<p>সানজানা আহমেদ (২৫) একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তিনি স্কুটিতে করেই অফিসে যাতায়াত করেন। গত বছর করোনার মাঝামাঝি সময় স্নাতক পাস করে চাকরিতে ঢুকে যান। মিরপুরের বাসা থেকে ধানমণ্ডির অফিসে তিনি স্কুটি দিয়েই যাতায়াত করেন।</p> <p>সানজানা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় পড়াকালীন থেকেই স্কুটি ব্যবহার করি। প্রায় চার বছর হয়ে গেছে স্কুটি চালাই। বাস কিংবা অন্যান্য গণপরিবহনে উঠি না। বাবা স্কুটি কিনে দিয়েছেন।’ সানজানার স্কুটি বাইকটি হোন্ডা কম্পানির হোন্ডা ডিও মডেলের। ১১০ সিসি বাইকটির মূল্য পড়েছে এক লাখ ৪৬ হাজার টাকা।</p> <p>দ্রুত গন্তব্যস্থলে পৌঁছানো এবং বাসের জন্য অপেক্ষা করার মতো ঝক্কি-ঝামেলা এড়ানোর জন্য সানজানার মতো অনেক তরুণী বর্তমানে স্কুটি বাইক ব্যবহার করছেন। করোনা মহামারিতে তরুণী এবং মহিলারা স্কুটি বাইকের ওপর নির্ভরশীলতা বাড়িয়েছেন। বর্তমানে হোন্ডা কম্পানির স্কুটি বাইক এক লাখ ১০ হাজার থেকে পাঁচ লাখ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া হোন্ডা ব্র্যান্ডের মধ্যে এডিভি ১৫০ সিসি স্কুটির মূল্য পাঁচ লাখ ১০ হাজার, হোন্ডা পিসিএক্স ১৫০ সিসির পাঁচ লাখ ১০ হাজার টাকার মধ্যেই পাওয়া যাবে। হোন্ডা ব্র্যান্ডের এই পাঁচটি স্কুটি বর্তমান বাজারের শীর্ষস্থানে রয়েছে।  </p> <p>রাজধানীর ইয়ামাহার অনুমোদিত শোরুমগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কয়েক বছর ধরেই স্কুটারের ওপর নারীদের আগ্রহ বেড়েছে। শোরুমগুলোতেও নারীরা আসছেন স্কুটার কেনার জন্য। বর্তমানে ইয়ামাহা ব্র্যান্ডের স্কুটারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো রে জেড আর স্ট্রিট র‌্যালি ১১৩ সিসি। এই স্কুটারটি ছেলে ও মেয়ে উভয়ের মধ্যেই জনপ্রিয়। বর্তমানে বাংলাদেশের বাজারে এই মডেলটির দাম এক লাখ ৬৫ হাজার টাকা। </p> <p>সামিহা আফরিন (৩৭) একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করছেন। সিটি ব্যাংক থেকে তিনি স্কুটি কেনার জন্য এক লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে হোন্ডা থেকে ১০০ সিসির এক লাখ ৩৫ হাজার টাকায় হোন্ডার ওয়েভ মডেলটি কেনেন। সামিহা বলেন, ‘বাইক কেনার পর থেকে যাতায়াতের চিন্তা করতে হয় না।’</p>