<p>মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা ৩৩ হাজারের চেয়ে কিছু বেশি। আগামীকাল এই মাঠেই প্রথম সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে ভারত। ওয়াংখেড়ের গ্যালারির কলরব যে বিরাট কোহলি-রোহিত শর্মাদের পক্ষে গলা ফাটাবে, বলার অপেক্ষা রাখে না।</p> <p>আজ ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের কাছে জানতে চাওয়া হয়, গ্যালারির গগণবিদারী চিৎকারের সামনে কিভাবে সতীর্থদের নিয়ন্ত্রণ করবেন তিনি। এমনিতে বেশ ঠাণ্ডা মেজাজের মানুষ হিসেবে পরিচিত নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক। চেহারায়ও ঋষি-ঋষি ভাবটা ফুটে ওঠে।</p> <p>নিউজিল্যান্ড দলও এর চেয়ে খুব বেশি ব্যতিক্রম নয়। উইলিয়ামসনের উত্তরেও আপনি এই ভাবটাই খুঁজে পাবেন, ‘আমরা আশা করছি, গ্যালারি নীল সমুদ্রে পরিণত হবে। দর্শকরা তাদের দলকে সমর্থন দিতে আসবেন। কোনো সন্দেহ নেই তারা দলের প্রতি খুবই আবেগপ্রবণ। কিন্তু একই সময়ে একজন ক্রিকেটার হিসেবে আমার মনে হয়, ভরা গ্যালারির সামনে খেলার সুযোগ পাওয়া, এটা বিশেষ। অনেক বছর ধরে আমরা ভিন্ন ধরনের সমর্থন পাচ্ছি, যারা আমাদের নিয়মিত সমর্থক না।’</p> <p>উইলিয়ামসনের কথায় উঠে এসেছে, ভরা গ্যালারিকে চাপ নয়, তিনি বরং আশীর্বাদ হিসেবে দেখছেন। তাঁর কথা, ‘আমরা ছোট একটা দেশ। সব সময় গ্যালারি ভরাও থাকে না। তার পরও সমর্থকরা আমাদের যেভাবে সমর্থন দেন, এটা দারুণ। আশা করছি, আগামীকাল ভালো কিছু হবে। হ্যাঁ, ছেলেরা ভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হবে। কিন্তু আমার জন্য এটা আশীর্বাদের মতো। ভারতের বিপক্ষে ভারতে খুব বেশি মানুষ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলার সুযোগ পায় না। যেটা অবশ্যই আনন্দের। দেখা যাক, কী হয়।’</p>