ঢাকা, শনিবার ২৬ জুলাই ২০২৫
১১ শ্রাবণ ১৪৩২, ৩০ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শনিবার ২৬ জুলাই ২০২৫
১১ শ্রাবণ ১৪৩২, ৩০ মহররম ১৪৪৭

নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে সারজিস আলমকে নোটিশ, যা বললেন আইনজীবী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে সারজিস আলমকে নোটিশ, যা বললেন আইনজীবী
সারজিস আলম

উচ্চ আদালত নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা মো. সারজিস আলমের স্ট্যাটাস বিচার বিভাগের জন্য হুমকি এবং অবমাননাকর উল্লেখ করে এর জন্য প্রধান বিচারপতি ও জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে তাঁকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জসিম উদ্দিন শনিবার এই নোটিশ পাঠান। 

নোটিশ প্রদানকারী এই আইনজীবী কালের কন্ঠকে বলেন, “রেজিস্ট্রি ডাকে এবং সারজিস আলমের হোয়াটসঅ্যাপে নোটিশটি পাঠানো হয়েছে।”

আরো পড়ুন
বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতার মৃত্যু

বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতার মৃত্যু

 

বিএনপি নেতা ইসরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানো এবং ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করা নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে গত ১৪ মে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মামুনুর রশিদ।

শুনানির পর বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ২২ মে রিট আবেদনটি সরাসরি খারিজ করে দেন। এই আদেশের পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে স্টেটাস দেন এনসিপি উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক মো. সারজিস আলম। সেখানে তিনি লেখেন, ‘মব তৈরি করে যদি হাইকোর্টের রায় নেওয়া যায় তাহলে এই হাইকোর্টের দরকার কি?’

আরো পড়ুন
মনে হলো কেউ আমার পেটে হাত দিচ্ছে : অদিতি

মনে হলো কেউ আমার পেটে হাত দিচ্ছে : অদিতি

 

স্ট্যাটাসটি তুলে ধরে নোটিশে বলা হয়েছে, ‘আপনার (সাারজিস আলমকে) স্ট্যাটাসে আপনি রাষ্ট্রের অন্যতম স্তম্ভ অর্থাৎ বিচার বিভাগের প্রতি চরম অবজ্ঞা-অসম্মান প্রদর্শন করেছেন, যা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত অর্থাৎ সুপ্রিম কোর্টের প্রতি চরম অবমাননাকর এবং তা আদালত অবমাননার সামিল। বাংলাদেশের বিচার বিভাগ এবং বিচার ব্যবস্থা সংবিধান, আইন ও বিচারিক সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে পরিচারিত হয়।

আপনার এই স্টেটাস বিচার বিভাগের জন্য সরাসরি হুমকি।’

যে কারণে এই স্ট্যাটাসের বিষয়ে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের মাধ্যমে প্রধান বিচারপতির কাছে সারজিস আলমকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে। শুধু তাই না, নোটিশ পাওয়ার দুই ঘণ্ঠার মধ্যে সংবাদ সম্মেলন করে দেশবাসীর কাছেও নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে এনসিপি নেতাকে। নইলে উপযুক্ত আদালতে সারজিস আলমের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করার কথা বলা হয়েছে নোটিশে।

নোটিশটি পেয়েছেন কিনা জানতে সারজিস আলমকে ফোন করা হলে তিনি ফোন কেটে দেন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

অভিজ্ঞতার অভাবে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছে সরকার : গয়েশ্বর

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
অভিজ্ঞতার অভাবে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছে সরকার : গয়েশ্বর

সমন্বয়হীনতার পাশাপাশি অভিজ্ঞতার অভাব থাকায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। 

শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে উত্তরায় মাইলস্টোনের বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান আনিকার পরিবারকে সহমর্মিতা জানাতে গিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি। 

আরো পড়ুন
বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের জন্য দেশজুড়ে বিশেষ দোয়া

বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের জন্য দেশজুড়ে বিশেষ দোয়া

 

গয়েশ্বর বলেন, নির্বাচন যত বিলম্বিত হবে, সংকট সৃষ্টি হবে এবং সরকার নানা ধরনের প্রশ্নের মুখে পড়বে। সরকার দৃশ্যমান না।

নির্বাচিত সরকার না হওয়ায় দেশের নানা সংকট এড়ানো যাচ্ছে না। 

বিমান দুর্ঘটনার চারদিন পার হলেও বিমানবাহিনী এখন পর্যন্ত কোনো দায়দায়িত্ব না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বের করে বিচারের আওতায় আনতে হবে, যাতে করে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আর না ঘটে।

মন্তব্য

জামায়াত দল নিয়ন্ত্রণ করেছে, দেশও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে : শফিকুর রহমান

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
জামায়াত দল নিয়ন্ত্রণ করেছে, দেশও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে : শফিকুর রহমান
ছবি : ভিডিও থেকে নেওয়া

