<p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যুক্তরাষ্ট্রের মিডওয়েস্টের সবুজ মাঠে দাঁড়িয়ে একজন কৃষক তাঁর সয়াবিনগাছের পাতায় থাকা একটি পতঙ্গের ছবি তোলেন। সেই ছবি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাচালিত একটি প্রগ্রামে দিয়ে জানতে চান পতঙ্গটির নাম কী</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">, এটি তাঁর খামারের জন্য ক্ষতিকর কি না। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তাঁকে আশ্বস্ত করে জানায়, এটি ততটা ক্ষতিকর নয়। শুনতে নতুন মনে হলেও কৃষিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ ছাড়া একবিংশ শতাব্দীর সব মানুষের খাদ্য চাহিদা পূরণ একপ্রকার কঠিন হয়ে যেতে পারে। ভারত ও চীনের পর যুক্তরাষ্ট্র কৃষিপণ্য উৎপাদনের সবচেয়ে বড় বাজার। তবে অন্যান্য কৃষিপ্রধান দেশের মতো যুক্তরাষ্ট্রের বড় সমস্যা কৃষকদের বয়স বৃদ্ধি এবং কৃষিতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলা প্রজন্ম। যুক্তরাষ্ট্রের ফার্ম ব্যুরো ফেডারেশনের শিল্প বাণিজ্য সমিতির পরিচালক এমিলি বাকম্যান বিবিসিকে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কৃষকদের গড় বয়স এখন ৬০ বছর</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">, যার কারণে কৃষিতে যে পরিমাণ কায়িক শ্রম লাগে সেটি পূরণ করা দিন দিন কঠিন হয়ে যাচ্ছে। নতুন প্রজন্মের কাছে কৃষির চেয়ে বিভিন্ন শিল্প-কারখানায় চাকরি করাটা বেশ আকর্ষণীয়। এ কারণে শ্রম ঘাটতি মেটাতে কৃষকরা রোবটিকস ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সরঞ্জামের দিকে তাকিয়ে আছেন। আমার মনে হয়, শুধু প্রযুক্তির অগ্রগতিই পারে কৃষকদের শ্রম কিছুটা লাঘব করতে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left; text-indent:9.0pt"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ড্রোন ও জিপিএস সরঞ্জামগুলোকেই বর্তমানে উন্নত প্রযুক্তির কৃষি উপকরণ মনে করেন বেশির ভাগ কৃষক। তবে বাজারে এর বাইরেও অনেক মানসম্পন্ন যন্ত্র প্রচলিত আছে। বিশেষ করে স্বচালিত ট্রাক্টর ও কম্বিন। কৃষকদের জন্য উন্নত সেন্সরের ব্যবস্থা করা হয়েছে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">, যেটি তাঁদের নির্দেশ করতে পারে ফসলি মাঠের কোন অংশে বেশি মনোযোগ দিতে হবে আর কোথায় কম। বেশ কিছু রোবট বাজারে প্রচলিত আছে, যেগুলো যেকোনো ফসলের নির্দিষ্ট ত্রুটির সন্ধান করতে এবং আগাছা অপসারণে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। এসব যন্ত্র একাই এক ডজন শ্রমিককে প্রতিস্থাপন করতে সক্ষম। </span></span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:center"><img alt="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/03.March/31-03-2024/2/kalerkantho-tw-2a.jpg" height="566" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/03.March/31-03-2024/2/kalerkantho-tw-2a.jpg" width="1000" /></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left; text-indent:9.0pt"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার একেবারে নতুন নয়। ভুট্টার মতো ফসলের জন্য দুই দশক থেকেই স্বয়ংক্রিয় স্টিয়ারিং গাইডেন্স সিস্টেম ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ২০২১ সাল থেকে সেখানকার ৮৭ শতাংশ কৃষি শিল্প কোনো না কোনোভাবেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে জড়িত। ফেডারেল সরকার বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে কৃষিতে গতি আনতে আর্থিক প্রণোদনা দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে থাকা প্রায় দুই মিলিয়ন খামারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সফল প্রয়োগ হলে এটির প্রভাব পড়তে পারে কৃষিনির্ভর অন্যান্য দেশেও। ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের জনসংখ্যা দুই বিলিয়ন বৃদ্ধি পেতে পারে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">, যার কারণে বর্তমানে পৃথিবীতে যে পরিমাণ খাবারের চাহিদা আছে তা বাড়বে ৭০ শতাংশ। শুধু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসমৃদ্ধ উদ্ভাবনী প্রযুক্তি অতিরিক্ত এই খাদ্য চাহিদা পূরণে সাহায্য করতে পারে।</span></span></span></span></span></span></p>