<p style="text-align:justify">আমরা বলি বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্ন। কিন্তু না। আমাদের খাদ্যশষ্য আমদানি করতে হয়। তাই আমদানিনির্ভরতা কমাতে ব্যাংকগুলোকে কৃষিঋণ বিতরণ বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।</p> <p style="text-align:justify"><img alt=" আমদানিনির্ভরতা কমাতে ঋণ বিতরণ বাড়াতে হবে : গভর্নর" height="568" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/08.July/30-08-2024/88-_kaler-kantho--30-8-2024.jpg" style="float:left" width="342" />তিনি বলেন, অন্যান্য দেশের তুলনায় উৎপাদনশীলতা কম। যে হারে আমাদের দেশের জনসংখ্যা বাড়ছে সে হারে উৎপাদন বাড়ছে না। কৃষি জমির পরিমাণও বাড়ছে না; বরং কমছে। তাই কৃষি খাতে গবেষণাকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন বীজ উদ্ভাবন ও যান্ত্রিক সহায়তা নিয়ে উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বানও জানান গভর্নর।</p> <p style="text-align:justify">বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত কৃষি ও পল্লীঋণ নীতিমালা প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। গভর্নর আরো বলেন, কৃষিকাজ করে তেমন মুনাফা হয় না। তাই এ খাতে নতুন করে মানুষ আকৃষ্ট হচ্ছে না। এই খাতে কর্মসংস্থানও বাড়ছে না।</p> <p style="text-align:justify">কিন্তু এখনো বেশির ভাগ মানুষ গ্রামে বসবাস করে। কৃষিতে যেন মানুষ আকৃষ্ট হয় সে বিষয়টা সরকারকে দেখতে হবে। প্রতিবছরই আমাদের কৃষিঋণ বিতরণ বাড়ছে। আমরা একটি স্টাডি শুরু করেছি। যার মাধ্যমে দেখা হবে প্রকৃত কৃষকরা ঋণ পাচ্ছেন কি না। কৃষিতে সম্ভাবনা অনেক। কিন্তু আমরা কাজে লাগাতে পারছি না।</p> <p style="text-align:justify">২০২৪-২৫ অর্থবছরে কৃষিঋণ বিতরণের ৩৮ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রাকে আনএমবিশাস বলে আখ্যায়িত করেছেন গভর্নর। দেশের কৃষিঋণের প্রয়োজনীয়তা অনুসারে ব্যাংকগুলোর জন্য এই লক্ষ্য অর্জন করা কিছু না। খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্ন হতে কৃষিঋণ আরো অনেক গুণ বাড়াতে হবে।</p> <p style="text-align:justify">বন্যাকবলিত এলাকার জন্য কৃষিনীতিতে কী ধরনের সুযোগ রাখা হয়েছে জানতে চাইলে গভর্নর বলেন, নীতিমালাটা বন্যা শুরুর আগেই প্রস্তুত করা হয়েছে। তাই এখানে বন্যাকবলিত এলাকার জন্য কিছু নেই। তবে খুব শিগগির সার্কুলারের মাধ্যমে ওই এলাকার কৃষকদের বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেব।</p> <p style="text-align:justify">অনুষ্ঠানে কৃষি ব্যাংকের এমডি মো. শওকত আলী খান বলেন, বন্যার কারণে এ বছর লক্ষ্যের তুলনায় বেশি ঋণ প্রয়োজন হবে। আমাদের ব্যাংকের মোট ঋণের ৭০ শতাংশ কৃষি খাতে বিতরণ করা হয়। তাই চাহিদা অনুযায়ী কৃষকদের আরো ঋণ দিতে পুরো ঋণে পুনরর্থায়ন সুবিধা চেয়েছেন তিনি। পাশাপাশি এসব ঋণের বিপরীতে সংরক্ষিত প্রভিশনের হার কমানোর আবেদনও করেন কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।</p> <p style="text-align:justify">ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কৃষির অবদান অনেক। যেহেতু এটা দাবিদাওয়ার মৌসুম, তাই কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা আরো ৩০ শতাংশ বাড়ানো উচিত বলে আমি মনে করি। কৃষি খাতে বিদ্যমান পুনরর্থায়ন স্কিমের পাশাপাশি আরো কিছু স্কিম করলে ভালো হয়। কারণ কৃষিঋণ কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রণীত মুদ্রানীতি বাস্তবায়নেও সহায়তা করে।</p> <p style="text-align:justify">উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য কৃষি ও পল্লীঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি অর্থবছরে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৩৮ হাজার কোটি টাকার কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।</p>