জাহাজ পরিচালনায় ক্যাডেট তৈরিতে দেশে যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছিল, তা সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন ছিল না। সরকারি-বেসরকারি মেরিন একাডেমিগুলোর প্রশিক্ষণে কিছু আধুনিক প্রযুক্তি যোগ হয়েছে ঠিক, কিন্তু তা সমন্বিত ছিল না। ফলে ক্যাডেটরা প্রশিক্ষণ নিয়ে বিশ্ব প্রতিযোগিতায় সেভাবে সক্ষমতা দেখাতে পারছিলেন না। এই অসুবিধা দূর করতে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ক্যাডেট তৈরিতে দেশে প্রথম ‘সিমুলেটর কমপ্লেক্স’ স্থাপন করছে চট্টগ্রামের সরকারি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউট (এনএমআই)।
দেশের প্রথম সিমুলেটর কমপ্লেক্স
- বিশ্ববাজারে মানসম্পন্ন নাবিক তৈরি করতে দেশে প্রথমবারের মতো সিমুলেটর কমপ্লেক্স হচ্ছে মেরিটাইম ইনস্টিটিউট। ৪০ কোটি টাকার প্রকল্পটির অর্ধেক কাজ শেষ। জুনের মধ্যে বাকি কাজ শেষ করার আশা কর্তৃপক্ষের। বিস্তারিত জানাচ্ছেন আসিফ সিদ্দিকী
অন্যান্য

সিমুলেটর কী?
সোজা বাংলায় সিমুলেশন হচ্ছে বাস্তবিক জীবনের কোনো কর্মকাণ্ডের আনুমানিক অনুকরণ। সুরক্ষা প্রকৌশল, পরীক্ষা, প্রশিক্ষণ, শিক্ষা এবং ভিডিও গেমে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ধরুন, গাড়ি চালানো শেখানোর জন্য সিমুলেশন করতে চান।
ঘরে বসেই শেখা যাবে জাহাজ চালানো
জাহাজের সিমুলেটর ব্যবহার করে প্রশিক্ষণ নেওয়ার সময় মনে হবে যেন সত্যিকারেই কোনো জাহাজ চালাচ্ছেন।
মেরিন একাডেমির নৌ শিক্ষা বিভাগের প্রধান ও ক্যাপ্টেন সাব্বির মাহমুদ বলছেন, ‘এই সিমুলেটরে ক্যাডেটরা প্রথমেই সব ধরনের জাহাজ সম্পর্কে প্রাথমিক পরিচালনার প্রশিক্ষণ পাবেন। এরপর ধরুন, জাহাজটি প্রশান্ত মহাসাগর দিয়ে যাচ্ছে, এমন সময় জাহাজের সামনে ঝড় এলো, তখন আবহাওয়ার তথ্য যোগ করে কিভাবে এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করবেন, সেটিও শেখানো হবে। সেই সঙ্গে প্রযুক্তিগত ত্রুটি ধরা পড়লে, তখন সেটিও কিভাবে শনাক্ত করে ত্রুটিমুক্ত করবেন, তার প্রশিক্ষণ দেওয়া যাবে এই সিমুলেটরে।
এ ছাড়া ‘রিমোর্ট অপারেটেড ভেসেল’ বা দূর নিয়ন্ত্রিত জাহাজ পরিচালনা প্রশিক্ষণও নিতে পারবেন ক্যাডেটরা। অর্থাৎ সাগরের নিচে থাকা পাইপলাইন মেরামত ও স্থাপন করার মতো প্রশিক্ষণও পাবেন। এলএনজি-এলপিজি জাহাজ পরিচালনা, অফশোর বা খনিজ সম্পদ অনুসন্ধান জাহাজ পরিচালনাও করতে পারবেন। মোটকথা সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে ২৫ থেকে ৩০ ধরনের জাহাজ পরিচালনা প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবেন।
কেন এই প্রশিক্ষণের প্রয়োজন?
