<p> কুড়িগ্রামের কিশোরী ফেলানী হত্যার পুনর্বিচারের কাজ আবার শুরু হচ্ছে ভারতের কোচবিহারে বিএসএফ সেক্টর সদর দপ্তরে স্থাপিত বিশেষ আদালতে। এতে আগামীকাল সোমবার সাক্ষ্য দেবেন ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম নুরু; এ জন্য আজ রবিবার তিনি ভারত যাচ্ছেন। তাঁর সঙ্গে যাচ্ছেন কুড়িগ্রাম ৪৫ বিজিবির ভারপ্রাপ্ত পরিচালক, মেজর এ টি এম হেমায়েতুল ইসলাম ও কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্রাহাম লিংকন।</p> <p> এর আগে একই আদালতের ডাক পেয়ে গত ২৬ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য ভারতের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন ফেলানীর বাবা। কিন্তু কিছু দূর যাওয়ার পর জানতে পারেন আদালত তিন দিনের জন্য মুলতবি ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে ফিরে আসতে হয় তাঁকে।</p> <p> ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম নুরু কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমার চোক্ষের সামনে ওরা মেয়েডারে গুলি কইর‌্যা মারছে। আগেরবার বিচারের নামে ওরা তামশা করছিল। আশা করি এইবার ন্যায়বিচার পামু।'</p> <p> ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ায় বিএসএফের গুলিতে প্রাণ হারায় কিশোরী ফেলানী। এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দেশ-বিদেশের গণমাধ্যম ও মানবাধিকারকর্মীদের মধ্যে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট বিএসএফের বিশেষ আদালতে ফেলানী হত্যার বিচারকাজ শুরু করে ভারত সরকার। সেই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর ওই বিচারের রায়ে অভিযুক্ত অমিয় ঘোষকে নির্দোষ ঘোষণা করা হয়। এই রায় প্রত্যাখ্যান করে ফেলানী হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি ও ক্ষতিপূরণ দাবি করে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনারের কাছে আবেদন করেন ফেলানীর বাবা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি পুনর্বিচারের সিদ্ধান্ত নেয় বিএসএফ।</p> <p>  </p> <p>  </p>