<p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.3pt">একটি দেশ বিশ্বব্যাপী যে কয়টি বিষয় দিয়ে পরিচিত হয় তার একটি হচ্ছে শিক্ষাব্যবস্থা, বিশেষ করে তার উচ্চশিক্ষা। বিশ্বে এখনো অক্সফোর্ড, কেমব্রিজ বা হার্ভার্ড আর এমআইটি কোথায়, তা বলে দিতে হয় না। একজন শিক্ষার্থী এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করলে বাকি জীবন বেশ গর্ব করে বলতে পারেন, তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেছেন। শিক্ষক হলে তিনি তাঁর কর্মক্ষেত্র নিয়ে গর্ব করেন। পাশের দেশ ভারতের দিল্লি, কলকাতা বা চেন্নাই বিশ্ববিদ্যালয়ও শত বছর ধরে শিক্ষা ও গবেষণা ক্ষেত্রে তাদের অবদানের জন্য সুনামের সঙ্গে টিকে আছে। সেই দেশের আইআইটি বা আইআইএম বিশ্ববিদ্যালয় না হওয়া সত্ত্বেও তাদের সুনাম হার্ভার্ড বা অক্সফোর্ডের মতো। একসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বা ছাত্র নিজের প্রতিষ্ঠান নিয়ে বেশ গর্ব করতেন। কেউ কেউ এখনো করেন। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.3pt"><img alt="বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এত নাজুক অবস্থা কেন" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/February/25-02-2024/mk/kk-6-2024-02-25-01a.jpg" style="float:left" />১৯৯১ সালে যাত্রা করা দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সম্পর্কে অভিযোগ ছিল, তারা সনদ বাণিজ্যের দোকান ছাড়া আর কিছু নয়। তাদের অনেকেই সেই বদনাম ঘুচিয়ে এরই মধ্যে আন্তর্জাতিকভাবে ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের জন্য গর্ব হয়ে উঠতে পারত তার উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠান তথা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। কিন্তু সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, দেশের বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদের শিরোনাম হচ্ছে নানা ধরনের নেতিবাচক ঘটনার কারণে; যার অন্যতম হচ্ছে উপাচার্যদের দুর্নীতি আর ক্যাম্পাসে যৌন হয়রানির মতো ভয়াবহ অপরাধ। বেশ কিছুদিন ধরে কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত নানা অপকর্মের কারণে প্রশ্ন উঠেছে জনগণের অর্থে পরিচালিত এসব প্রতিষ্ঠানের এমন দশা কেন হলো। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.3pt">একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্ণধার তার উপাচার্য। কর্মস্থলই তাঁর দায়িত্ব পালনের পবিত্র স্থান। কিন্তু গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদগুলো দেখলে মনে হতে পারে, কোনো কোনো উপাচার্য কর্মক্ষেত্রকে তাঁর জমিদারি মনে করেছেন। বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা দিয়ে। শুরু থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সুনাম কুড়িয়েছে তার শিক্ষকদের মাধ্যমে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হয়ে এসেছিলেন ভারত বিখ্যাত সব পণ্ডিতজন। বিশ্বে সম্ভবত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়, যার নাম দেশের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। ১৯২১ সালে একটিমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় দিয়ে উচ্চশিক্ষার দ্বার খুলেছিল এ দেশে। সেখানে বর্তমানে ৫৭টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও ১২০টির মতো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.3pt">এত বিশ্ববিদ্যালয়, এত শিক্ষার্থী। কিন্তু ইদানীং কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষার্থী কোনো ভালো কাজের জন্য গণমাধ্যমের শিরোনাম হচ্ছে না। ঘটছে গোষ্ঠীগত দাঙ্গা, ধর্ষণের মতো ঘটনা। সতীর্থের হাতে সতীর্থের নির্মমভাবে খুন হওয়া, শিক্ষাজীবন শেষ হওয়ার পরও ছাত্রাবাসে এক যুগ অবৈধভাবে বসবাস, ছাত্রাবাসের প্রশাসনিক দায়িত্ব অছাত্রদের হাতে চলে যাওয়া, ছাত্রনেতার নাম ব্যবহার করে হল ক্যান্টিনে কয়েক লাখ টাকার বাকি খাওয়া, শিক্ষক কর্তৃক যৌন হয়রানি, কোনো কোনো উপাচার্যের লাগামহীন স্বজনপ্রীতি, আর্থিক দুর্নীতি, নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ আছে। নিজের মানুষকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য যোগ্যতার মাপকাঠি কমিয়ে দেওয়া হয়। কোনো নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুললে সবাইকে অবাক করে দিয়ে কোনো কোনো উপাচার্য এমনও বলেন, এই প্রার্থীকে চাকরি দেওয়ার জন্য সরকারের ওপরমহলের অনুরোধ আছে। এমন নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি উপাচার্যদের প্রশাসনিক কাজে অদক্ষতা আর অযোগ্যতার স্বাক্ষর।