আগে ক্যাডেট প্রশিক্ষণে থিওরিটিক্যাল বা তাত্ত্বিক শিক্ষার পর প্র্যাকটিক্যাল প্রশিক্ষণের জন্য প্রত্যেক ক্যাডেটকে বাস্তবিক জাহাজে যেতে হতো। কিন্তু ক্যাডেটদের প্রশিক্ষণের জন্য একসঙ্গে এত জাহাজ পাওয়া এবং সব সময় জাহাজে ওঠাটাও দুষ্কর হয়ে পড়ে। এই অবস্থার উত্তরণে সিমুলেটরভিত্তিক অর্থাৎ জাহাজে না গিয়েও প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তার গুরুত্ব উঠে আসে। এর পর থেকেই ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও) বিশ্বব্যাপী ক্যাডেট প্রশিক্ষণে ‘সিমুলেটরভিত্তিক’ প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করেছে।
নৌ বাণিজ্য অধিদপ্তরের চিফ নটিক্যাল সার্ভেয়ার ক্যাপ্টেন কে এম জসিম উদ্দিন সরকার বলছেন, ‘ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও) জাহাজে না উঠে জাহাজের মতোই রিয়াল টাইম, রিয়াল এনভায়রনমেন্ট ট্রেনিং বাধ্যতামূলক করে। এর পর থেকেই মূলত সিমুলেশনভিত্তিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়।’
এগিয়ে থাকবেন বাংলাদেশি ক্যাডেটরাও
বাংলাদেশে সরকারি ‘বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি’তে ডেক ক্যাডেটদের প্রশিক্ষণে সিমুলেটর থাকলেও ইঞ্জিন ক্যাডেটদের প্রশিক্ষণে প্রয়োজনীয় সিমুলেটর নেই। তবে ক্যাডেট প্রশিক্ষণের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ‘আইএমএ’ সিমুলেশনভিত্তিক প্রশিক্ষণে সরকারি ও বেসরকারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউটগুলো থেকে কিছুটা এগিয়ে আছে।
সিমুলেশনভিত্তিক প্রশিক্ষণ থাকলে একজন ক্যাডেট কিভাবে এগিয়ে থাকবে জানতে চাইলে মেরিন একাডেমির নৌ শিক্ষা বিভাগের প্রধান ও ক্যাপ্টেন সাব্বির মাহমুদ বলেন, ‘একজন ক্যাডেট খোলা জাহাজ, কনটেইনার জাহাজ-ট্যাংকার জাহাজের প্রশিক্ষণ পান। কিন্তু এনএমআইয়ের আধুনিক ও সমন্বিত সিমুলেটর দিয়ে বিশেষায়িত কিছু প্রশিক্ষণ দেওয়া যাবে, যা বাংলাদেশে প্রথম ও একেবারে নতুন। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, রিমোট অপারেটেড ভেসেল, অফশোর ভেসেল এবং এলপিজি-এলএনজিভিত্তিক জাহাজ পরিচালনা। আমাদের ক্যাডেটরাও আধুনিক প্রশিক্ষণ নিয়ে চাকরির বাজারে এগিয়ে থাকবেন।’
বিদেশে প্রশিক্ষিত কর্মী পাঠানো যাবে
সর্বাধুনিক সমন্বিত এই সিমুলেটর দিয়ে শুধু ক্যাডেট প্রশিক্ষণই নয়, বন্দর ব্যবস্থাপনায় প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ কর্মী তৈরি সম্ভব। বন্দর ব্যবস্থাপনায় সর্বাধুনিক কি গ্যান্ট্রি ক্রেনসহ আরটিজি পরিচালনা কাজে প্রচুর কর্মীর চাহিদা দেশে এবং বিদেশে রয়েছে। বাংলাদেশে এখন তিনটি সমুদ্রবন্দর আছে। মাতারবাড়ী গভীর সুমদ্রবন্দর চালু হবে ২০২৫ সালে। এ ছাড়া নির্মিত পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল, অনুমোদিত বে টার্মিনালে ভারী ও আধুনিক যন্ত্র পরিচালনায় প্রয়োজন দক্ষ কর্মীর। একই সঙ্গে বিদেশেও এই ধরনের দক্ষ কর্মীর প্রচুর চাহিদা রয়েছে; কিন্তু প্রশিক্ষণ না থাকায় সেই খাত অবহেলিতই রয়ে গেছে।
