<p>রাজবাড়ী পৌরসভার রাস্তা ও ড্রেন ব্যবস্থার উন্নয়নে ১০ কোটি ২১ লাখ টাকার কাজ শুরু করতে পারছে না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পৌরসভার মেয়র ও তাঁর স্বজনরা এ কাজে বাধা দিচ্ছে। গতকাল শনিবার দুপুরে রাজবাড়ী প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন ওই কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নিযুক্ত প্রতিনিধি এবং জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন ও জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি রকিবুল ইসলাম মৃধা পিন্টু।</p> <p>লিখিত বক্তব্যে রকিবুল ইসলাম মৃধা পিন্টু বলেন, নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে ১০ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয়ে রাজবাড়ী পৌরসভার রাস্তা ও ড্রেন ব্যবস্থার উন্নয়নে এলজিইডির তত্ত্বাবধানে ইউজিআইপি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে পৌরসভা। এর অংশ হিসেবে ই-টেন্ডার অনুষ্ঠিত হয়। কাজটি পায় রাজধানী ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘এমএই অ্যান্ড ডিসিএল-জেভি’। গত ৯ এপ্রিল এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মো. রফিকুল ইসলাম রাজবাড়ী পৌরসভার মেয়র ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য কামরুন্নাহার চৌধুরী লাভলীর স্বামী মহম্মদ আলী চৌধুরীর অফিসকক্ষে যান। অফিসকক্ষে কতিপয় সন্ত্রাসী তাঁকে (রফিকুল) জীবননাশের হুমকি দেয় এবং তাঁকে বহনকারী গাড়িচালককে লাঞ্ছিত করে। পরে রাজবাড়ী থানা পুলিশের সহযোগিতায় পৌরসভা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজের চুক্তি করেন তিনি।</p> <p>রকিবুল ইসলাম মৃধা পিন্টু গত ১৮ জুন সকালে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ফরোয়ার্ডিংসহ ‘জেনারেল পাওয়ার অব অ্যাটর্নি’ জমা দিতে রাজবাড়ী পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলীর অফিসকক্ষে যাচ্ছিলেন। এ সময় মেয়রের লোকজন ও আত্মীয়স্বজন তাঁকে পথ রোধ করে জীবননাশের হুমকি দেয়। মেয়রের ভাতিজা ইলিয়াছ চৌধুরী ও ভাগিনা জেলা পরিষদ সদস্য রাশেদুল হক অমি তাঁকে লাঞ্ছিত করেন। এর পরও তিনি পাওয়ার অব অ্যাটর্নি পৌরসভা কার্যালয়ে জমা দেন। ওই দিন দুপুরে মেয়রের শ্যালক চৌধুরী মাহমুদ কবীর ওরফে লাবু চৌধুরী মোবাইল ফোনে রকিবুল ইসলামকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন ও জীবননাশের হুমকি দেন। ওই ঠিকাদারি কাজ দেখাশোনা করলে খুন করে লাশ গুমের কথাও বলেন। এ কারণে রাব্বি, অমি ও লাবুর বিরুদ্ধে রাজবাড়ী থানায় ওই দিনই জিডি করেন রকিবুল।</p> <p>অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে মেয়রের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। পরে ফোনে কল ঢুকলেও তিনি ধরেননি। আর রাশেদুল হক অমি বলেন, সব অভিযোগ মিথ্যা।</p>