<p>কতটা নেশা, উদ্যম ও স্বপ্নচারী হলে একজন তরুণ উদ্যোক্তা স্বল্প পুঁজিতেও সাফল্যকে হাতের মুঠোয় নিতে পারেন—তার প্রমাণ রেখেছেন মাত্র বত্রিশ বছর বয়সী তরুণ শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী (বাবু)। তৈরি পোশাক কারখানা জেন্টেল পার্কের চেয়ারম্যান তিনি। তাঁর কারখানা ঢাকার জিগাতলায়, অফিস বনানীতে। আজ থেকে প্রায় ১০ বছর আগে সামান্য পুঁজিতে এবং ছোট পরিসরে কারখানা চালু করে এখন ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বড় শহরগুলোতে জেন্টেল পার্কের ৩২টি শোরুম আধুনিক ডিজাইনের মানসম্মত আকর্ষণীয় পোশাক দিয়ে সুসজ্জিত।</p> <p>সেসব পোশাক-পরিচ্ছদ নিয়ে চট্টগ্রামের সিজেকেএস অনুশীলন মাঠে জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) চট্টগ্রাম কসমোপলিটন আয়োজিত দেশের প্রথম তরুণ উদ্যোক্তা বাণিজ্য মেলায় স্টল খোলা হয়েছে জেন্টেল পার্কের। সেখানেই কথা হয় প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী বাবুর সঙ্গে। সেই আলাপচারিতায় এই পর্যায়ে উন্নীত হওয়ার পেছনে তিনি তাঁর স্বপ্ন, সাহস, কঠোর পরিশ্রম ও সাফল্যের কথা তুলে ধরেন। ফ্যাশন ডিজাইন এবং পোশাকের প্রতি বিশেষ দুর্বলতার কথা উল্লেখ করে শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী বাবু আরো বলেন, “এই দুর্বলতার কারণে ‘বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডিজাইন’ থেকে ডিপ্লোমা করি এবং ২০০৬ সালে চট্টগ্রাম থেকেই শুরু করি এই ব্যবসা। পরে ঢাকা চলে যাই। সেখানে জিগাতলায় ৩০ হাজার বর্গফুটের ফ্লোরে কারখানা স্থাপন করি, যার নাম দিই ‘জেন্টেল পার্ক’। প্রথমে পুরুষদের শার্ট-প্যান্ট তৈরির পর নারী ও শিশুদের পোশাক উৎপাদনে যাই। সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগে ৫০ লাখ টাকা পুঁজি বিনিয়োগের মাধ্যমে কারখানা চালুর বিষয়টিকে একটি ‘চ্যালেঞ্জ’ হিসেবে নিয়েছিলাম। এখন ১০ বছরের মাথায় আমি ৩২টি শোরুম পরিচালনা করছি। আমি তাতে তৃপ্ত। আমাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় রয়েছে বিদেশে জেন্টেল পার্কের তৈরি পোশাক রপ্তানি।” বর্তমানে এই কারখানায় চার শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত আছে। উৎপাদিত পোশাক-পরিচ্ছদের মধ্যে রয়েছে শার্ট, প্যান্ট, টি-শার্ট, পলো গেঞ্জি, পাঞ্জাবি, ব্লেজার, জ্যাকেট, লং টপস, স্যুয়েটার, কিডস শার্ট ইত্যাদি।</p>