বন্দর টার্মিনাল অপারেটর সাইফ পাওয়ারটেকের চিফ অপারেটিং অফিসার ক্যাপ্টেন তানভীর হোসাইন বলেন, ‘আগে আমরা বন্দরের কি গ্যান্ট্রি ক্রেন, রাবার টায়ার গ্যান্ট্রি, স্ট্যাডল ক্যারিয়ার পরিচালনায় বিদেশিনির্ভর ছিলাম। এখন বিদেশের স্বনামধন্য বন্দরের প্রশিক্ষিত-কর্মরত বাংলাদেশিদের দেশে এনে এখন কাজ করাচ্ছি। চট্টগ্রাম বন্দরের এখন নিজস্ব সিমুলেটর আছে, যেটি দিয়ে এসব ক্রেন পরিচালনার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তবে দেশেই যদি সর্বাধুনিক এমন সিমুলেটর থাকে, তাহলে দেশে এই খাতের বর্ধিত চাহিদা পূরণ করা যাবে। একই সঙ্গে বিদেশে প্রচুর প্রশিক্ষিত কর্মীও পাঠানো যাবে।’
এগিয়ে ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউট
ক্যাডেট প্রশিক্ষণে মেরিন একাডেমি, মেরিন ফিশারিজ একাডেমি এবং বেশ কয়েকটি বেসরকারি মেরিন একাডেমিতে সিমুলেটর রয়েছে; কিন্তু সেগুলো পূর্ণাঙ্গ নয়। সব ধরনের প্রশিক্ষণের জন্য কোনো প্রতিষ্ঠানেরই কোনো পূর্ণাঙ্গ সিমুলেটর নেই। সেদিক থেকে সরকারি ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউটে সমন্বিত সিমুলেটর স্থাপন করা হলে আধুনিক প্রযুক্তিভিত্তিক দক্ষ নাবিক তৈরিতে বাংলাদেশ এক ধাপ এগিয়ে যাবে।
ভবিষ্যতের যোগ্য জনবল তৈরির পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সরকার চট্টগ্রাম ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউটে রেটিং বা জাহাজ পরিচালনায় কর্মী প্রশিক্ষণের পাশাপাশি মেরিন ক্যাডেট প্রশিক্ষণেরও অনুমতি দিয়েছে। সেই প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আগেই এই সর্বাধুনিক ও সমন্বিত সিমুলেটর কমপ্লেক্স তৈরি করছে।
ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন ফয়সাল আজিম বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলো এই সিমুলেটরের সঙ্গে যুক্ত থাকছে। ফলে ইনল্যান্ড ও কোস্টার জাহাজের নাবিকদেরও নৌ নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব হবে।’
চালু হবে জুনে
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এই সিমুলেটর কমপ্লেক্স স্থাপন করছে। প্রায় ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্পের কাজ এরই মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। এখন ভৌত অবকাঠামো নির্মাণকাজ চলছে। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, নির্ধারিত সময় ২০২১ সালের জুনের মধ্যেই এটি সম্পন্ন হয়ে যাবে। মেরিটাইম ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন ফয়সাল আজিম বলছেন, ‘কভিড-১৯ মহামারির মধ্যেই আমরা এই প্রকল্পের কাজ চালিয়েছি; খুব বেশি প্রভাব পড়তে দিইনি। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি সিমুলেটর যন্ত্র চলে এসেছে দেশে। বাকিগুলো নির্ধারিত সময়েই পৌঁছাবে। আশা করছি, নির্ধারিত সময়ে এই কমপ্লেক্স চালু করা যাবে।’
