<p> স্থানীয় রাজনীতিতে রাঙামাটির বাঘাইছড়িই একমাত্র উপজেলা যেখানে পাহাড়ের তিন আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল সমান প্রতাপ নিয়ে আছে। সশস্ত্র রাজনীতি কিংবা জনসমর্থন, সমানে সমান। ফলে এখানে প্রায় প্রাণহানি হয় দলীয় কর্মী, সশস্ত্র ক্যাডার কিংবা সাধারন মানুষের। ভ্রাতৃঘাতী লড়াইয়ে এখানে প্রাণ হারিয়েছে প্রায় শতাধিক নেতা-কর্মী। কিন্তু সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এই উপজেলার আধিপত্যের রাজনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) প্রভাবশালী নেতা সুদর্শন চাকমাকে পরাজিত করে বিজয়ী হন সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতির প্রভাবশালী নেতা বড়ঋষি চাকমা। ফলে দীর্ঘদিন ধরে ইউপিডিএফ ও জনসংহতি সমিতির (এমএনলা রমা) শক্তিশালী ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিতে থাকে সন্তু লারমার শিষ্যরা। অন্যদিকে আধিপত্য বহাল রাখতে মরিয়া প্রতিপক্ষও। ফলে এই লড়াইয়ে উত্তপ্ত পাহাড়ের রাজনীতি। সর্বশেষ দুই ভাই হত্যাও এই আধিপত্যের লড়াইয়ের করুণ পরিণতি। জেএসএস (এমএন লারমা) কেন্দ্রীয় কমিটির সহ তথ্য ও প্রচার সম্পাদক প্রশান্ত চাকমা এ ঘটনার জন্য জেএসএস (সন্তু) পক্ষকে দায়ী করে জানান, নিহত দুই ভাই আগে রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা সক্রিয় ছিলেন না। অপরদিকে এ অভিযোগ অস্বীকার করে জেএসএস (সন্তু) কেন্দ্রীয় কমিটির সহ তথ্য ও প্রচার সম্পাদক সজীব চাকমা জানান, ঘটনার সঙ্গে তাদের সংগঠনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।</p> <p>  </p> <p>  </p>