<p>হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে চাঞ্চল্যকর কলেজছাত্রী গণধর্ষণের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার পলাতক আসামি ফজলুর রহমানকে (২৪) সিলেট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।</p> <p>আজ রবিবার দুপুরে র‌্যাব-৯ সিলেটের একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। ফজলুর রহমান বানিয়াচং উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হান্নারের ছেলে।</p> <p>র‌্যাব-৯ সিলেট এর মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সামিউল আলম জানান, র‌্যাব-৯ সিলেট ক্যাম্প এর মেজর মো. শওকাতুল মোনায়েম ও সহকারী পুলিশ সুপার নাহিদ হাসানের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে দক্ষিণ সুরমার চন্ডিপুর এলাকায় সোনার বাংলা ফুড প্রডাক্টসের সামন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে চাঞ্চল্যকর এই গণধর্ষণ মামলার ৩ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি। তাকে রবিবার বিকেলে চুনারুঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।</p> <p>চুনারুঘাট থানার ওসি শেখ নাজমুল হক জানান, র‌্যাব কৃতক গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুর রহমানকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হবে।</p> <p>তিনি আরো জানান, এর আগে মামলার প্রধান আসামি শামীম আহমেদ মামুনকে (২২) পুলিশ গ্রেপ্তার করে। মামুন এবং ফজলুর রহমান ছাড়াও মামলার অন্য ৩ আসামি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার হাতির থান গ্রামের মৃত রমিজ আলীর পুত্র অটোরিকশা চালক আক্কাছ আলী (২০), নবীগঞ্জ উপজেলার কায়স্থ গ্রামের মৃত ময়না মিয়ার পুত্র আলী হোসেন (২৪) ও চুনারঘাট উপজেলার বনগাঁও গ্রামের আব্দুল লতিফের পুত্র জুনেদ লতিফকে (২৭) গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ। </p> <p>এর আগে ৮ জানুয়ারি ধর্ষিতা কলেজছাত্রী বাদী হয়ে হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-২ এ পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, নির্যাতনের শিকার ওই কলেজছাত্রীর সঙ্গে মামলার প্রধান আসামি মামুনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ৭ জানুয়ারি দুপুরে ওই কলেজছাত্রীকে মামুন সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে বেড়াতে নিয়ে যায়। সেখানে মামুন প্রথমে তাকে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে মামুনের সহযোগী ফজলুর রহমান, আলী হোসেন ও জুনেদ লতিফও তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় অটোরিকশা চালক আক্কাছ তাদের পাহারা দেয়।</p> <p>মামলায় আরো বলা হয়, দল বেঁধে ধর্ষণের পর অসুস্থ অবস্থায় ওই ছাত্রীকে ফেলে রেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে আশপাশের লোকজন এসে উদ্ধার করে তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেন।</p>