সরকার বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় সক্ষম নাবিক তৈরি করতে চট্টগ্রাম ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউটকে সর্বাধুনিকভাবে গড়ে তুলছে। গত আট বছরে এই প্রতিষ্ঠানের আমূল পরিবর্তন হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠান থেকে বর্তমানে রেটিং বা কর্মী ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে; বছরে সক্ষমতা ৬০০ জন। রেটিং তৈরি করতে সরকার এরই মধ্যে মাদারীপুরে শাখার অনুমতি দিয়েছে, যেটির অবকাঠামো নির্মাণ চলছে। মাদারীপুর শাখার প্রশিক্ষণ এখন চলছে চট্টগ্রামে। একই সঙ্গে কুড়িগ্রামেও ইনস্টিটিউটের একটি শাখা স্থাপনের কাজ প্রক্রিয়াধীন। প্রতিষ্ঠানটি এরই মধ্যে প্রশিক্ষণের গুণগত মানের স্বীকৃতি হিসেবে ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের মেরিটাইম সেফটি এজেন্সির সনদ পেয়েছে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের স্বীকৃতি হিসেবে আইএসও সনদ, ওয়েল্ডিং প্রসিডিউর স্পেসিফিকেশন সনদ এবং যুক্তরাজ্যের মারলিনসের অনুমোদিত টেস্ট সেন্টারের মর্যাদাও লাভ করেছে।
সম্পর্কিত খবর

এআই দেখাবে পরিবেশ বিপর্যয়
- এখনই পরিবেশদূষণ না কমালে ভবিষ্যতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কী হাল হতে পারে, তারই একটি সিমুলেটেড চিত্র তুলে ধরতে চালু হয়েছে thisclimatedoesnotexist.com। পরিবেশ বিপর্যয়ের পর সেই জায়গাটি কেমন হতে পারে, তারই চিত্র দেখা যাবে এ সাইটে। বিস্তারিত
জানাচ্ছেন এস এম তাহমিদ

দুই বছর ধরে সাইটটি নিয়ে কাজ করছে কানাডার কুইবেকে অবস্থিত এআই ইনস্টিটিউট ‘মিলা’। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিভিন্ন প্রয়োগ নিয়ে মিলা ইনস্টিটিউট কাজ করে আসছে। ২০১৯ সালে দলটি সিদ্ধান্ত নেয়, জলবায়ু পরিবর্তনের পরিণাম কতটা ভয়াবহ হতে পারে সেটা মানুষকে চোখে আঙুল তুলে দেখানোর জন্য একটি প্রজেক্ট তৈরি করার। তাদের দলে কোনো আবহাওয়াবিদ না থাকলেও মন্ট্রিয়ল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণালব্ধ অনেক তথ্যের ডাটাসেট হাতের কাছেই ছিল।
বিশ্বের সব অঞ্চল একইভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার হবে না। সব জায়গায় সব ধরনের বিপর্যয় ঘটবেও না। মিলা’র দলটির ট্রেনিং দেওয়া এআই সূক্ষ্মভাবে তফাতগুলো আমলে নিয়ে এলাকাভিত্তিক পরিবর্তনগুলোর ভবিষ্যদ্বানী করতে পারে।
গবেষকদের অনেক দেশ ও এলাকার দুর্যোগের বাস্তব চিত্র জোগাড় করা সম্ভব হয়নি। সে ক্ষেত্রে তাঁরা সেসব এলাকার থ্রিডি মডেল তৈরি করে সেখানে বন্যা, আগুন বা ধোঁয়াশার প্রভাব সিমুলেট করে সেই তথ্য ব্যবহার করেছেন।
প্রজেক্টটির মূল লক্ষ্য, সবার মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে সচেতনতা বাড়ানো এবং সেটি ঠেকানোর জন্য পদক্ষেপ নিতে আগ্রহী করা। জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি স্ক্রিনে বা কাগজের কিছু লেখা ও সংখ্যায় আটকে থাকায় অনেকের কাছেই সেটার প্রভাব আসলে কতটা বিস্তীর্ণ হতে পারে, সেটা সব সময় অনুধাবন করা সম্ভব হয় না।
সিমুলেশনটি দেখতে হলে তাদের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে বেছে নিতে হবে পছন্দসই জায়গা। বিশ্বের সব দেশ ও শহরেই সিমুলেশনটি কাজ করে, তাদের তথ্যের জোগানদাতা গুগল ম্যাপস স্ট্রিটভিউ। ঠিকানা বাছাই করার পর দুর্যোগের ধরন ঠিক করে দিলেই কিছু সময় পর পাওয়া যাবে এআইয়ের তৈরি ছবি। নিজের বাসা, গ্রাম থেকে শুরু করে বিখ্যাত স্থান—সব ছবি সহজেই জেনারেট করা যাবে সাইটটির মাধ্যমে।

কী দেখা গেল গ্যালাক্সি আপ্যাকড ইভেন্টে?
