<p>আয়াতের অর্থ : ‘আর তাঁর স্ত্রী দাঁড়িয়েছিল এবং সে হেসে উঠল। অতঃপর আমি তাঁকে ইসহাক ও ইসহাকের পরবর্তী ইয়াকুবের সুসংবাদ দিলাম। সে বলল, কি আশ্চর্য! সন্তানের জননী হবো আমি, যখন আমি বৃদ্ধা এবং এই আমার স্বামী বৃদ্ধ! এটা অবশ্যই এক অদ্ভুত ব্যাপার।...ইবরাহিম অবশ্যই সহনশীল, কোমল হৃদয়, সতত আল্লাহ অভিমুখী। হে ইবরাহিম! এটা থেকে বিরত হও, তোমার প্রতিপালকের বিধান এসে পড়েছে, তাদের প্রতি আসবে শাস্তি, যা অনিবার্য।’ (সুরা : হুদ, আয়াত : ৭১-৭৬)</p> <p>আয়াতগুলোতে ইবরাহিম (আ.) ও তাঁর স্ত্রীর ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। তাঁদের সন্তানের সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে।</p> <p> </p> <p>শিক্ষা ও বিধান</p> <p> </p> <p>১. মেহমানদের আপ্যায়নের সময় ইবরাহিম (আ.)-এর স্ত্রী পর্দার আড়ালে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সুতরাং বোঝা যায়, পরিবারের প্রয়োজনে নারী-পুরুষ পরস্পরকে সাহায্য করবে।</p> <p>২. সন্তান মা-বাবার জন্য আল্লাহর অনুগ্রহ ও সুসংবাদ স্বরূপ। সুতরাং সন্তান লাভের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা আবশ্যক।</p> <p>৩. উত্তম হলো স্ত্রী স্বামীর আনন্দ-বেদনা ও আদর্শের অংশীদার হবে। যেমন ইবরাহিম (আ.)-এর স্ত্রী সারা (আ.) ছিলেন।</p> <p>৪. খাওয়ার শুরুতে বিসমিল্লাহ এবং শেষে আলহামদুলিল্লাহ বলা মুস্তাহাব।</p> <p>৫. আয়াত দ্বারা প্রমাণিত হয়, নবীর স্ত্রীরা আহলে বাইত তথা নবীপরিবারের অংশ। সুতরাং সাইয়েদা আয়েমা (রা.)-সহ রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর অন্যান্য স্ত্রী আহলে বাইতের অন্তর্ভুক্ত হবেন।</p> <p>(তাফসিরে মুনির : ৬/৪২২)</p> <p> </p> <p> </p>