<p style="text-align: justify;">চট্টগ্রামে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণের যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহটি হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের পতেঙ্গা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে। </p> <p style="text-align: justify;">চট্টগ্রাম সদরঘাট নৌ পুলিশের ওসি মো. একরাম উল্লাহ বলেন, প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনায় নিহত স্কোয়াড্রন লিডারের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে তার বাবা ডা. মোহাম্মদ আমানউল্লাহর কাছে সন্ধ্যায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে মরদেহের সুরতহাল সম্পন্ন করে নৌ পুলিশ।</p> <p style="text-align: justify;">সিএমপির পতেঙ্গা থানার ওসি মো. কবিরুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনায় স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ নিহত হওয়ার ঘটনায় পতেঙ্গা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে। </p> <p style="text-align: justify;">বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৬ মিনিটে প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানটি শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। ১০টা ২৮ মিনিটে প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানটিতে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আগুন ধরে যায়। বিমানটি কর্ণফুলীতে পড়ার আগে বিমানে থাকা দুই পাইলট প্যারাস্যুটের মাধ্যমে বের হন। দুই জনকে চট্টগ্রাম নৌবাহিনীর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।</p> <p style="text-align: justify;">চট্টগ্রাম বোট ক্লাবের কাছে ১১ নম্বর ঘাটের নতুন পতেঙ্গা টার্মিনালের বিপরীত পাশে এইচ এম স্টিল ফ্যাক্টরির সামনে কর্ণফুলী নদীতে এ বিমান দুর্ঘটনা ঘটে।</p>