<p>দেশের শিল্পখাতের পণ্য রপ্তানিতে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য সিআইপি সম্মাননা অর্জন করেছেন হাতিল এর চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর জনাব সেলিম এইচ রহমান। </p> <p>গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাজধানীর রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে এই সম্মাননা দেওয়া হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। </p> <p>সিআইপি (রপ্তানি) নীতিমালা-২০১৩ অনুযায়ী পণ্য রপ্তানি ও ট্রেড ক্যাটাগরিতে ২০২২ সালের জন্য মোট ১৮৪ জনকে বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে মনোনীত করা হয়। গত ৩ এপ্রিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত এক গেজেটে সিআইপি ব্যক্তিদের তালিকা ও তাদের সুযোগ-সুবিধা উল্লেখ করা হয়। </p> <p>সেলিম এইচ রহমান জানায়, ‘আসবাবপত্র রপ্তানি ক্যাটাগরিতে সিআইপি সম্মাননা পেয়ে আমি আনন্দিত। তবে আমি মনে করি এই প্রাপ্তি আমার একার পক্ষে কখনো অর্জন করা সম্ভব হতো না, যদি না দেশ ও দেশের বাইরে থাকা হাতিলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিটি মানুষ তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন না করত।’ </p> <p>১৯৮৯ সালে সেলিম এইচ রহমান এর হাত ধরেই দেশে আসবাব শিল্পে হাতিল এর যাত্রা শুরু হয়। শুরুতে দরজা নিয়ে কাজ শুরু করলেও ক্রেতার চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে আসবাব তৈরিতেও কাজ শুরু করে হাতিল। ফলে বর্তমানে আসবাব খাতে হোম, অফিস, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ও ইন্টেরিয়রের সব ক্যাটাগরির আসবাবই হাতিল তৈরি করে থাকে। দেশে বর্তমানে হাতিল এর ৭৭টি আউটলেট রয়েছে, ভারতে ১৬টি এবং ভুটানে ২টি আউটলেট রয়েছে। এছাড়াও আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতেও হাতিল আসবাব রপ্তানি করে থাকে। </p> <p>এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরো এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ৯০.৬৭ মিলিয়ন ইউএস ডলার মূল্যের আসবাব রপ্তানি হয়েছে। প্রতি বছরই বড় হচ্ছে আন্তর্জাতিক আসবাবের বাজার। এই বিষয়ে সেলিম এইচ রহমান বলেন, ‘আমাদের দেশে আসবাব শিল্পের জন্য এখনো তেমন ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ইন্ডাস্ট্রি গড়ে ওঠেনি। এই কারণে আসবাব তৈরিতে বেশিরভাগ কাঁচামাল বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করতে হয়। আমদানির বিভিন্ন পর্যায়ে উচ্চ হারে আমদানি শুল্ক দিতে হয়; যার দরুণ বিশ্ববাজারে আমাদের আসবাবের কোয়ালিটি থাকা সত্ত্বেও দামের দিক থেকে আমরা কম্পিটিটিভ হতে পারছি না। তবে আমি বিশ্বাস করি, এই খাতে আমাদের আরো ভালো করার সুযোগ রয়েছে। সরকারের শিল্পবান্ধব  নীতিমালা, টেকসই উদ্যোগ, আমাদের মতো উদ্যোক্তাদের সদিচ্ছা ও চেষ্টাই পারে বিশ্ববাজারে আমাদের অবস্থান আরোও উন্নীত করতে।’</p>