<p> পাটগ্রামের শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি নুরন্নবী বকুলের (২৩) লাশ উদ্ধার করেছে রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি)। লালমনিরহাট-বুড়িমারী রেলপথের পাটগ্রাম উপজেলার ধবলসতী (খ্যানপাড়া) এলাকা থেকে গতকাল শনিবার ছিন্নভিন্ন লাশটি উদ্ধার করেছে। ট্রেনের চাকায় কাটা পড়ায় লাশটি কয়েক টুকরো হয়েছে বলে জানিয়েছে জিআরপি। তবে এটি নিছক দুর্ঘটনা নয়, তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ রেললাইনে ফেলে রাখা হয়েছিল বলে দাবি করেছে নিহতের পরিবার।</p> <p> মৃত বুকল উপজেলার মধ্য ইসলামপুর গ্রামের ট্রাকচালক সিরাজুল ইসলামের ছেলে। তিনি একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের মাঠকর্মী ছিলেন। গত শুক্রবার রাতের কোনো এক সময় তিনি ট্রেনে কাটা পড়েন। গতকাল শনিবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হয়। বিকেলে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লালমনিরহাট পাঠানো হয়েছে।</p> <p> বুড়িমারী রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার নজরুল ইসলাম বলেন, 'বকুল ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছেন নাকি ট্রেন আসার আগেই তাঁর লাশ রেললাইনে ফেলে রাখা হয়েছিল, তা এই মুহূর্তে নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়।' মৃতের পরিবার জানায়, শুক্রবার রাত ৮টার দিকেও বুড়িমারী স্থলবন্দর বাজারে বন্ধুদের সঙ্গে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে বকুলকে। তবে রাতে তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। গতকাল সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁর লাশ শনাক্ত করে পরিবারের লোকজন।</p> <p> রেলওয়ে সূত্র জানায়, বকুল বুড়িমারী স্থলবন্দর থেকে লালমনিরহাটগামী করতোয়া এক্সপ্রেস ট্রেনের চাকায় কাটা পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রেললাইনের যে স্থানে বকুলের ছিন্নভিন্ন লাশ পড়েছিল সেখান থেকে একটু দূরে রয়েছে বাঁশঝাড়। সেই বাঁশঝাড়ের ভেতর পাওয়া গেছে বিস্কুট, চকলেট ও সিগারেটের কয়েকটি খালি প্যাকেট। এসব দেখে স্থানীয়রা ধারণা করছে, কয়েকজন মিলে শ্বাসরোধে হত্যার পর টেনেহিঁচড়ে লাশ নিয়ে রেললাইনের ওপর ফেলে রেখেছিল।</p> <p> নিহতের চাচা আজিজুল হক বলেন, 'এটি কোনো দুর্ঘটনা নয়। বকুলকে হত্যা করে রেললাইনে লাশ ফেলে রাখা হয়।'</p> <p> লালমনিরহাট রেলওয়ে পুলিশের ওসি গোলাম মোস্তফা বলেন, 'লাশের ময়নাতদন্ত না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলা সম্ভব নয়।'</p> <p>  </p>