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.3pt">কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি এতই খারাপ হয়েছে যে ক্যাম্পাসে পা রাখলেই শোনা যায় লাগামহীন অপকর্মের কথা। এমনও শোনা যায়, এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা তাঁদের নিয়োগ বাণিজ্য ও দুর্নীতিতে সহায়তা করার জন্য তাঁদের নিকট আত্মীয়দের দায়িত্ব দিয়েছেন। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অব্যবস্থা ও দুর্নীতির ক্ষেত্র ও পরিসর কিছুটা ভিন্ন। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কথা পৃথক করে বলার কারণ একটাই। এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো জনগণের অর্থে পরিচালিত হয়, যদিও ঢাকার বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি অভিযোগ অনেক বেশি। তবে মাঝেমধ্যে রাজধানীকেন্দ্রিক দু-একটি বিশ্ববিদ্যালয়ও এসব অভিযোগ থেকে মুক্ত নয়। কয়েক দিন আগে রাজধানীর একটি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে অভিযোগ উঠেছে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেতে হলে উপাচার্যের আত্মীয় হওয়াটাই যথেষ্ট। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক উপাচার্যের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় তদন্ত করে তার সত্যতা পায়। উপাচার্য মহোদয় তাতে সন্তুষ্ট নন জানালে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন সেই অভিযোগের পুনঃ তদন্ত করে মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদন যথার্থ বলে রিপোর্ট দেয়। কিন্তু সেই উপাচার্য তাঁর পূর্ণ মেয়াদ শেষ করেন। কারণ তাঁর খুঁটির জোর বেশ শক্ত। তিনি যাওয়ার পর ওই পদটি প্রায় ছয় মাস শূন্য ছিল কোনো এক অজানা কারণে। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে স্থবিরতা নেমে আসে।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.3pt">বর্তমান সরকারের ২০০৯-১৪ মেয়াদকালে ঢাকার বাইরের এক জেলার একজন উপাচার্য প্রায় পুরো চার বছর সময় ঢাকায় থেকে তাঁর মেয়াদ শেষ করেন। অপকর্মের জন্য তাঁকে কোনো জবাবদিহি করতে হয়নি। সেই ব্যক্তি ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে প্রায় প্রতিদিন বিভিন্ন টিভিতে এসে ভবিষ্যদ্বাণী করতেন শেখ হাসিনা কখন পালিয়ে যাবেন বা কখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করবে। তাঁর আবার একটি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংগঠনও আছে। সেই আমলে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে জিয়া পরিষদের একজন আহ্বায়ককে অন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ দিয়ে সবাইকে অবাক করে দিয়েছিল সরকার। এমন একটি নিয়োগ কিভাবে হলো তার কোনো উত্তর আজতক পাওয়া যায়নি। একজন ব্যাক্তিকে এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন করার আগে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা খোঁজখবর নিয়ে থাকে। প্রশ্ন হচ্ছে, যাদের এই খোঁজখবর নেওয়ার কথা, তারা কতটুকু বস্তুনিষ্ঠভাবে এই কাজটি করে? </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.3pt">অনেকে জানতে চায়, দেশের বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে কিভাবে সৃষ্টি হলো এমন নৈরাজ্য। এককথায় এর উত্তর দেওয়া কঠিন। ২০০১ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যাঁরা উপাচার্যের দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের সম্পর্কে তেমন বড় ধরনের কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতির অভিযোগ শোনা যায়নি। ২০০১ সালে সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালনরত ১১ জন উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে সরিয়ে দলীয় রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়া হয়। এতে কোনো আপত্তি থাকার কথা নয়, যদি নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তির যোগ্যতা থাকে, যা অনেকের ছিল না। একজন নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তি তো রাতের অন্ধকারে উপাচার্যের দপ্তরের দরজা ভেঙে চেয়ার দখল করেছিলেন। সেই থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষয় শুরু। