশি দক্ষিণাঞ্চলমুখী যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। ফেরি চলাচল আগের তুলনায় সীমিত করায় গাদাগাদি করে যাত্রীরা পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন। </p> <p>জানা যায়, পণ্যাবাহী গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি পরিষেবার গাড়ি পারাপারের জন্য ছয়টি ফেরি চলাচল করছে। লঞ্চসহ অন্যান্য নৌযান বন্ধ রয়েছে। যাত্রীর চাপ বাড়ায় ফেরিতে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না।</p> <p>এদিকে, পদ্মায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ও স্রোতের গতিও বৃদ্ধি পেয়ে ফেরি পারাপারে দীর্ঘ সময় লাগছে। যাত্রীরা কয়েকগুন ভাড়া গুনে দুই ও তিন চাক্কার যানবাহনে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে ঘাটে পৌঁছাচ্ছেন। নানান অজুহাতে যাত্রীরা ছুটছেন।</p> <p>অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার বৈরি আবহাওয়ার কারণে দীর্ঘ সময় ফেরি বন্ধ থাকায় ঘাট এলাকায় কয়েকশ পন্যবাহী ট্রাক পারাপারের অপেক্ষায় উভয় ঘাটে আটকে রয়েছে।</p> <p><img alt="" src="http://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/ckfinder/innerfiles/images/2021/thumbnail_Shibchar Ghat Vir-1.jpg" /></p> <p>নড়াইলের মনির হোসেন বলেন, আমার এক আত্মীয় খুব অসুস্থ তাই তাকে দেখতে ঢাকা যাচ্ছি। সারাপথ ইজিবাইকে ভেঙে ভেঙে তিনগুন ভাড়া দিয়ে ঘাটে এসেছি। এখন ফেরিতে উঠেছি। ফেরিতে এত বেশি যাত্রী যে এক জনের শরীরের সঙ্গে আরেকজন মিশে দাঁড়ানো লাগছে। আর মাস্ক তো নেই অনেকের মুখেই।</p> <p>ফরিদপুর থেকে আসা লিয়াকত হোসেন বলেন, ঢাকায় ফুটপাতে ফল বিক্রি করি। ঈদের সময় বাড়ি গিয়েছিলাম এখন আবার ঢাকা যাচ্ছি। ঢাকায় গিয়ে ফল বিক্রি না করলে খাবো কি? নিজে ও পরিবারের সদস্যরা বাঁচবো কিভাবে।</p> <p>বিআইডব্লিউটিসি বাংলাবাজার ঘাট ম্যানেজার মো. সালাউদ্দিন বলেন, নৌরুটে সীমিত আকারে যে কয়েকটি ফেরি চলাচল করছে তাতে পন্যবাহী ট্রাক, অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি গাড়ি পারাপার করা হচ্ছে। যাত্রীদের ভিড় থাকায় ফেরিতে যাত্রীদেরও বহন করা হচ্ছে। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফেরিতে উঠতে যাত্রীদের অনুরোধ করছি।</p>