<p>ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে (ডিআরএমসি) আয়োজিত সপ্তম ডিআরএমসি ইন্টারন্যাশনাল টেক কার্নিভাল-২০২৪ এ ১৩ জন উদ্যোক্তাকে ২০ লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হবে। নতুন ব্যবসার ধারণা নিয়ে নিয়ে আসাদের মধ্য থেকে বাছাই করে এই পুরস্কার দেওয়া হবে আগামী রবিবার (১২ মে)। পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।</p> <p>গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাজধানীর মোহাম্মাদপুরে অবস্থিত ডিআরএমসিতে আয়োজন করা হয়েছে সপ্তম ডিআরএমসি ইন্টারন্যাশনাল টেক কার্নিভাল-২০২৪। চার দিনের এই অনুষ্ঠান শেষ হবে আগামী ১২ মে তারিখে। অনুষ্ঠানটি ডিআরএমসি ও আইসিটি বিভাগ যৌথভাবে আয়োজন করেছে। এতে বড় পরিসরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে শেখ জামাল ইনোভেশন গ্র্যান্ড, ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রামিং কন্টেস্ট ও রোবোটিক্স যা প্রোজেক্ট ডিসপ্লে মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে। কলেজটির মাঠের মধ্যে বুথ স্থাপন করে রোবটিক্স ডিসপ্লের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর প্রোগ্রামিংয়ের জন্য ১ নম্বর বিল্ডিংয়ে, গেমিং হচ্ছে ৩ নম্বর বিল্ডিংয়ে।</p> <p>আয়োজকরা জানিয়েছেন, বঙ্গবন্ধুর পুত্র শেখ জামাল ডিআরএমসি ছাত্র ছিলেন। তার স্মৃতির উদ্দেশে প্রতি বছর শেখ জামাল ডিআরএমসি ইন্টারন্যাশনাল টেক কার্নিভালের আয়োজন করা হচ্ছে। এ বছর প্রথম আয়োজন করা হয়েছে শেখ জামাল ইনোভেশন গ্র্যান্ড-১। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে সারা দেশে যাদের মধ্যে উদ্ভাবনী আইডিয়া আছে, তাদের মধ্যে থেকে ১৩টি আইডিয়া নিয়ে আসা স্টার্টআপকে অর্থায়ন করা। ডিআরএমসি এবং আইসিটি ডিভিশন মিলে এই পুরস্কার দেওয়া হবে।</p> <p>ডিআরএমসির আইসিটি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং কার্নিভালের আহ্বায়ক রাসেল আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘অনুষ্ঠানে প্রতিবছরই দারুণ কিছু আইডিয়া থাকে, সেগুলো তদারকির অভাবে বিজনেস মডেল হিসেবে আর তৈরি হতে পারে না। এজন্যই আমরা আইসিটি ডিভিশনের সঙ্গে যৌথ কাজ করছি। যাতে আইডিয়াগুলো বিজনেসে রুপান্তরিত করে দেশের অর্থনীতি করতে পারে এবং সফল উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। যেমন শপআপ, পাঠাও, টেনএমএস যেভাবে তৈরি হয়েছে সেরকম। আমরা চাচ্ছি যেনো এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদ্ভাবনী আইডিয়াগুলো মনিটরিং ও তদারকির মধ্যে আসে। যা আইসিটি ডিভিশন সহায়তা দেবে।’</p> <p>তিনি বলেন, ‘শেখ জামাল ইনোভেশন গ্র্যান্ড ছাড়াও রয়েছে ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রামিং কন্টেস্ট। এই প্রতিযোগিতায় দেশসহ দেশের বাইরের অনেকে এই প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করে। এ ছাড়া রয়েছে রোবোটিক্স, যা প্রোজেক্ট ডিসপ্লে মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে। যারা রোবোটিক্স নিয়ে কাজ করছে তাদের নিয়েই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এখনে ক্ষুদে উদ্ভাবক যারা আছে, তারা বিভিন্ন রোবোট আবিস্কার করেছে। এগুলোর মাধ্যমে রোবট ব্যবহারের বিষয়টি বাচ্চাদের প্রত্যাহিক জীবনে পৌছে দিতে চাচ্ছি। এখানে আমরা চাই ওরা একটা প্রোজেক্ট বানাল তারপর সেটা শেষ হয়ে গেল, এমন যেনো না হয়। ওদের বানানো প্রোজেক্ট গুলো কিভাবে মানবজাতির উপকার বা উন্নয়নে কাজে লাগানো যায়, আমাদের আইটি ক্লাবের মাধ্যমে সেই চেষ্টা করে আসছি।’</p> <p>ডিআরএমসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চার দিনে এই অনুষ্ঠানে গেমিং, অলিম্পিয়াড, ডিজিটাল আর্ট ডিসপ্লে, ওয়েবসাইট ডিসপ্লে, অ্যাপ শো, টিভিসি, প্রোগ্রামিং কনটেস্ট, লোগো ডিজাইন, টেক আর্টিকেল রাইটিং ইত্যাদি ইভেন্টে দেশের চার শতাধিক খ্যাতনামা স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় সহগ্রাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছে। শেখ জামাল ইনোভেশন গ্র্যান্ড গত ১৩ ফেব্রুয়ারি জুনাইদ আহমেদ পলক উদ্বোধন করেন। এরপর একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে স্টার্টআপরা তাদের আইডিয়া জমা দেয়। প্রায় আড়াই মাসে ধরে যাচাই-বাছাই করে ১৩ জন স্টার্টআপকে পুরষ্কার দেয়া হবে। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী, কলেজের অধ্যক্ষ, আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ উর্ধবতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।</p>