<p> পটুয়াখালীর গলাচিপা, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর ও মাগুরার শ্রীপুরে তিন গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফরিদপুরে বাসে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে মারা গেছেন এক পোলট্রি ব্যবসায়ী। নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :</p> <p> পটুয়াখালী : গলাচিপা উপজেলার আমখোলা এলাকায় নিহত গৃহবধূর নাম রুনু বেগম (২৫)। রুনুর মামা শাজাহান হাওলাদার জানান, রুনুর কাছে জামাই জহিরুল ব্যাপারী তরমুজ চাষের জন্য এক লাখ টাকা দাবি করে। ওই টাকা দিতে না পারায় সাত-আট দিন আগে রুনুর ওপর অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়। এরপর স্থানীয়ভাবে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার অবস্থার অবনতি হলে শাজাহান তাঁকে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন এবং গতকাল শুক্রবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।</p> <p> শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) : শাহজাদপুরের পোরজনা গ্রামের এক সন্তানের (৬ মাস) জননী শিউলী রানী ঘোষকে (২০) বৃহস্পতিবার রাতে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিউলী শাহজাদপুর সরকারি কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। শিউলীর ভাই সুজন কুমার ঘোষ বলেন, তাঁর বোনকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।</p> <p> ফরিদপুর : ফরিদপুরে নিহত পোলট্রি ব্যবসায়ী হলেন মো. মোখলেস মিয়া (৪৫)। তিনি নগরকান্দার ফুলসুতী গ্রামের মৃত আব্দুল মালেক মিয়ার ছেলে। ফুলসুতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আরিফ হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে মোখলেস ফরিদপুরের সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস থেকে ৭০ হাজার টাকা তুলে একটি লোকাল বাসে বাড়ি ফিরছিলেন। বাসে তিনি অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে টাকা খোয়ান। পরে তাঁকে অজ্ঞান অবস্থায় ভুবুকদিয়া বাসস্ট্যান্ডে বাস থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। এরপর তাঁকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখানে চিকিৎসাকালে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মোখলেস অজ্ঞান অবস্থায় মারা যান।</p> <p> মাগুরা : শ্রীপুরের মহেশপুর গ্রামে নিহত গৃহবধূ হলেন জাহিদা বেগম (২৬)। তিনি ওই গ্রামের গোলাম রসুলের স্ত্রী। শ্রীপুর থানার ওসি আওলাদ হোসেন জানান, গতকাল দুপুরে মহেশপুর গ্রামের মদন মণ্ডলের একটি শূকর ছুটে স্থানীয় মাঠে চলে যায়। এটিকে আটকাতে মদন মণ্ডল বল্লম ছুড়ে মারেন। বল্লমটি সেখানে মরিচক্ষেতে থাকা জাহিদার শরীরে আঘাত হানলে তিনি মারা যান। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।</p> <p>  </p>