<p>এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচিতে একাধিক স্থানে একের পর এক অভিযান শুরু করেছে। অভিযানে নগদ ২৫ কোটি রূপি ( ৩২ কোটি ৮০ লাখ ৪১ হাজার ৩৮৫ টাকা) জব্দ করা হয়েছে। প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট (পিএমএলএ) এর অধীনে পরিচালিত হয় এই অভিযান। ভারতে লোকসভা নির্বাচর চলছে, এর মধ্যেই এই ঘটনা ঘটেছে। </p> <p>ঝাড়খণ্ডের গ্রামন্নয়ন মন্ত্রী আলমগীর আলমের ব্যক্তিগত সচিব সঞ্জীব লালের গৃহকর্মীর বাড়ি থেকে মিলেছে কোটি কোটি রূপি। ৭০ বছর বয়সী আলমগীর আলম একজন কংগ্রেস নেতা এবং ঝাড়খণ্ড বিধানসভার পাকুর আসনের সদস্য। সোমবার মন্ত্রী আলমের ব্যক্তিগত সচিব সঞ্জীব লালের বাড়িতেও অভিযান চালান ইডির কর্মকর্তারা। </p> <p>আর্থিক তছরুপের অভিযোগে এই অভিযান চালানো হয়। ইডির জানায়, ওই গৃহকর্মীর বাড়ি থেকে ২০ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। ঝাড়খন্ড গ্রামীণ উন্নয়ন বিভাগের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী বীরেন্দ্র রামের আর্থিক তছরুপের মামলার সঙ্গে সঞ্জীব লালের নামও জড়িত রয়েছে। সেই যোগসূত্র ধরেই সোমবার সকালে অভিযান শুরু করে ইডি। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বীরেন্দ্রকে গ্রেপ্তার করেছিল ইডি। নানা রকম প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঝাড়খণ্ডের অন্য মন্ত্রীদের সঙ্গেও নাকি টাকার লেনদেন চলত সঞ্জীবের। অভিযানের একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ঝাড়খণ্ডের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী আলমগীর আলমের ব্যক্তিগত সচিব সঞ্জীব লালের গৃহকর্মীর কক্ষে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অর্থের পাহাড়। </p> <p>ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচীর নানা জায়গায় অভিযান চালিয়ে মোট ২৫ কোটি রুপি কালো টাকা উদ্ধার করেন। এর মধ্যে সঞ্জীব লালের গৃহকর্মীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ২০ কোটি রুপি।  </p> <p><iframe frameborder="0" height="360" scrolling="no" src="https://twitframe.com/show?url=https://twitter.com/ANI/status/1787317274535231860" width="380"></iframe></p> <p>ঝাড়খণ্ড বিজেপির মুখপাত্র প্রতুল শাহদেব বলেছেন, ‘ঝাড়খণ্ডে দুর্নীতি শেষ হচ্ছে না। নির্বাচনের সময় এই বিপুল পরিমান অর্থ উদ্ধার হওয়ার ঘটনা ইঙ্গিত দেয় যে, নির্বাচনে এই অর্থ ব্যয় করার পরিকল্পনা ছিল। নির্বাচন কমিশনের উচিত এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া।’ তদন্ত সংস্থা রাঁচির সেল সিটিসহ নয়টি স্থানে একযোগে অভিযান চালাচ্ছে। </p> <p>এই রুপির পাহাড় উদ্ধারের দৃশ্য দেখে অনেকের ২০২২ সালের ঘটনা মনে পড়ে গেছে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথিত ‘বান্ধবী’ অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়ের দুটি ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৫০ কোটি রূপি পেয়েছিল ইডি। দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি কারাগারে বন্দি আছেন। </p> <p><strong>সূত্র: আনন্দবাজার, এনডিটিভি</strong></p>