<article> <p>দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জোটের শরিক বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারীকে ছেড়ে দেয় চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনটি। এবার এই আসনে নৌকার প্রার্থী মনোনীত করা হয় খাদিজাতুল আনোয়ার সনিকে। তিনি এই আসনের প্রয়াত এমপি রফিকুল আনোয়ারের মেয়ে।</p> <p><img alt="একতারাকে ছেড়ে দেওয়ার গুঞ্জন, হতাশ নেতাকর্মীরা" height="360" src="https://www.kalerkantho.com/_next/image?url=http%3A%2F%2Fcdn.kalerkantho.com%2Fpublic%2Fnews_images%2F2023%2F12%2F31%2F1704044552-e5ace7e648f14dee302166eab3523861.jpg&w=1920&q=100" width="600" /></p> <p>কিন্তু হঠাৎ করে আসনটি জোটের আরেক শরিক বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান শাহজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদকে (একতারা) ছেড়ে দেওয়ার গুঞ্জন উঠেছে। এই খবরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েছেন। তাঁরা প্রকাশ্যেই হতাশা প্রকাশ করেন। অনেকেই মন্তব্য করেন, আওয়ামী লীগ একতারাকে সমর্থন দিলে ভোটাররা কেন্দ্রে যাবেন না।</p> </article> <article> <p>খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৫টি আসনের মধ্যে যে দুটি আসন আওয়ামী লীগ পেয়েছিল তার একটি বর্তমান চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি)। সংসদ সদস্য (এমপি) হন রফিকুল আনোয়ার। আসনটি গত দুই নির্বাচনে জোটের শরিক বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এবার রফিকুল আনোয়ারের মেয়ে খাদিজাতুল আনোয়ার সনিকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।</p> </article> <article> <p>শুধু তাই নয়, চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে বিভিন্ন দল ও স্বতন্ত্র মিলে ১২৫ জন প্রার্থীর মধ্যে একমাত্র নারী প্রার্থীও সনি। চট্টগ্রামে দলের হয়ে সরাসরি ভোটেও তিনি প্রথম নারী প্রার্থী। সনি বর্তমানে নারী সংসদ সদস্য।</p> </article> <article> <p>১০ বছর পর নির্বাচনী মাঠে দলের প্রার্থী পেয়ে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা একাট্টা হয়ে নৌকার প্রার্থী সনির জন্য আটঘাট বেঁধে মাঠে নামেন। সনির সঙ্গে তিনজন স্বতন্ত্রসহ আটজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে টানা দুইবারের সংসদ সদস্য তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী (ফুলের মালা), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান শাহজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ (একতারা), স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে নির্বাচন করা হোসাইন মো. আবু তৈয়ব (তরমুজ) রয়েছেন।</p> </article> <article> <p>বিভিন্ন এলাকার লোকজন ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা জানান, নির্বাচনী মাঠে মোট ৯ জন প্রার্থী থাকলেও নিজ দলের প্রার্থীর পক্ষে উপজেলা, দুটি পৌরসভার মোট ছয়জন সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং দুই পৌর মেয়রসহ প্রায় সবাই মাঠে নেমে নৌকার জন্য ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন। ফটিকছড়িজুড়ে যখন নৌকার পালে হওয়া লেগেছে তখন শোনা যাচ্ছে, আসনটি বিএসপির প্রার্থীকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। এই খবরে ভোটের মাঠে শুরু হয়েছে নানা জল্পনাকল্পনা। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সমর্থক ও ভোটাররা দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েছেন। গত শুক্রবার রাত থেকে গতকাল দিনভর নানামুখী আলোচনা চললেও এর মাঝেও গতকাল সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত আসনের ভুজপুর, নারায়ণহাটসহ আশপাশে এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ করেছেন নৌকার প্রার্থী।</p> <p>বিএসপিকে সমর্থন দেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে চট্টগ্রাম-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী খাদিজাতুল আনোয়ার সনি গতকাল দুপুরে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘প্রায় এলাকায় গণসংযোগ-প্রচারণার কাজ করে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। আমার বাবা দুইবারের এমপি ছিলেন। সবাই মাঠে নেমেছেন নৌকার সমর্থনে। ভোটের আর সপ্তাহখানেক সময় আছে। প্রচারণার সময় আরো কম। ভোটে দেখা যাক জনপ্রিয়তা কার বেশি। আমি ভোটে বিশ্বাসী।’</p> <p>এক প্রশ্নের জবাবে সনি বলেন, ‘কেন্দ্র থেকে আমাকে কেউ কিছু বলেনি। আমি ভোটের মাঠে আছি। সকাল থেকে ভুজপুর এলাকায় গণসংযোগ করছি।’</p> <p>বিএসপির চেয়ারম্যান শাহজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ (একতারা) কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ভোটের মাঠে আছি। প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’ তবে কী সিদ্ধান্ত তা জানাননি বিএসপির চেয়ারম্যান।</p> <p>এদিকে ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাপুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা কেন্দ্র থেকে লিখিত কিছু পাইনি। ভোটের মাঠে যেসব কথা (নৌকার সমর্থন তুলে নেওয়া হচ্ছে) ছড়ানো হচ্ছে, তাতে নৌকার পক্ষে সমর্থন আরো অনেক বেড়ে গেছে। অনেক দিন পর আমরা দলীয় প্রার্থী পেয়েছি। শেষ মুহূর্তে এসে এসব কথা কেউ শুনতে চায় না।’</p> </article>