- বার্ষিক গ্যালাক্সি আপ্যাকড ইভেন্ট হয়ে গেল ১০ জুলাই। এতে উন্মোচিত হয়েছে নতুন ফোল্ডিং গ্যালাক্সি ফোন, গ্যালাক্সি ওয়াচ এবং গ্যালাক্সি বাডসের পাশাপাশি স্যামসাং স্মার্ট রিংও। বিস্তারিত জানাচ্ছেন এস এম তাহমিদ

বাডস ও ওয়াচের চিরচেনা স্যামসাং ডিজাইনে এবার দেখা গেছে বড়সড় পরিবর্তন। স্যামসাং স্মার্ট রিং হতে পারে আগামীর জনপ্রিয় ফ্যাশনেবল স্মার্ট প্রযুক্তিপণ্যে। সব মিলিয়ে বলা যায়, ফোনগুলোই ছিল ইভেন্টের সবচেয়ে সাদামাটা ডিভাইস।
গ্যালাক্সি ফোল্ডেবল সিরিজ
স্যামসাং গ্যালাক্সি জেড ফোল্ড ৬ ডিজাইন বর্তমান জেড ফোল্ড ৫-এর কাছাকাছি।
জেড ফ্লিপ ৬-এর হার্ডওয়্যারও ফ্লিপের মতোই। প্রসেসর বদলে দেওয়া হয়েছে স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ৩ ফর গ্যালাক্সি, ক্যামেরা হার্ডওয়্যার থাকছে এস২৪-এর মতো মূল ৫০ মেগাপিক্সেল ও আলট্রাওয়াইড ১২ মেগাপিক্সেল সেন্সর। র্যাম ও রম থাকছে ফোল্ডের মতোই, ১২ গিগাবাইট ও ২৫৬ গিগাবাইট। এই ফোনটিও করা হয়েছে ফ্লিপ ৫-এর চেয়ে কিছুটা পাতলা ও হালকা, ব্যাটারি ৪০০০ এমএএইচ-এ উন্নীত করা হয়েছে।
গ্যালাক্সি জেড ফোল্ড ৬-এর দাম শুরু এক হাজার ৮৯৯ ডলার থেকে। আর গ্যালাক্সি জেড ফ্লিপ ৬-এর দাম ৮৯৯ ডলার থেকে শুরু।
স্যামসাং বাডস
স্যামসাং বাডস ৩ এবং বাডস ৩ প্রো দেখতে অনেকটাই এয়ারপডসের মতো। বেশির ভাগ স্যামসাং-ভক্ত বিষয়টি নিয়ে হতাশ, এত দিন ধরে স্যামসাং নিজেদের বাডসগুলোতে এ রকম নিজস্ব ডিজাইন ব্যবহার করে আসছিল। চমৎকার সাউন্ড, ফাস্ট পেয়ারিং এবং কার্যকরী নয়েজ ক্যানসেলেশনের জন্য দুটি বাডসই অবশ্য প্রাথমিক রিভিউতে উের গেছে। বাডস ৩ প্রো মডেলে থাকছে সরাসরি বাডসের মধ্যেই লাইট স্ট্রিপ, যাতে চট করে ব্যাটারি লাইফ দেখে নেওয়া যায়। তবে এয়ারপডসের ডিজাইনের এত কাছাকাছি করে নতুন বাডস ডিজাইন করায় স্যামসাংয়ের নিজস্বতা কিছুটা ক্ষুণ্ন হয়েছে, বলেছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা।
স্যামসাং বাডস ৩-এর দাম ১৭৯ ডলার থেকে শুরু। বাডস ৩ প্রো-এর দাম ২৪৯ ডলার থেকে শুরু।
গ্যালাক্সি ওয়াচ এবং রিং
অ্যানড্রয়েড ওয়্যার ওএস চালিত সবচেয়ে জনপ্রিয় স্মার্টওয়াচ সিরিজ ‘গ্যালাক্সি ওয়াচ’। নতুন গ্যালাক্সি ওয়াচ ৭-এর মূল্য থাকছে অপরিবর্তিত, ২৯৯ ডলার থেকে শুরু। চেহারাও অনেকটা ওয়াচ ৬-এর মতোই রাখা হয়েছে, বৃত্তাকার অ্যামোলেড ডিসপ্লেসমৃদ্ধ ওয়াচটি বাজারের বাকি সব চতুষ্কোণ স্মার্টওয়াচের চেয়ে একেবারেই আলাদা।
গ্যালাক্সি ওয়াচ আলট্রা স্যামসাং পরিবারে নতুন সংযোজন। চারকোনা বডি ও কমলা বাটন এবং ন্যাটো স্টাইল স্ট্র্যাপ দেখে অ্যাপল ওয়াচ আলট্রার কথাই মনে পড়বে। তবে বডি চারকোনা হলেও ডিসপ্লে থাকছে বৃত্তাকার। টাইটেনিয়াম বডি এবং স্যাফায়ার গ্লাস ডিসপ্লের ডিভাইসটি টানা ১০০ ঘণ্টা পর্যন্ত এক চার্জে চলতে সক্ষম। ডুয়াল ব্যান্ড জিপিএস, -২০ থেকে ৫৫ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রায় এবং ২৯ হাজার ৫২৭ ফিট উচ্চতায় পর্যন্ত কার্যক্ষম থাকার মতো শক্তপোক্ত ডিজাইনের ঘড়িটি তৈরি করা হয়েছে যারা অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় তাদের কথা মাথায় রেখেই। মূল্য শুরু ৬৪৯ ডলার থেকে।
