<p>প্রতিষ্ঠার ‍পর থেকেই তীব্র আবাসন সংকটে রয়েছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য আবাসিক হল রয়েছে মাত্র তিনটি। এতে ছেলেদের জন্য দুটি এবং মেয়েদের জন্য মাত্র একটি হল রয়েছে। হল তিনটি মিলে শিক্ষার্থীদের জন্য মোট সিট রয়েছে মাত্র ৮৮৮টি। এই তীব্র আবাসন সংকটের মধ্যেই আট সিটের রুমে একাই থাকেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি পোমেল বড়ুয়া।</p> <p>সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ৩০৬ নম্বর কক্ষের দরজার একপাশে সোনালি রঙে পোমেল বড়ুয়ার নামফলক সাঁটানো, লালগালিচায় ঢাকা পুরো কক্ষ, বসানো দামি সোফা, জানালায় রংবেরঙের পর্দা টানিয়ে রেখেছেন। রুমটিতে আটজনের সিট নির্ধারিত থাকলেও একাই থাকছেন তিনি। হল প্রশাসন থেকে দেওয়া ছয়টি বেড ও ছয়টি টেবিলের পরিবর্তে সেখানে মাত্র একটি টেবিল ও একটি বেড রয়েছে।</p> <p>হল সূত্রে জানা যায়, মাস্টার্স পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ হলে আবাসিক শিক্ষার্থীর সিট বাতিল হয়ে যায়। ওই রুমে তিনজন শিক্ষার্থীর নামে সিট বরাদ্দ থাকলেও তার মধ্যে দুজনের মাস্টার্স শেষ হয়েছে প্রায় দুই বছর আগেই। কিন্তু পোমেল বড়ুয়ার নামে কোনো সিট বরাদ্দ নেই। এ ছাড়াও অভিযোগ রয়েছে, নিজের ইচ্ছামতো রুম বণ্টন করেন তিনি। নামেমাত্র হল প্রভোস্ট।</p> <p>হল সূত্র আরো জানায়, কোনো শিক্ষার্থী নিজ উদ্যোগে হলের কক্ষে ডেকোরেশন করতে পারেন না। কিন্তু বর্তমান কমিটি গঠনের পর থেকেই তিনি এভাবে থাকছেন।</p> <p>এ বিষয়ে পোমেল বড়ুয়া বলেন, ‘নৈতিকভাবে বলতে গেলে পড়াশোনা শেষ হওয়ার পরেও হলে থাকা ঠিক না। তবে ছাত্ররাজনীতির কিছু দায়িত্বের জায়গা থেকে আছি।’</p> <p>রুম ডেকোরেশনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা সাতজন রুমমেট মিলে রুমটা ডেকোরেশন করেছি। আমরা পাঁচজন বর্তমান এই রুমে থাকি। রাজনীতি করি, বিভিন্ন সময় নেতাকর্মীরা রুমে আসেন, তাই একটু রুমটা পরিপাটি করে রেখেছি।’</p> <p>জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল প্রভোস্ট ড. বিজন মোহন চাকী বলেন, ‘আমাদের আবাসন সংকট রয়েছে। অনেক শিক্ষার্থী হলে থাকতে পারে না। তারা বাইরে মেসে থাকে। পড়াশোনা শেষ হলেই হল ছাড়তে হবে। এমন নিজের ইচ্ছেমতো রুম ডেকোরেশন করা ঠিক না। এই সংকট কাটিয়ে তোলার জন্য কাজ চলছে। আশা করি দ্রুতই সমাধান হয়ে যাবে।’</p> <p>এর আগে ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক রুম ভাগাভাগি করতে চেয়েছিলেন। তবে দৈনিক কালের কণ্ঠে নিউজ হওয়ার পর তা বন্ধ হয়ে যায়। তবে কিছুদিন পর আবার তারা রুম ভাগাভাগি করে নেন।</p>