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.3pt">২০০১ সালে শুরু হওয়া সেই নৈরাজ্য বর্তমানে কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে, যার অন্যতম কারণ অযোগ্য ব্যক্তিকে এসব গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দেওয়া। এসব পদের জন্য যে ধরনের ন্যক্কারজনক তদবির হয় বলে শোনা যায়, তা যেকোনো বিবেকবান মানুষকে লজ্জিত করবে। কোনো কোনো পদপ্রত্যাশী তদবিরকারী তাঁর তদবিরের কাজ শুরু করেন ছাত্র নামধারী কিছু ব্যক্তিকে দিয়ে। তারপর শুরু হয় বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধরনা দেওয়া। সঙ্গে উপঢৌকনও নিয়ে যান কেউ কেউ। যিনি যত তদবিরে পটু, হয়তো শেষ পর্যন্ত শিকেটা তাঁর ভাগ্যেই ছেঁড়ে। যিনি সৌভাগ্যবান, দেখা যাবে সেই ব্যক্তির না আছে কোনো একাডেমিক যোগ্যতা, না আছে কোনো প্রশাসনিক দক্ষতা। যে ব্যক্তি জীবনে একজন সহকারী হাউস টিউটরের দায়িত্বও পালন করেননি, তাঁকে যদি একটি বড় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্বে বসিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে সেই বিশ্ববিদ্যালয় সার্বিক নৈরাজ্য আর অব্যবস্থাপনায় ডুবে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। কিভাবে তিনি নিয়োগ পেলেন? হয়তো তিনি বুঝতে পেরেছিলেন কাকে কিভাবে খুশি করলে ওই পদে যাওয়া যায়। তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সেই কাজটিই করেছেন। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.3pt">দেশের মানুষ মনে করে, সব সমস্যার সমাধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে। তা যদি হতো, সরকারের এত এত গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা, সভা-পারিষদ কেন আছেন? আসলে সমস্যা এখানেই। সাধারণ মানুষের ধারণা, এই সভা-পারিষদরাই যত সমস্যার মূল। প্রধানমন্ত্রী যা শুনলে খুশি হবেন, তাঁরা তাঁকে তা-ই শোনাতে ব্যস্ত থাকেন। প্রায় সময় সত্য এড়িয়ে যান। তাঁরা সুযোগ পেলেই তাঁকে ভুল তথ্য দিয়ে বিব্রত করেন। এমন ঘটনা এই সময় ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.3pt">একজন উপাচার্য কিভাবে নিয়োগ পাবেন তার একটি আইনগত ভিত্তি আর পদ্ধতি প্রক্রিয়া আছে। চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর হাতে তৈরি ১৯৭৩ সালের আইন আছে। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য নিয়োগ দেন। তবে এই নিয়োগপ্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত থাকে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর। সাধারণত প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরেই এই প্রক্রিয়াটি শুদ্ধ বা অশুদ্ধ হতে পারে এবং তা-ই হয়। উচ্চ শিক্ষাঙ্গনের চলমান নৈরাজ্য দূর করতে হলে এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে তদবিরবিশারদদের কোনোভাবেই পুরস্কৃত করা যাবে না। এই প্রক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও শিক্ষাবিদদের যুক্ত করাটা এখন অতীব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একই সঙ্গে সরকারি বিভিন্ন সংস্থাকে আরো বেশি বস্তুনিষ্ঠভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব বিধিবদ্ধ পর্ষদ আছে, তা সঠিকভাবে গঠিত হতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা শেষ হলে শিক্ষার্থীদের ছাত্রাবাস ত্যাগ করার নিয়ম আছে। তা সব সময় হয় না। এটি বলবৎ করার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। তারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বহিনীর সহায়তা নিতে পারে। তাদের সনদ বাতিল করা যেতে পারে। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.3pt">যেসব বিশ্ববিদ্যালয় নানা অনিয়মের অভিযোগের কারণে আলোচিত হচ্ছে, সেসব অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করে অবশ্যই দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। এই কাজটি দ্রুত সম্ভব হলে জাতি উপকৃত হবে। কোনো অবস্থায়ই জনগণের অর্থে পরিচালিত কোনো প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা যাবে না। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.3pt">লেখক : বিশ্লেষক ও গবেষক</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p> </p>