<p>বগুড়ার নন্দীগ্রাম ও কাহালু উপজেলায় লবণের গুজব ঠেকাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে চালানো হয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান। দুই উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে প্রশাসন।</p> <p>নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. শারমিন আখতার এবং কাহালু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাছুদুর রহমান পৃথক পৃথক এই ভ্রাম্যমান অভিযান চালান। সেই সাথে লবণ সঙ্কটের গুজব ঠেকাতে বাজারে বাজারে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে।</p> <p>জানা গেছে, বেশি দামে লবণ বিক্রির দায়ে নন্দীগ্রাম উপজেলার লবণ ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলামের ২০ হাজার টাকা, আব্দুল খালেকের দুই হাজার টাকা, নজরুল ইসলামের পাঁচ হাজার টাকা। এছাড়া কাহালু উপজেলায় বেশি দামে লবণ বিক্রির দায়ে চার ব্যবসায়ীকে ১৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।</p> <p>মঙ্গলবার সকাল থেকে উপজেলাজুড়ে লবণ সঙ্কটের গুজব ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন এলাকার ছোট-বড় দোকানে ভিড় করেন ক্রেতারা। এই সুযোগে কতিপয় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বেশি দামে বিক্রি শুরু করেন। লবণের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে এমন খবরে সাধারণ মানুষ দোকানগুলোতে লবণ কেনার জন্য ভিড় জমায়। পরে থানা পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষনিক বাজার মনিটরিং এবং ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা শুরু করে। এরপর থেকেই সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বর্তমানে পৌর শহরসহ বিভিন্ন বাজারে স্বাভাবিক দামেই লবণ বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে।</p> <p>উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. শারমিন আখতার বলেন, বেশি দামে লবণ বিক্রির দায়ে ব্যবসায়ীদের জরিমানা করা হয়েছে। এই উপজেলায় লবণের কোনো ঘাটতি নেই, লবণ নিয়ে কোনো গুজব বা কারসাজি করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।</p>