<p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.05pt">গত ১৩ জুন মারা যান কানাডার নোবেলজয়ী কথাসাহিত্যিক এলিস মুনরো। জন্ম ১৯৩৭ সালের ১০ জুলাই। অল্প বয়সেই ছোটগল্প লেখা শুরু করেন। নারী জীবনের বিশেষ বিশেষ সময়ের বাসনার জটিলতার কথা বলে মুনরো নতুন ধরনের পাঠক তৈরি করেছেন। আঞ্চলিকতার ছোঁয়া মুনরোর গল্পের একটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য : তাঁর গল্পের পটভূমি কানাডার ওন্টারিওর হুরোন কাউন্টিতে। কানাডার ছোট শহরের সাধারণ মানুষের জীবন তাঁর কাছে বিশেষ আকর্ষণের হওয়ারও একটা কারণ আছে বটে; তিনি সেখানকার জীবন খুব কাছ থেকে দেখেছেন বলেই তাঁর গল্পের উপাদান সেখান থেকে নিয়েছেন এবং সেখানেই গল্পের পটভূমি তৈরি করেছেন। উইলিয়াম ফকনার এবং ফ্লেনারি ও</span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.05pt">’</span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.05pt">কনোরের লেখায় উঠে আসা আমেরিকার দক্ষিণের জীবন যেমন মুনরোর গল্পের ওন্টারিও-জীবনও তেমন। তাঁর কাহিনিতে পুরনো রীতিনীতি ও ঐতিহ্যের সঙ্গে চরিত্রদের দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। তবে আমেরিকার দক্ষিণের চরিত্রদের মতো তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয় না মুনরোর চরিত্রদের মানসে। তাঁর পুরুষ চরিত্ররা আর দশজন সাধারণ পুরুষের মতোই। তবে নারী চরিত্ররা পুরুষ চরিত্রদের চেয়ে বেশি জটিল। বিশেষ করে মুনরোর প্রথম দিকের গল্পে পরিণত বয়সের দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় নারীকে জটিলতায় পতিত হতে দেখা যায়। পরিবার-পরিজনসহ চারপাশের মানুষ এবং মফস্বলের জীবনের মুখোমুাখি হতে হয় তাঁকে। মুনরোর </span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.05pt">‘</span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.05pt">দ্য ভয়েস</span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.05pt">’</span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.05pt"> গল্পে এমন একজনকে দেখা যায়, সে জীবনে ওপরের দিকে উঠতে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। তাঁর মেয়ের জবানিতে শোনা যায়, </span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.05pt">‘</span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.05pt">অন্যদের কাছে আমার মায়ের চেয়ে বাবার গ্রহণযোগ্যতাই বেশি ছিল। যেকোনো বিষয়ে কেউ কিছু বললে বাবা সহজে বিশ্বাস করতেন। অন্যদিকে মা সে রকমটা করতেন না। খামারি মেয়ের জীবনের স্তর থেকে স্কুল শিক্ষকের পর্যায়ে উঠে আসার জন্য চেষ্টা করেছেন মা। কিন্তু সেটাই যথেষ্ট নয়; যে পর্যায়ে উঠে আসতে চেয়েছিলেন সে পর্যায় পর্যন্ত আসতে পারেননি। কিংবা শহরে যে পর্যায়ের বন্ধু পাবেন বলে আশা করেছিলেন সে রকম পাননি। তাঁর বসবাস ছিল ভুল জায়গায় এবং নিজের পর্যাপ্ত টাকা-পয়সা ছিল না হাতে। তবে কোনো দিক থেকেই তাঁর কাঙ্ক্ষিত স্তরে পৌঁছানোর সহায়ক হাতিয়ারও ছিল না।</span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.05pt">’</span></span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p style="text-indent:.15in"><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.05pt">নারীদের জীবনে প্রত্যাশার বাইরে ঘটা কিছু বিষয়ও জলিতা তৈরি করে থাকে। </span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.05pt">‘</span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.05pt">রানঅ্যাওয়ে</span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.05pt">’</span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.05pt"> গল্পে দেখানো হয়েছে একজন নারীর বিবাহিত জীবন খুব কঠিন মনে হওয়ায় সে সিদ্ধান্ত নেয়, তার স্বামীকে ছেড়ে চলে যাবে। যুক্তিবুদ্ধি বোঝে এমন একজন বয়স্ক নারীও তাকে সমর্থন দেয়। সে সমর্থন গ্রহণও করে। কিন্তু পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে উপলব্ধি করতে পারে, সে যেতে পারছে না। তার চলে যাওয়াটাই যুক্তিসংগত। তার যাওয়ার পেছনে অনেক কারণ আছে। কিন্তু সে যেতে পারে না।