গ্যালাক্সি রিং
স্যামসাং নিজেদের স্মার্ট রিং তৈরি করেছে হাতে স্মার্টওয়াচ না পরেই হার্টরেট, ব্রিদিং, দেহের উত্তাপ এবং ঘুমের মনিটরিং করার জন্য। বেশ কিছু ব্র্যান্ডের স্মার্ট রিং এর মধ্যেই বাজারে পাওয়া যাচ্ছে, স্যামসাংও অবশেষে বাজারে প্রবেশ করল। এক চার্জে প্রায় এক সপ্তাহ চলবে গ্যালাক্সি রিং, পাওয়া যাবে ম্যাট ব্ল্যাক, সিলভার এবং গোল্ড তিনটি রঙে। রিংটি ব্যবহার করার জন্য লাগবে অ্যানড্রয়েড ফোন, সব ফিচারের জন্য গ্যালাক্সি ফোন থাকা আবশ্যক। মূলত যারা ফ্যাশনসচেতন বা দীর্ঘ সময়, বিশেষ করে ঘুমের মধ্যে ঘড়ি পরতে আগ্রহী নয়, তাদের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে ডিভাইসটি। মূল্য ৪০০ ডলার থেকে শুরু।

ঘূর্ণিঝড় খুঁজতে ড্রোন
- সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় হারিকেনের প্রবল ঘূর্ণিবাতের কারণে উপকূল এলাকায় প্রাণ হারায় অসংখ্য জনজীবন। হারিকেনের তাণ্ডব থেকে জানমাল রক্ষার্থে এবার মাঠে নেমেছে সামুদ্রিক ড্রোন। তার কার্যকলাপ লিখেছেন আল সানি

উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের পশ্চিমাঞ্চল, মধ্য এবং পূর্ব-উত্তর প্রশান্ত মহাসাগর, ক্যারিবিয়ান সাগর এবং মেক্সিকো উপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়কে বলা হয় ‘হারিকেন’। হারিকেনের পাঁচটি ক্যাটাগরির মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর ‘ক্যাটাগরি-ফাইভ’, যেটির গতিবেগ ২৫০ কিলোমিটারের ওপরে। তবে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড়গুলো প্রাথমিক অবস্থায় অল্প শক্তি নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও দ্রুত ক্যাটাগরি ফাইভ হারিকেনে রূপান্তরিত হচ্ছে। বিশেষ করে হারিকেন ওটিস গত বছরের অক্টোবর মাসে দক্ষিণ মেক্সিকোর উপকূলে আঘাত হানে, যার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২৭০ কিলোমিটার।
সমুদ্রগামী ড্রোন তৈরি করা ‘সেইলড্রোন’ আদতে একটি ডাটা কম্পানি। তবে তারা যে ড্রোন তৈরি করছে, এগুলো ক্রমাগত শক্তি সঞ্চয়কারী হারিকেনের গতিবিধি নজর রাখতে এখন পর্যন্ত শতভাগ সক্ষম। এই সেইলড্রোনগুলো সেন্সরের মাধ্যমে সমুদ্র ও বায়ুমণ্ডলের অবস্থার তথ্য সংগ্রহ করে সরকারি সংস্থার কাছে রিলে করে প্রেরণ করে এবং পরবর্তী সময়ে বিজ্ঞানীরা এসব ডাটা বিশ্লেষণ করে ঝড়ের সম্ভাব্য অবস্থান ও গতিবিধির ব্যাপারে সচেতন হয়।

আরিয়ানের রোবটেরা
- একদিকে শ্রমিকের অভাব, অন্যদিকে কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের নিরাপত্তাহীন জীবন—এই দুইয়ের মাঝে জায়গা করে নিয়েছে ‘গ্রে ম্যাটার রোবোটিকস’। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটির সহপ্রতিষ্ঠাতা ও
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বুয়েটিয়ান আরিয়ান কবিরের পথচলার গল্প জানাচ্ছেন আল সানি

