<article> <p style="text-align: justify;">যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের এক দম্পতি বিদেশ সফর শেষে বাড়ি ফিরে ফোন বিল দেখে হতবাক হয়ে গেছেন। সুইজারল্যান্ডে তিন সপ্তাহ ভ্রমণের সময় মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য তাঁদের বিল এসেছে এক লাখ ৪৩ হাজার ৪৪২ ডলার। ৭১ বছর বয়সী রেনে রেমান্ড ও তাঁর স্ত্রী লিন্ডা রেমান্ড (৬৫) মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা কম্পানি টি-মোবাইলের গ্রাহক। ৩০ বছর ধরে এই কম্পানির সঙ্গে আছেন তাঁরা।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">আজব এ বিল দেখে হতবাক হয়ে টি-মোবাইলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন তাঁরা। রেমন্ড জানিয়েছেন, বিদেশভ্রমণে যাওয়ার আগেই ফোন কম্পানিকে বিষয়টি অবহিত করেছিলেন তিনি। তারা বলেছিল, ‘এ নিয়ে ভাবতে হবে না।’ অথচ বাড়ি ফিরে আসার পর দেখেন ভূতুড়ে ইন্টারনেট বিল।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">তিন সপ্তাহ বিদেশভ্রমণের সময় তাঁরা মাত্র ৯.৫ গিগাবাইট ইন্টারনেট ব্যবহার করেছেন। অথচ গড়ে তাঁদের দৈনিক বিল এসেছে ছয় হাজার ডলারের বেশি। রেনে রেমন্ড বলেন, বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে টি-মোবাইলকে ফোনে জানান তিনি। কম্পানির একজন প্রতিনিধি তাঁকে ফোন লাইনে রেখেই বিলটি যাচাই করেন।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">এরপর তিনি রেমন্ডকে জানান, বিল ঠিকই আছে। টি-মোবাইলের দাবি মেনে নেননি রেমন্ড দম্পতি। তবে প্রাথমিকভাবে এ ব্যাপারে টি-মোবাইলের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যাননি। এক পর্যায়ে বিলটির বিরোধিতা করে আইনি উদ্যোগ নেওয়া হয়। গণমাধ্যমেও এ ব্যাপারে খবর প্রকাশিত হয়।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">এক পর্যায়ে টি-মোবাইল বিলটি সংশোধন করে দিতে রাজি হয়। পর্যবেক্ষকরা বলেছেন, মার্কিন এই দম্পতির অভিজ্ঞতা রোমিং ফি (বিদেশে থাকার সময় চার্জের হার) ভালো করে বোঝা এবং বিদেশভ্রমণের সময় ‘অ্যারোপ্লেন মোড’ সক্রিয় করা ও ওয়াই-ফাইয়ের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার মতো কাজ বুঝেশুনে করার প্রয়োজনীয়তাকে সামনে এনেছে; বিশেষ করে যদি মোবাইল কম্পানির প্যাকেজে আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট কাভারেজ না থাকে। সূত্র : এনডিটিভি</p> </article>
