<p>কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ।  এরই প্রতিবাদে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পদত্যাগ করছেন।</p> <p>গতকাল মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুর থেকে আজ বুধবার (১৭ জুলাই) সকাল পর্যন্ত ৪০ এর অধিক নেতাকর্মী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে এই পদত্যাগ করেছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা হামলায় জড়িতদের সঙ্গে বিভাগীয় সব সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছেন। একই সাথে ছাত্র রাজনৈতিক মুক্ত ক্যাম্পাসের দাবি করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।</p> <p>বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল (১৬ জুলাই) দুপুর ৩টার দিকে রংপুরের খামার মোড় থেকে শিক্ষার্থীরা বিশাল মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর ফটকের সামনে আসেন। এ সময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এতে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ বাধে। এ সময় পুলিশ প্রায় ২০০ রাউন্ড গুলি ও রাবার বুলেট ছোড়ে। এ সময় পুলিশের গুলিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাইদ নিহত হন।</p> <p>নিহত আবু সাইদ রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বাবনপুরের বাসিন্দা মকবুল হোসেনের ছেলে। তিনি কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।</p> <p>সহসভাপতি ফজলে রাব্বি লেখেন, ‘আমি এক কুলাঙ্গার, ছাত্রলীগের সহসভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি নিলাম।’</p> <p>পিয়াস লেখেন, ‘আমি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগ করলাম।’</p> <p>সহ-সম্পাদক মো. আলআমিন মিয়া লেখেন, ‘আমি মো. আলআমিন মিয়া। আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-সম্পাদক পদে আছি। আজ আমি আমার বিবেকের কাছে লজ্জিত হয়ে আমার ছাত্রলীগ এর পদ থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিলাম। এখন থেকে ক্যাম্পাসের কোনো রাজনীতির সাথে আমি আর যুক্ত নই।’</p>