<p>বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, ‘কোনো বিশেষ দলকে বাঁচাতে জাতীয় পার্টি রাজনীতি করবে না। আমরা আমাদের নিজস্ব রাজনীতি নিয়ে এগিয়ে যাব। জনগণের ডিমান্ড বিবেচনা করে রাজনীতি করব। আমরা গণমানুষের স্বার্থ বিবেচনা করে কর্মসূচি ঘোষণা করব।’</p> <p>আজ বুধবার (৬ মার্চ) দুপুরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানীস্থ কার্যালয় মিলনায়তনে পার্টির প্রেসিডিয়াম ও সংসদ সদস্যদের যৌথ সভায় তিনি এ কথা বলেন।</p> <p>জি এম কাদের বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই জাতীয় পার্টির কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। এর আগেই সকল জেলা ও উপজেলার কাউন্সিল সম্পন্ন করতে হবে। জাতীয় পার্টির বর্ধিত সভা, পার্টির ইফতার মাহফিল এবং বিভাগীয় পর্যায়ে সমাবেশ করা হবে।’</p> <p>প্রেসিডিয়াম সভা শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হবে। সকল জেলা-উপজেলার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন ওই সভায়। সেখানে জাতীয় পার্টির সার্বিক রাজনীতি নিয়ে আলোচনা হবে। আগামী আগস্টের মধ্যে তিন থেকে পাঁচ সদস্যের ছোট ছোট কমিটি করে জেলায় জেলায় পাঠানো হবে। তারা দলের সাংগঠনিক শক্তি পর্যালোচনা করে কেন্দ্রে একটি রিপোর্ট দেবে। আগামী আগস্টের মধ্যেই সকল জেলার সম্মেলন সম্পন্ন করা হবে। ১২ অক্টোবর জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত করার জন্য সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। অমার্জনীয় অপরাধের জন্য যারা বহিষ্কার হয়েছে তারা ব্যতীত অন্য বহিষ্কৃতরা ক্ষমা চাইলে পার্টি চেয়ারম্যান যেন সহানুভূতির দৃষ্টিতে বিবেচনা করেন সে ব্যাপারে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করা হয়েছে।’</p> <p>সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘দল থেকে বহিষ্কৃত অনেকেই আবারও দলে ফিরতে চেয়ে যোগাযোগ করছেন। পার্টির চেয়ারম্যান ও মহাসচিবকে বহিষ্কার করার জন্য কাজী ফিরোজ রশীদের বাসায় মিটিং হয়েছিল। তাই কাজী ফিরোজ রশীদকে পার্টি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তথাকথিত সম্মেলন কমিটির সভায় বক্তৃতা করায় সৈয়দ আবু হোসেন বাবলাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। কারণ বাবলা সাহেব নিজেই পার্টি থেকে চলে গেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদের সঙ্গে আমাদের স্পর্শকাতর সম্পর্ক। তাই তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেই। রওশন এরশাদের নাম ব্যবহার করে যারা অন্যায় করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’</p> <p>সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান, এই দলের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ১২। এই দলের মার্কা লাঙল। তথাকথিত সম্মেলন যারা করছে তারা ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছিল যে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও মহাসচিবকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন তাদের ওই চিঠিকে নাকচ করে দিয়েছে। আমাদের দলের বাইরে কেউ যদি মহাসম্মেলনও করে সে বিষয়ে আমাদের বলার কিছু নেই। জাতীয় পার্টির নামে ব্র্যাকেটে যদি কেউ মই মার্কা, আম মার্কা, জাম মার্কা, বেগুন মার্কা করে, তাহলে করতেই পারে। সে ব্যাপারে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই।’</p> <p>সভার শুরুতে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য হাবিবুর রহমানসহ প্রয়াত নেতৃবৃন্দের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও শোক প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। </p> <p>জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের সভাপতিত্বে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম ও সংসদ সদস্যদের যৌথ সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের, সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, পার্টির মহাসচিব ও বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ অ্যাডভোকেট মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, প্রেসিডিয়াম সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, গোলাম কিবরিয়া টিপু, ফখরুল ইমাম, সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, নাসরিন জাহান রতনা, আব্দুর রশীদ সরকার, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, লে. জোনারেল মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী (অব.), অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, মো. মিজানুর রহমান, সৈয়দ দিদার বখ্ত, এমরান হোসেন মিয়া, লিয়াকত হোসেন খোকা, মোস্তফা আল মাহমুদ, জহিরুল আলম রুবেল, শেরীফা কাদের, এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মো. আশরাফুজ্জামান আশু, ভাইস চেয়ারম্যান নুরুন্নাহার বেগম।</p>