<p>‘হজ’ অর্থ কোনো মহৎ কাজের ইচ্ছা করা। হজের নিয়তসহ ইহরাম ধারণ করে নির্দিষ্ট দিনে আরাফার ময়দানে অবস্থান করা ও কাবা শরিফ তাওয়াফ করাকে হজ বলে। (ফাতাওয়া শামি : ২/৪৫৪)</p> <p>‘ওমরাহ’ অর্থ পরিদর্শন করা। ওমরাহর নিয়তে ইহরাম ধারণ করে তাওয়াফ ও সায়ি করে মাথা কামিয়ে ইহরামমুক্ত হওয়াকে ওমরাহ বলে। (ফাতহুল বারি : ৩/৫৯৭)</p> <p><strong>হজের ফজিলত</strong></p> <p>রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হজ করে এবং অশ্লীল ও গুনাহর কাজ থেকে বেঁচে থাকে, সে নবজাতক শিশুর মতো নিষ্পাপ হয়ে যায়। আর মকবুল হজের পুরস্কার জান্নাত ছাড়া অন্য কিছুই নয়।’ (বুখারি : ১৫২১)</p> <p><strong>হজের সময় ও তার নির্ধারিত স্থান</strong></p> <p>হজের নির্দিষ্ট সময়—শাওয়াল, জিলকদ ও জিলহজের প্রথম ১০ দিন। বিশেষত ৮ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত পাঁচ দিন। এ পাঁচ দিনই মূলত হজ পালন করা হয়। হজের নির্ধারিত স্থান—কাবা শরিফ, সাফা-মারওয়া, মিনা, আরাফা ও মুজদালিফা। (আসান ফিকাহ : ২/২৫১)</p> <p><strong>হজের প্রকারভেদ</strong></p> <p><strong>১. ইফরাদ : </strong>শুধু হজের নিয়তে ইহরাম ধারণ করে ওই ইহরামেই হজকার্য সম্পন্ন করা।</p> <p><strong>২. তামাত্তু :</strong> শুধু ওমরাহর নিয়তে ইহরাম ধারণ করে ওমরাহর কাজ সমাপ্ত করে মাথা মুণ্ডন করে ইহরাম থেকে মুক্ত হওয়া। অতঃপর ওই সফরেই হজের নিয়তে ইহরাম বেঁধে হজকার্য সম্পাদন করা।</p> <p><strong>৩. কিরান : </strong>একসঙ্গে ওমরাহ ও হজের নিয়তে ইহরাম ধারণ করে ওই একই ইহরামে ওমরাহ ও হজ পালন করা। এ তিন প্রকারের মধ্যে উত্তম হলো ‘কিরান’। কিন্তু ইহরাম দীর্ঘায়িত হওয়ার কারণে নিষেধাজ্ঞাবলি সঠিকভাবে মেনে চলতে না পারার আশঙ্কা থাকলে হজে তামাত্তুই উত্তম। (ফাতাওয়া শামি : ২/৫২৯)</p> <p> </p>