</span></span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p style="text-indent:.15in"><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.05pt">নতুন শতাব্দীর শুরুর দিকে মুনরোর দৃষ্টি চলে যায় নারীদের মাঝ বয়সের জীবন-যন্ত্রণার দিকে। এই নারীরা কেউ মধ্য বয়সী, কেউ বার্ধক্যে পৌঁছেছে, কেউ তালাকপ্রাপ্তা। তাদের মধ্যে অনেকেই নিঃসঙ্গ। চলমান অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়েই তারা জীবনের বহুবিধ সত্য সম্পর্কে জানতে পারে। সর্বজ্ঞ বয়ানকারীও তাঁর গল্পের একটা প্রধান বৈশিষ্ট্য। তার মাধ্যমেই মুনরোর গল্পের বিশেষ বিষয়গুলো পরিষ্কার হয়ে ওঠে। অনেক সমালোচক মনে করেন, মুনরোর গল্পের আবেগগত এবং সাহিত্যিক গভীরতা উপন্যাসের সমান। কেউ কেউ প্রশ্নও তুলেছেন, এলিস মুনরো আসলে গল্প লেখেন, নাকি উপন্যাস লেখেন। আসলে তাঁর অনেক গল্পে কথার গভীরতা ও ব্যাপ্তি প্রায় উপন্যাসের উপাদানের সমানই। </span></span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p style="text-indent:.15in"><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.05pt">ছোটগল্প নিয়ে কাজ করতে থাকার কারণ হিসেবে জানা যায়, লেখালেখির জীবন শুরু করার সময় তিনি ভেবেছিলেন, উপন্যাস লিখবেন। কিন্তু লিখলেন ছোটগল্প। কারণ তখন উপন্যাস লেখার মতো সময় বের করতে পারেননি। বাড়ির কাজকর্ম আর সন্তান পালনের জন্য সময় দিয়ে উপন্যাস লেখার মতো বাড়তি সময় হাতে থাকত না। কিছু দিন পর তিনি বুঝতে পারলেন, তিনি যে রকম পরিসর চেয়েছিলেন তাঁর লেখা গল্পের পরিসরও সে রকমই হয়ে গেছে</span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.05pt">—</span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.05pt">তবে অবশ্যই গল্পের পরিসর স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি দীর্ঘ। বুঝতে পারলেন, তিনি এ রকমটাই চেয়েছিলেন। পরিসর এ রকম হওয়ায় তাঁর যা কিছু বলার সেটা বলে ফেলার মতো যথেষ্ট জায়গা পাওয়া গেছে। শুরুতে গল্পের পরিসরের কারণে কাজটা একটু কঠিনই ছিল। কারণ তখনকার পাঠকের কাছে প্রত্যাশিত ছিল ছোটগল্পের একটা নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্য। তাঁরা চাইতেন, ছোটগল্প ছোট হবে। কিন্তু মুনরোর গল্প চলতে চলতে অনেক দূর চলে যেত এবং গল্পের ভেতর অনেক রকমের বিষয়-আশয় উঠে আসত। আসলে কখনো তাঁর মাথায় আসেনি, গল্পের নির্দিষ্ট পরিসর থাকবে কেন। গল্পের যতটুকু পরিসর দরকার সেটা তিনি দিয়েছেন। </span></span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p style="text-indent:.15in"><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">মানব মনের গহিনের রহস্য নিয়ে যেসব গল্প তিনি লিখেছেন সেগুলোতে প্রয়োগ করার জন্য কতটা শক্তি ও মেধার দরকার ছিল, তাঁর পাঠক জানেন। হয়তো সে কারণেই আমেরিকার বর্ষীয়ান লেখক ও সাহিত্য সমালোচক সিনথিয়া ওজিক মেধাবী এলিস মুনরোকে </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আমাদের চেখভ</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> বলেছেন। বড় লেখক এলিস মুনরোর মনটাও ছিল বিশাল, উদার। তাঁর গল্পগ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">হু ডু ইউ থিংক ইউ আর</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">দ্য মুনস অব জুপিটার</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">দ্য প্রগ্রেস অব লাভ</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ফ্রেন্ড অব মাই ইয়ুথ</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ওপেন সিক্রেটস</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">দ্য লাভ অব আ গুড ওম্যান</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">রানঅ্যাওয়ে</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">দ্য ভিউ ফ্রম কাসল রক</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">টু মাচ অব হ্যাপিনেস</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> এবং </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ডিয়ার লাইফ</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> প্রভৃতি। সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান ২০১৩ সালে। ১৯৯৮ এবং ২০০৪ সালে পান গিলার পুরস্কার। গিলার পুরস্কার কানাডার জাতীয় পর্যায়ের সবচেয়ে মর্যাদাবান পুরস্কারগুলোর অন্যতম। ২০০৯ সালেও তিনি বই জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে তাঁর বই প্রত্যাহার করে নেন। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, তিনি এরই মধ্যে দুবার পেয়েছেন এই পুরস্কার। এখন নবীনদের জন্য সুযোগ করে দিতে হবে। তবে ২০০৯ সালে পান ম্যানবুকার পুরস্কার। তাঁর মৃত্যুতে শ্রদ্ধাঞ্জলি। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p style="text-indent:.15in"> </p> <p style="text-indent:.15in"> </p> <p style="text-indent:.15in"> </p> <p style="text-indent:.15in"> </p>
