<p style="text-align: justify;">পরিবেশবান্ধব বাইসাইকেল রাইড শেয়ারিং সেবা দিচ্ছে জোবাইক (Jobike)। প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য হলো- পরিবেশবান্ধব, সুবিধাজনক এবং সহজলভ্য একটি ভিন্নধর্মী পরিবহনব্যবস্থা নিশ্চিত করা, যা একটি শহরের পরিবহনব্যবস্থাকে স্মার্ট ও আধুনিকীকরণে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। </p> <p style="text-align: justify;">সম্প্রতি কক্সবাজারে আবার চালু হলো জোবাইক। ফলে স্থানীয় ও পর্যটকরা সাইকেল রাইড শেয়ারিং মডেলে ভাড়া করে চালানোর সুযোগ পাবেন। ব্যবহারকারী জোবাইক অ্যাপের মাধ্যমে সাইকেলের লক খুলে সাইকেল চালিয়ে গন্তব্যে পৌঁছে গিয়ে লক লাগিয়ে রাইডটি শেষ করতে পারবেন।</p> <p style="text-align: justify;">পরিবেশবান্ধব, স্বাস্থ্যকর এবং সাশ্রয়ী মূল্যের পরিবহনব্যবস্থা প্রদানের মাধ্যমে পর্যটন খাতের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখছে জোবাইক। পর্যটক এবং স্থানীয় বাসিন্দারা একটি সুবিধাজনক রাইডিং অভিজ্ঞতা উপভোগ করার সঙ্গে সঙ্গে মেরিন ড্রাইভসহ শহর এবং এর মনোরম স্থানগুলো ভ্রমণ করতে পারবে।</p> <p style="text-align: justify;">উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৮ জুন কক্সবাজারে কার্যক্রম শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। এ সময়ের মধ্যে জোবাইক দুই লাখের বেশি রাইড সম্পন্ন করেছে। সেই সঙ্গে এতে যুক্ত হয়েছে ৬৫ হাজার নিবন্ধিত ব্যবহারকারী। কভিড-১৯ মহামারির কারণে কক্সবাজারে পরিষেবা স্থগিত রেখেছিল জোবাইক। গত ৩০ এপ্রিল থেকে কক্সবাজারে আবারও কার্যক্রম শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। জোবাইকের উদ্দেশ্য হলো- স্থানীয় বাসিন্দাসহ কক্সবাজারে আসা পর্যটকদের পরিবহন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা, শহরকে সুন্দর করা, কার্বন নিঃসরণ কমানো ও একটি স্মার্ট সিটির উদ্যোগে উন্নীত করা।</p> <p style="text-align: justify;">জোবাইকের অ্যাপ আগের চেয়ে আরো সহজ এবং উন্নত করা হয়েছে। এখন বিকাশ বা নগদের মাধ্যমে পেমেন্ট করা যাচ্ছে। ইলেকট্রিক অ্যাসিস্ট ই-বাইকের ভাড়া প্রতি মিনিট ৩ টাকা মাত্র। জোবাইকের ই-বাইকগুলো শক্তিশালী ব্যাটারির হওয়ায় প্রতি ঘণ্টায় ২৫ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিতে চলতে পারে। প্যাডাল বাইকের মতো ই-বাইকও স্মার্ট লক ও অ্যাপ সিস্টেমের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।  </p> <p style="text-align: justify;">জোবাইকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেদী রেজা জানান, কক্সবাজারকে একটি স্বাস্থ্যকর এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে জোবাইক। বর্তমানে কক্সবাজারের কলাতলী পয়েন্ট, হিমছড়ি এবং সালসা বিচ- এই ৩টি পয়েন্টে মিলছে জোবাইকের সাইকেল। গুগল প্লেস্টোর এবং অ্যাপল স্টোরে জোবাইক অ্যাপটি পাওয়া যাচ্ছে।</p> <p style="text-align: justify;">মেহেদী আরো জানান, জোবাইক সার্ভিসের অধীনে একজন ব্যবহারকারীকে মোবাইলে জোবাইক অ্যাপস নামিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়। পরবর্তী সময়ে আইডিতে নির্দিষ্ট পরিমাণ রিচার্জ করে ইচ্ছামতো সময় অনুযায়ী একটি বাইসাইকেল চালানো যাবে। আমরা শুরুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জোবাইক সার্ভিস চালু করি। আমাদের উদ্যোগটি ভিন্নধর্মী হওয়ায় প্রথমদিকে সামান্য জটিলতা দেখা গেলেও ধীরে ধীরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে জনপ্রিয় হতে থাকে। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে, যখন করোনা মহামারিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘ সময় ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় জোবাইক বড় কার্যক্রম বন্ধ করে। তবে এখন নতুন রূপে ফিরে আসছে জোবাইক।</p>