ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাপল পার্কে অনুষ্ঠিত নিজেদের বার্ষিক ডেভেলপার কনফারেন্সে মিক্সড রিয়ালিটি হেডসেট ‘অ্যাপল ভিশন প্রো’ উন্মোচন করল অ্যাপল।
অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী টিম কুকের মতে, এই হেডসেট বাস্তব ও ভার্চুয়ালজগতের সংমিশ্রণ ঘটাবে। অ্যাপল ভিশন প্রোর ব্যাটারি লাইফ হবে দুই ঘণ্টার। এতে সংযুক্ত থাকবে এম২ ও আর১ চিপ, ফোরকে ডিসপ্লে, ডজনখানেক ক্যামেরা ও সেন্সর, যা হাতের নড়াচড়া দেখে ইনপুট নেবে এবং থ্রিডি ফটোগ্রাফি করবে।
হেডসেটটি চলবে ভিশনওএস প্ল্যাটফরমে। স্পেশাল কম্পিউটিংয়ের জন্য বিশেষভাবে এই প্ল্যাটফরম তৈরি করা হয়েছে। স্পেশাল কম্পিউটিংয়ের অর্থ মেশিনের সঙ্গে মানুষের ইন্টার্যাকশন বা আদান-প্রদান। ভার্চুয়াল হেডসেটটি পরে ম্যাক কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ, গেম খেলা ও আইপ্যাডের অ্যাপ চালানো যাবে। এটি দেখতে ঠিক অন্যান্য ভার্চুয়াল রিয়ালিটি হেডসেটের মতো নয়, বরং বরফে স্কি করার গগলসের সঙ্গে এটির মিল রয়েছে। এই হেডসেট পরলে পুরো ফোন চেখের সামনে বড় আকারে চলে আসবে। অর্থাৎ ফোনের যেকোনো অ্যাপ বড় আকারে হাজির হবে। এসব অ্যাপ হাতের ইশারায় নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। আপনি যদি সিনেমা দেখতে চান সেটা বড় আকারের স্ক্রিনের মতো চোখের সামনে চলে আসবে। চাইলে আঙুল দিয়ে এই স্ক্রিনকে টেনে বড় করা যাবে। বাসার সোফা বা প্লেনের চেয়ারে বসেই পাওয়া যাবে সিনেমা হলের মতো অনুভূতি। আবার নিউ ইয়র্ক টাইমসের অ্যাপের কোনো সংবাদে ক্লিক করলে সেটাও বিশাল আকারে এসে হাজির হবে। ফেসটাইমে কথা বলার ক্ষেত্রেও বিশাল আকারে দেখা যাবে অন্য প্রান্তে থাকা ব্যক্তির ছবি। হেডসেটটি দিয়ে থ্রিডি ফটোগ্রাফি করাও সম্ভব। এই হেডসেট শুধু গেম খেলতে কাজে লাগবে না, আশপাশের পরিবেশ থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করতেও সহায়তা করবে।
হেডসেটটির দাম ধরা হয়েছে তিন হাজার ৪৯৯ ডলার (তিন লাখ ৭৬ হাজার টাকা)। অন্যান্য হেডসেটের তুলনায় দামটা পাঁচ গুণ বেশি। মেটার সদ্য ঘোষিত ভিআর হেডেসেট ‘কোয়েস্ট ৩’-এর দাম ৪৯৯ ডলার (৫৩ হাজার টাকা)। আগামী বছরের শুরুতে হেডসেটটি শুধু যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে আসবে। সূত্র : এনগ্যাজেট