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, জামায়াত ইসলামী দল নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে, ক্ষমতা পেলে দেশও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।

আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে জামায়াতের রুকন সম্মেলনে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

জামায়াত আমির বলেন, ‘পৃথিবীর একমাত্র অসাম্প্রদায়িক ধর্ম ইসলাম। আমরা ইনসাফভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে সবার সহযোগিতা চাই।

জামায়াতের রাজনীতি হবে মানুষ ও মানবতার কল্যাণে। ইসলাম ও দেশপ্রেমিক সবাইকে সঙ্গে নিয়ে পথ চলতে চাই আমরা।’

গত সাড়ে ১৫ বছরে দেশ বিচারের নামে প্রহসন দেখেছে বলেও অভিযোগ করেন ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘গত ৫৪ বছরে বাংলাদেশের একজন নাগরিকের প্রতিও অবিচার করেনি জামায়াত।

জামায়াত দল নিয়ন্ত্রণ করেছে, তেমনি দেশও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।’

মন্তব্য

শীর্ষ অপরাধীদের শাস্তি দেখতে চাই : জামায়াত আমির

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
শেয়ার
শীর্ষ অপরাধীদের শাস্তি দেখতে চাই : জামায়াত আমির
ছবি : কালের কণ্ঠ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘সব বিচার এই সময়ের মধ্যে হওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা দৃশ্যমান কিছু দেখতে চাই। দুই-চারটা হলেও আমরা শীর্ষ অপরাধীদের শাস্তি দেখতে চাই।’ 

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বিকেলে সিলেট নগরের বালুচরে সিলেট শিল্পকলা একাডেমিতে মহানগর জামায়াত আয়োজিত জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্মরণে আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘তিন-তিনটি নির্বাচনে মানুষ তাদের অধিকার এবং পছন্দের দল বা ব্যক্তিকে বাছাই করতে পারেনি। আমরা আশাবাদী, আগামী বছরের প্রথম অংশে এ নির্বাচন হবে।’ 

আরো পড়ুন
পিআর পদ্ধতি মানে না বিএনপি : মুশফিকুর রহমান

পিআর পদ্ধতি মানে না বিএনপি : মুশফিকুর রহমান

 

তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক সংস্কারগুলো যদি করা না হয় এবং আগের মতো যদি নির্বাচন হয়, সেই নির্বাচন জাতির জন্য আরেকটি দুর্ভাগ্য ও বেদনার কারণ হবে। আমরা এটা দেখতে চাই না এবং এটা হতে দিতে পারি না।

এজন্য প্রয়োজন সংস্কার ও অপরাধীর বিচার।’ 

তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘যদি কেউ ধানাইপানাই করেন, মনে রাখবেন যুবকেরা রাস্তা চিনে ফেলেছে। আগামীতে আমি করি আর আপনি করেন, ধানাইপানাই করলে যুবকেরা আপনাকে আমাকে কাউকে ছাড়বে না।’

বৈদেশিক সম্পর্কের বিষয়ে ড. শফিকুর রহমান বলেন, ‘বৈদেশিক সম্পর্কের ব্যাপারে আমাদের কথা একদম পরিষ্কার।

একেবারে বাস্তবিক অর্থেই আমরা কোথাও কারো কোনো প্রভুত্ব মানব না। প্রভু আমাদের একজনই, তিনি আল্লাহ সুবহানা তায়ালা। এমনকি কারো বড় ভাই গিরিও আমরা মানব না।’ 

আরো পড়ুন
চাঁদাবাজির অভিযোগে ছাত্রদলের দুই নেতাকে পুলিশে দিল বিএনপি

চাঁদাবাজির অভিযোগে ছাত্রদলের দুই নেতাকে পুলিশে দিল বিএনপি

 

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের দেশ ছোট না বড়, এটা কোনো বিষয় নয়। এটি একটি স্বাধীন দেশ।

১৮ কোটি মানুষের দেশ। এই দেশে সমমর্যাদার ভিত্তিতে সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলব, ইনশাআল্লাহ। এখানে প্রতিবেশীরা অগ্রাধিকার পাবেন। কিন্তু কোনো প্রতিবেশী যদি অব্যাহতভাবে আমাদের অধিকার হরণ করতে থাকেন। তাহলে এদেশের একসঙ্গে ১৮ কোটি মানুষ রুখে দাঁড়াবে।’ 

জামায়াতের এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘আমরা আমাদের অধিকার কারো কাছে বন্ধক রাখব না। আমাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে কেউ নাক গলাক, এটাও আমরা চাইব না। আমরা মর্যাদার ভিত্তিতে তাদেরকেও মর্যাদা দিতে চাই, আমরাও মর্যাদা পেতে চাই। এই ভিত্তিতেই হবে আমাদের ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন।’
 

মন্তব্য

হাসিনার ফ্যাসিবাদী যুগে কথিত বুদ্ধিজীবীরা সব কিছু দেখেও চুপ ছিলেন : দিলারা চৌধুরী

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
হাসিনার ফ্যাসিবাদী যুগে কথিত বুদ্ধিজীবীরা সব কিছু দেখেও চুপ ছিলেন : দিলারা চৌধুরী
সংগৃহীত ছবি

রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. দিলারা চৌধুরী বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা কর্তৃত্ববাদী শাসক থেকে ফ্যাসিবাদী শাসকে পরিণত হওয়ার জন্য আমরাও কম দায়ী নই। এ দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দলগুলো, তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা সব কিছু দেখেও চুপ ছিল। এত হত্যা, গুম, খুনের পর তথাকথিত বন্ধু রাষ্ট্র হাসিনা ও তার দোসরদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে।’ 

আজ বৃহস্পতিবার আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী নারীদের সম্মাননা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

এতে সভাপতিত্ব করেন এবি পার্টির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার। 

রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. দিলারা চৌধুরী বলেন, ‘আমি ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে থেকে পত্রপত্রিকায় লিখেছি, টক শোতে কথা বলেছি। তখনই আমি বলেছিলাম, শেখ হাসিনা একটি ফ্র্যাংকেনস্টাইন শাসন চালু করতে চলেছে। এই যে শেখ হাসিনা একটি কর্তৃত্ববাদী শাসক থেকে ফ্যাসিবাদী শাসকে পরিণত হলো এর জন্য আমরাও কম দায়ী নই।

’ 

তিনি বলেন, ‘এ দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দলগুলো, তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা সব কিছু দেখেও চুপ ছিল। এত হত্যা, গুম, খুনের পর তথাকথিত বন্ধু রাষ্ট্র হাসিনা ও তার দোসরদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে। শুধু আশ্রয় দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, এখন তারা বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা নষ্টের জন্য সব প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যেই ফ্যাসিবাদীদের পতনে দেশের নারীরা জীবন দিল, প্রতিরোধ গড়ে তুলল, চিকিৎসা দিল, কিন্তু এখন আমার সেই নারী-বোনদের আর চোখে পড়ে না।

’ 

তিনি আরো বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধেও আমরা একই চিত্র দেখেছি, কিছু মানুষ যুদ্ধ না করেও সার্টিফিকেট নিয়েছে। সুযোগ-সুবিধা নিয়েছে। এখন এই গণ-অভ্যুত্থানের পরও অনেক মানুষ ক্রেডিট নিতে ব্যস্ত। সরকারি নানা সুবিধা আদায়ে সচেষ্ট; কিন্তু আন্দোলনের সেই অগ্নিকন্যারা আমাদের মাঝ থেকে নীরবে সরে যাচ্ছে।’

তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অংশ নেওয়া নারীরাও মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী নারীদের মতো হারিয়ে যেতে বসেছে।

এটা আমরা হতে দিতে পারি না। আমরা আশা করি, এবি পার্টির মাধ্যমে আগামী দিনে ব্যাপক সংখ্যক নারীরা সংসদে গিয়ে দেশের ও নারী সমাজের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। 

সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর মিনার বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানে আমাদের ডাক্তার সানজিদা, পারশা যে ভূমিকা রেখেছেন তা অনন্য। আমরা আন্দোলনের সময় শত শত মানুষকে শুধু হাসপাতালে যেতে দেখেছি। সঠিক চিকিৎসা দেওয়ার পরিবেশও ছিল না। তৎকালীন স্বৈরাচার লাশ গণকবর দিয়েছে। আহত ও নিহতদের কোনো হদিস পাওয়া সম্ভব হয়নি।’

তিনি শহীদদের পরিবারের প্রতি গভীর সম্মান জানিয়ে বলেন, আপনাদের ভার বইবার শক্তি আমাদের নাই। তিনি এবি পার্টিতে নারীদের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

গণ-অভ্যুত্থানে নারীদের উজ্জ্বল ভূমিকার কথা উল্লেখ করে এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ পতন আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা, আমাদের মায়েরা, বোনেরা কারফিউ ভঙ্গ করে মিছিল করেছেন। আমি দীর্ঘ সময় ধরে শহীদদের পরিবারের অনুভূতি শুনছিলাম। ডাক্তার বোনদের বক্তব্য শুনছিলাম। এগুলো আমাদের শুনতে হবে। বুঝতে হবে, কিভাবে একটি স্বৈরাচারী ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছিল। দেশের মানুষ মুক্তির নেশায় কতটা ত্যাগ করেছিল।’

তিনি গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সব নারীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানান। 

ব্যারিস্টার নাসরীন সুলতানা মিলি বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনের এক বছর যেতে না যেতেই আমরা আন্দোলনে অংশ নেওয়া নারীদের ভুলে যাচ্ছি। সেই সময়ের অগ্নিকন্যারা এখন হারিয়ে যেতে বসেছে। তাহলে আমরা কী বুঝব, প্রয়োজনেই শুধু নারীদের গুরুত্ব।’

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