<p>জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনা দেশ ছেড়েছেন, এটা আল্লাহর রহমত। এ দেশের ছাত্র-জনতা গুলির সামনে বুক পেতে দিয়ে স্বৈরাচার হাসিনার পতন নিশ্চিত করেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এত বড় আন্দোলনের নজির নেই।</p> <p>মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় মোটর শ্রমিক পার্টির সঙ্গে মতবিনিময়সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।</p> <p>গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, ‘আন্দোলনে এত নির্যাতন আর হত্যাযজ্ঞের ইতিহাসও নেই আমাদের দেশে। আমাদের বীর সন্তানরা জীবন দিয়ে স্বৈরাচারের পতন নিশ্চিত করেছে, যা আমরা পারিনি। শেখ হাসিনার পতন না হলে একদলীয় সরকার ব্যবস্থা কায়েম হতো। দেশে মাত্র একটি দলই থাকত।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="শেখ হাসিনাকে আমরা কখনোই প্রধানমন্ত্রী বলতাম না : চরমোনাই পীর" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/24/1727155672-d910c0bfa749cd12cea822ced3c1f8b7.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>শেখ হাসিনাকে আমরা কখনোই প্রধানমন্ত্রী বলতাম না : চরমোনাই পীর</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Politics/2024/09/24/1428409" target="_blank"> </a></div> </div> <p>তিনি বলেন, চাঁদাবাজ চক্রের হাত থেক পরিবহন সেক্টর বাঁচাতে হবে। পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের বাঁচাতে এখনই উদ্যোগ নিতে হবে। পরিবহন মালিকদের দাবি সড়কের চাঁদার জন্য গণপরিবহনের ভাড়া বেড়ে যায়। গণপরিবহনের চালক ও সহযোগী নিয়োগ দেয় শ্রমিক ইউনিয়ন, মালিকদের কর্তৃত্ব থাকে না। কেউ প্রতিবাদ করলে তার জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের চাঁদাবাজ চক্রের হাত থেকে মুক্তি দিতে হবে। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরো তিন হত্যা মামলা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/24/1727117304-cdf72214ce8632a0b44f7369082ae7c9.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরো তিন হত্যা মামলা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/09/24/1428301" target="_blank"> </a></div> </div> <p><br /> প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচন জাতীয় পার্টি বর্জন করেছিল। আমাদের নেতা পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে চিকিৎসার নামে সিএমএইচে আটক করা হয়। তার নির্দেশে আমি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিই। আমিসহ জাতীয় পার্টির ২৭০ জন নির্বাচন বর্জন করি। ২০১৪ সালের সংসদে আমি যাইনি। মঞ্জুর হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন চাপে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে সংসদে যেতে বাধ্য করে আওয়ামী লীগ সরকার। কিন্তু ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি না গেলেও উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভাসহ বেশ কিছু নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল বিএনপি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপিসহ প্রায় সব দলই নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। আমরাও সেই নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম। ২০২৪ সালের নির্বাচনে আমরা যেতে চাইনি। আমাদের নির্বাচনে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। আমাদের দল মাঝে বিভাজন সৃষ্টি করেছিল আওয়ামী লীগ।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজীর পাশে জামায়াত আমির" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/24/1727177713-4672cb92806a86c2f05759a49326a3cb.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজীর পাশে জামায়াত আমির</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Politics/2024/09/24/1428477" target="_blank"> </a></div> </div> <p>তিনি বলেন, ‘একটি গোষ্ঠীকে আমাদের দল ও প্রতীকের নামে কাউন্সিল করতে অন্যায়ভাবে অনুমতি দিয়েছিল তারা। হাস্যকর একটি মামলায় আমাকে রাজনীতি থেকে চার মাসের বেশি সময় দূরে রাখা হয়েছিল। আমরা নির্বাচন বর্জন করতে সংবাদ সম্মেলন করতে চেয়েছিলাম, সব কিছুই রেডি ছিল। কিন্তু বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্য ও বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা আমাদের অফিস কর্ডন করে রাখেন। আমাদের নির্বাচন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিতে দেয়নি, এটা সবাই জানে। এখন কথা হচ্ছে, ২০১৪ সালের নির্বাচনেও আমাদের বাধ্য করে নির্বাচনে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিএনপি ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচন না করলেও তো স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। আবার ২০১৮ সালের নির্বাচনেও তো বিএনপি অংশ নিয়েছিল। বিএনপির এমপিরা তো চার বছর সংসদে সক্রিয় অংশ নিয়েছিলেন। বাধ্য হয়ে জাতীয় পার্টির ২০২৪ সালের নির্বাচনে যাওয়া যদি আওয়ামী লীগের নির্বাচনকে বৈধতা দেওয়া হয় তাহলে ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন ও ২০১৪ সালের স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিএনপি কি আওয়ামী লীগের নির্বাচনকে বৈধতা দেয়নি?’</p> <p>জাতীয় মোটর শ্রমিক পার্টির সঙ্গে মতবিনিময়সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব মীর আব্দুস সবুর আসুদ, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, প্রেসিডিয়াম সদস্য আতিকুর রহমান আতিক প্রমুখ।</p>