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাবেক ছাত্র আরিয়ান কবির ২০২০ সালে তাঁর দুই ভারতীয় সতীর্থ ব্রুয়াল শাহ ও সতেন্দ্র কে. গুপ্তাকে নিয়ে শুরু করেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও রোবোটিকস বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ‘গ্রে ম্যাটার রোবোটিকস’। প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক হলেও সেবা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রসহ শিল্পোন্নত দেশগুলোতে।
বিশ্বব্যাপী রোবোটিকসকে এগিয়ে নিতে সৃজনশীল ও শক্তিশালী উদ্ভাবকদের দেওয়া হয় ‘বিআরআর৫০ ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড’। ২০২০ সালে যেটি পায় গ্রে ম্যাটার রোবোটিকস।
শুরুর কথা
আরিয়ান কবির পড়াশোনা করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিষয় নিয়ে। তবে বুয়েটে ভর্তির আগে থেকেই আরিয়ানের বেশ আগ্রহ ছিল রোবট নিয়ে। দৈনন্দিন কাজকে সহজ করে দেওয়া, বিপজ্জনক কাজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে করা ইত্যাদি কাজের জন্য রোবট কিভাবে বানায়, সেসবও ছিল তাঁর চিন্তায়। তবে আরিয়ান চাইতেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে এসব রোবট স্বয়ংক্রিয়ভাবে সিদ্ধান্ত নিক।
২০১৬ সালে আরিয়ান তাঁর অধ্যাপকের সঙ্গে ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ায় চলে আসেন। সেখানকার ল্যাবে বিভিন্ন শিল্প উৎপাদকের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়। তখন বড় একটি অ্যারোস্পেস প্রতিষ্ঠান থেকে জানতে পারেন তারা নিজেদের মাল্টি মিলিয়ন ডলারের হেলিকপ্টার ব্লেড এখনো হাতে বানায়। তবে এই কাজে প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিল ওই সময়।
শ্রমিক সংকট থেকে মুক্তি দিতে
যুক্তরাষ্ট্রে শ্রমিক সংকট নতুন নয়। ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোর বেশ কিছু অঞ্চলে ৪৪ হাজারের বেশি রোবট অর্ডার করেছিল বিভিন্ন কম্পানি। প্রযুক্তি কম্পানিগুলোর সংগঠন ‘অ্যাসোসিয়েশন ফর অ্যাডভান্সিং অটোমেশন’ বা ‘এ৩’-এর তথ্য বলছে, ২০২১ সালের চেয়ে এটি ১১ শতাংশ বেশি। রোবট শ্রমিকের বাজার দাঁড়িয়েছে ২৩৮ কোটি ডলারে, যা আগের বছরের চেয়ে ১৮ শতাংশ বেশি। চলতি বছরও যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমিক সংকট বেড়েছে ক্রমবর্ধমান হারে। সবচেয়ে বেশি শ্রমিক ঘাটতি উৎপাদন শিল্পে। প্রায় আড়াই ট্রিলিয়ন ডলারের এই উৎপাদনশিল্পে বিপজ্জনক বিভিন্ন কাজের জন্য শ্রমিক মেলানো কঠিন, যার কারণে ক্রয়াদেশের পাহাড় ক্রমাগত বেড়েই চলছে। অনেক কারখানারই ব্যাকলগে পড়ে আছে দুই থেকে তিন বছরের কাজ। এই সংকট মোকাবেলায় বিভিন্ন দেশ থেকে শ্রমিক আমদানি করা হলেও প্রশিক্ষণের অভাবে তাঁদেরও কাজে লাগানো যাচ্ছে না পুরোদমে। পরিসংখ্যান বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৩৮ লাখ শ্রমিকের পদ শূন্য। শূন্য পদের বিপরীতে যখন মানব শ্রমিকের অভাবে ধুঁকছে শিল্পোন্নত এসব দেশ, সেখানেই এগিয়ে এসেছে আরিয়ান কবিরের প্রতিষ্ঠান। গ্রে ম্যাটার রোবোটিকস প্রতিনিয়ত নতুন নতুন কর্মদ্দীপ্ত এআইসমৃদ্ধ রোবট নিয়ে হাজির হচ্ছে এসব প্রতিষ্ঠানে। মানব শ্রমিকের চেয়ে কম খরচ ও প্রায় শূন্য ঝুঁকির কারণে শিল্পসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো ঝুঁকছে গ্রে ম্যাটার রোবটিকসের দিকে।
সাধারণ থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার রোবট
গ্রে ম্যাটার রোবোটিকস নিজেরা বানায় না কোনো রোবট। যে কাজের জন্য তাদের রোবট লাগে, সেই কাজের উপযোগী রোবট তারা বাজার থেকে কিনে আনে। হার্ডওয়্যারভিত্তিক এই রোবটগুলোতে তারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রগ্রাম সেট করে দেয়। আরিয়ানের প্রতিষ্ঠানটি মূলত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) একটি সফটওয়্যার কম্পানি। স্পেসিফিক সেন্সর, টুলস যুক্ত করে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে তারা বাজারের সাধারণ রোবটকে বানিয়ে তোলে একটি বুদ্ধিমান যন্ত্র হিসেবে। বর্তমানে তাদের রোবট বিভিন্ন সারফেস ফিনিশিংয়ের কাজে বেশি ব্যবহৃত হয়। সেন্ডিং, পলিশিং, কোটিং, গ্রাইন্ডিং, পেইন্টিংসহ যেখানে হাত দিয়ে কাজ করা হয়, সেখানেই কাজ করে এটি।
ভাড়ায় খাটা রোবট
আরিয়ানের প্রতিষ্ঠানের রোবটগুলো গ্রাহকরা না কিনেও ব্যবহার করতে পারে। এ ক্ষেত্রে শ্রমিকের মতো ভাড়া নেওয়ার সুবিধা রাখা হয়েছে। আর এ কারণে রোবট কেনার জন্য এককালীন বিশাল খরচ থেকে বেঁচে যায় কারখানাগুলো এবং ক্রয়াদেশের ওপর ভিত্তি করে রোবট কম-বেশি করে ভাড়াও নিতে পারে তারা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে এসব রোবটের উৎপাদনশীলতা ও দক্ষতা মানব শ্রমিকের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।
বিনিয়োগ যখন ৭৩১ কোটি টাকার
আরিয়ানের প্রতিষ্ঠান প্রায় দুই বছর আগে বিনিয়োগ পেয়েছিল ২০০ কোটি টাকার বেশি। চলতি বছর তারা বিনিয়োগ পেয়েছে আগেরবারের চেয়ে প্রায় তিন গুণ। বাংলাদেশি টাকায় ৫৩১ কোটি বা সাড়ে চার কোটি ডলারের বি সিরিজ বিনিয়োগে সবার প্রথমে নাম আসে ওয়েলিংটন ম্যানেজমেন্টের। তা ছাড়া এই বিনিয়োগে যুক্ত আছে এনজিপি ক্যাপিটাল, ইউক্লিডিয় ক্যাপিটাল, অ্যাডভান্স ভেঞ্চার পার্টনারস ও এসকিউএন ভেঞ্চার পার্টনারস। থ্রিএম ভেঞ্চারস, বি ক্যাপিটাল, বো ক্যাপিটাল, ক্যালিব্রেট ভেঞ্চারস, ওসিএ ভেঞ্চারস ও সুইফ ভেঞ্চারসের বিনিয়োগে আরিয়ান কবিরের প্রতিষ্ঠান যুক্ত হয়েছে আগেই। সাড়ে চার কোটি ডলারের নতুন বিনিয়োগ দিয়ে ‘গ্রে ম্যাটার রোবোটিকস’ আরো নতুন ধরনের পণ্য ও সেবা নিয়ে কাজ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন এর উদ্যোক্তারা। তা ছাড়া পুরনো গ্রাহকদের নতুন যেকোনো চাহিদা পূরণ করতেও রাখা হয়েছে আলাদা বরাদ্দ। বাকি অর্থ ব্যয় হবে নতুন নতুন গ্রাহক সৃষ্টি ও মার্কেটিংয়ের কাজে।