<p>তীব্র যানজটে নাকাল দেশের সর্ববৃহত্ বেনাপোল স্থলবন্দর এলাকা। বিশেষ করে অসুবিধায় রয়েছে অফিসগামী, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী এবং জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া সাধারণ মানুষ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় বসে থাকতে হচ্ছে তাদের। ট্রাফিক ব্যবস্থা না থাকা এবং ট্রাক ও বাস টার্মিনাল চালু না হওয়ার কারণেই এই অবস্থা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা, যে কারণে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে সৃষ্টি হয়েছে অচলাবস্থা। অবশ্য শিগগিরই যানজট নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="‘বিমানবন্দরে মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসীদের জন্য স্পেশাল লাউঞ্জের ব্যবস্থা’" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/05/1728139652-da1e6dbeac98c3fd05cb31634ee5da28.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>‘বিমানবন্দরে মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসীদের জন্য স্পেশাল লাউঞ্জের ব্যবস্থা’</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/10/05/1432114" target="_blank"> </a></div> </div> <p>সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বেনাপোল বন্দর এলাকার রাস্তার দুই ধারে যানবাহনের দীর্ঘ সারি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা পার হলেও ঘুরছে না গাড়ির চাকা। প্রায় এক মাস ধরে এই অবস্থা চললেও প্রশাসনের কোনো নজরদারি নেই। ট্রাক ও বাস চালকরা কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে বন্দরের প্রধান সড়কের দুই পাশে যত্রতত্র খালি গাড়ি কিংবা পণ্যবোঝাই ট্রাক থামিয়ে রাখেন। এর ফলে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট এলাকা থেকে বাস টার্মিনাল পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তাজুড়ে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট।</p> <p>গত কয়েক দিন বেনাপোল বন্দর এলাকায় দেখা যায়, ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় শত শত রপ্তানি পণ্যবোঝাই ট্রাক এবং দূরপাল্লার পরিবহন ও লোকাল বাস রাস্তা দখল করে দাঁড়িয়ে আছে। ট্রাক ও বাস টার্মিনাল থাকলেও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় তা ব্যবহার হচ্ছে না। ফলে বন্দরের হাইওয়ে সড়ক, বাইপাস সড়কসহ সব সড়কে সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ যানজট।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="বন্যা পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ গ্রহণে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের বৈঠক" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/05/1728138979-81ea9caa5ec89580e88c301b991c34dd.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>বন্যা পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ গ্রহণে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের বৈঠক</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/dhaka/2024/10/05/1432113" target="_blank"> </a></div> </div> <p>বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী বকুল মাহবুব বলেন, ‘বেনাপোলে শতকোটি টাকা ব্যয়ে এরই মধ্যে আলাদাভাবে ট্রাক ও বাস টার্মিনাল নির্মাণ করা হয়েছে। টার্মিনাল দুটি ব্যবহার না করার ফলেই যানজটের এই তীব্রতা। আমরা যদি টার্মিনাল দুটি ব্যবহার শুরু করি তাহলে যানজট শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব। যানজট না কমানো হলে আমদানি-রপ্তানি ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্তরা প্রতিনিয়িত ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।’</p> <p>বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক রাশেদুল সজীব নাজির বলেন, ‘ট্রাক ও বাস টার্মিনাল চালুর জন্য আমরা আগেই জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় পৌর কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার চিঠি দিয়েছি। এগুলো চালু হলে দীর্ঘদিনের এই যানজটের অবসান হতো। যানজটের কারণে আমদানি-রপ্তানি ব্যবসায়ও বিরূপ প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা যাচ্ছে।’</p> <p>এ বিষয়ে যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুজন সরকার বলেন, ‘আমরা সবাইকে নিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে চাই, যাতে উদ্ভূত সমস্যার সমাধান হয়। বাস ও ট্রাক টার্মিনাল যেন সত্যিকার অর্থেই যানজট নিরসনের উপযুক্ত জায়গা হিসেবে বিবেচিত হয়, সে লক্ষ্যে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’</p> <p>প্রসঙ্গত, বেনাপোল স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে প্রায় ৭০০ যানবাহন প্রতিদিন যাতায়াত করে।</p>