<p> একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া হবিগঞ্জের দুই সহোদর মহিবুর রহমান বড় মিয়া ও মুজিবুর রহমান আঙ্গুর মিয়ার বিরুদ্ধে চারটি অভিযোগে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল করা হয়েছে। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেওয়ার বিষয়ে আগামী ২৫ মে শুনানি ও আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে বড় মিয়া ও আঙ্গুরের সঙ্গে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁদের চাচাতো ভাই আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।</p> <p> গতকাল রবিবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এসব আদেশ দেন। গতকাল এ তিনজনের বিরুদ্ধে ফরমাল চার্জ দাখিল করেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন ও তাপস কান্তি বল।</p> <p> এর আগে গত ৩০ এপ্রিল একই মামলার আসামি বড় মিয়া ও আঙ্গুর মিয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন। সে সময় এ মামলার তদন্তকালে আব্দুর রাজ্জাকের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে উল্লেখ করে তাঁর বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানান প্রসিকিউটর। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।</p> <p> ট্রাইব্যুনালের পরোয়ানা জারির পর গত ১০ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টার দিকে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ইমামবাড়ি এলাকা থেকে খাগাউড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ৭০ বছরের মহিবুর রহমান বড় মিয়া ও তাঁর ছোট ভাই বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ৬৫ বছরের মুজিবুর রহমান আঙ্গুর মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।</p> <p> বানিয়াচং থানার ওসি নির্মলেন্দু চক্রবর্তী কালের কণ্ঠকে জানান, আব্দুর রাজ্জাক পলাতক। তবে তাঁকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।</p> <p> যশোরের সাবেক এমপি সাখাওয়াতসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ</p> <p> এদিকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া যশোরের সাবেক এমপি সাখাওয়াতসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে তদন্তকাজ আগামী ২১ জুনের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে এ মামলায় গত ১২ মে আটক হওয়া তিনজনকে তদন্ত সংস্থার কার্যালয় 'সেফহোমে' জিজ্ঞাসাবাদেরও অনুমতি দেওয়া হয়েছে।</p> <p> গতকাল এ মামলায় তদন্তের অগ্রগতির ওপর এবং তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চেয়ে আবেদনের ওপর শুনানি শেষে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এসব আদেশ দেন।</p> <p> যে তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে তাঁরা হলেন কেশবপুর উপজেলার নেহালপুর গ্রামের বিল্লাল হোসেন, ভাল্লুকঘর গ্রামের আকরাম হোসেন ও চিংড়া গ্রামের ওজিয়ার মোড়ল। গত ১২ মে এ মামলায় ১১ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে ওই দিন রাতেই এ তিনজনকে আটক করে পুলিশ। ১৩ মে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে তাঁদের কারাগারে পাঠান ট্রাইব্যুনাল।</p> <p> এ মামলায় পরোয়ানাভুক্ত অন্য আট আসামি হলেন কেশবপুরের মো. ইব্রাহিম হোসেন, শেখ মো. মজিবুর রহমান, মো. আব্দুল আজিম সরদার, মো. আজিম সরদার, কাজী ওয়াহেদুল ইসলাম, মো. লুৎফর মোড়ল, মো. আব্দুল খালেক মোড়ল ও মশিয়ার রহমান।</p> <p> গত বছরের ২৯ অক্টোবর সাখাওয়াতকে গ্রেপ্তারের জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করা হলে প্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২৯ নভেম্বর আটকের পর ৩০ নভেম্বর সাখাওয়াতকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করে কারাগারে পাঠানো হয়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত করছে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। এ তদন্ত করতে গিয়ে সাখাওয়াতের সঙ্গে আরো ১১ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়।</p> <p>  </p>