<p>প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের শাসনাধীন রাশিয়ার প্রতিবেশী রাষ্ট্র ইউক্রেন আক্রমণ এবং বর্তমান চলমান যুদ্ধের জন্য বিশ্বের অন্যতম প্রধান পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোকে দায়ী করেছে আন্তর্জাতিক তথ্যাভিজ্ঞ মহল। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা শক্তির দুর্বল নেতৃত্ব, কূটনীতি ও সময়োচিত পদক্ষেপের অভাবেই এ যুদ্ধের সূচনা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তারা। ইউরোপের দুটি ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে বিরাজমান দীর্ঘদিনের সমস্যা ও সংকট নিরসনে ন্যাটো কিংবা ইউরোপীয় ইউনিয়ন কোনো সময়োচিত শক্তিশালী পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। এ অভিযোগ উত্থাপন করেছেন কৃষ্ণসাগরের দক্ষিণ তীরে অবস্থিত তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান। এ বিষয়টি বারবার পশ্চিমা শক্তি ও ন্যাটোর নজরে আনা সত্ত্বেও তারা অতীতে সম্পূর্ণ ভিন্ন পথে হেঁটেছে বলে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান উল্লেখ করেছেন। ইউক্রেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন কিংবা ন্যাটোর সদস্য না হওয়ার কারণে তারা এ দেশটিকে কোনো সামরিক সাহায্য দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের অপারগতার কথা উল্লেখ করে রাশিয়ার বিরুদ্ধে সম্ভাব্য ‘কঠিন অবরোধ জারি’র হুমকি-ধমকি দিয়ে গেছে বরাবর। তাতে থেমে থাকেননি ‘রুশ সম্রাট পুতিন’।</p> <p>সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা শেষ পর্যন্ত ১৯৯১-এর দিকে ভেঙে পড়লে অন্যদের মধ্যে জন্ম হয়েছিল স্বাধীন ইউক্রেন রাষ্ট্রের। কিন্তু রাশিয়ার নিকটতম পূর্ব ইউরোপীয় দেশ ইউক্রেনের সঙ্গে ছিল তাদের দীর্ঘদিনের জাতিগত সমস্যা। এর অন্যতম প্রধান সমস্যাটি ছিল ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত দানবাস অঞ্চলের দোনেস্ক ও লোহানস্ক প্রদেশে বাস করা ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠ রুশভাষী জনগোষ্ঠীকে নিয়ে। এ দুটি প্রদেশের মানুষ শুরু থেকেই ইউক্রেনের সঙ্গে যোগ দিতে কিংবা সম্পৃক্ত হতে অস্বীকৃতি জানায়। এ ছাড়া দক্ষিণ ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ দ্বীপাঞ্চল ক্রিমিয়াকে নিয়েও রাশিয়া বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপন করে। কারণ ইউক্রেনেই ছিল রাশিয়ার (তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন) গুরুত্বপূর্ণ সাবমেরিন ঘাঁটি ও অন্যান্য সামরিক স্থাপনা। সুবিস্তৃত কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার চলাচলের প্রধান সমুদ্রপথ ছিল ক্রিমিয়া। সে কারণে বহু দেনদরবার করে ব্যর্থ হয়ে শেষ পর্যন্ত ২০১৪ সালে রাশিয়া ক্রিমিয়া দখল করে নেয়। কিন্তু তুরস্কসহ অন্যরা, অর্থাৎ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র সেটি মেনে নেয়নি।</p> <p>ইউক্রেনের অখণ্ডতা কিংবা সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে জাতিসংঘও তার বিরোধিতা করে এসেছে। কিন্তু ক্রিমিয়া কিংবা রুশ জনসংখ্যা অধ্যুষিত দোনেস্ক ও লোহানস্ক নিয়ে তারা কেউ কোনো বাস্তবভিত্তিক সমাধান এ পর্যন্ত দিতে পারেনি। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ, বিশেষ করে ফ্রান্স ও ব্রিটেন নরমান্ডি ফরম্যাটে এ সমস্যার সমাধান হতে পারে উল্লেখ করলেও বাস্তবে তা মোটেও এগোয়নি। ১৯৯১ এবং বিশেষ করে ২০১৪ সালে রাশিয়া ক্রিমিয়া দখল করার পর দোনেস্ক ও লোহানস্কের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংঘর্ষ ক্রমেই স্বাধীনতা ঘোষণা পর্যায়ে চলে যায়। রাশিয়ার সামনে তখন তাদের স্বাধীনতার স্বীকৃতি দেওয়া ছাড়া বিশেষ কোনো গত্যন্তর ছিল না বলে রুশ নেতারা উল্লেখ করেছেন।</p> <p>ইউক্রেনের দোনেস্ক ও লোহানস্কের ঘটনার ধারাবাহিকতায় রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন গত ২৩ ফেব্রুয়ারি তাদের স্বাধীনতা ঘোষণার প্রতি স্বীকৃতি জানান। তাতে তৎপর হয়ে ওঠে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ। এতে ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। অবশ্য এর বহু আগে থেকেই সামরিক মহড়ার নামে ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তে এবং একযোগে উত্তর-পশ্চিমে অর্থাৎ বেলারুশে সব মিলিয়ে প্রায় দেড় লাখ সেনা ও অস্ত্রশস্ত্রের সমাবেশ ঘটায় রাশিয়া। ইউক্রেন আক্রান্ত হলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে চরমতম অর্থনৈতিক বিরোধ জারি করবে বলে যুক্তরাষ্ট্র লাগাতার হুমকি দিয়ে যেতে থাকে এবং পরে তাতে যোগ দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্য। এক দিনের মাথায় ২৫ ফেব্রুয়ারি ভোরেই ইউক্রেনের শহরতলিতে পৌঁছে যায় রুশ সাঁজোয়া বাহিনী। রাশিয়ার উত্তর-পশ্চিমের সীমান্ত শহর বেলগারদ ও মারিউপোল দিয়ে ঢুকে পড়ে রুশ বাহিনী। কিয়েভ ছাড়াও ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলের সামরিক ঘাঁটির ওপর রুশ বিমান ও স্থল বাহিনী একযোগে হামলা চালায়। এর পাশাপাশি ছিল বিভিন্ন উন্নত মানের রকেট ও উচ্চ প্রযুক্তিসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার। ১২ ঘণ্টার মধ্যেই রুশ বাহিনী ইউক্রেনের ১১৮টি সামরিক স্থাপনা সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেয়। এ ছাড়া রাজধানী কিয়েভ ও দ্বিতীয় প্রধান নগরী খারকিবকে চারদিক থেকে প্রায় ঘিরে ফেলে তারা। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ দখল এখন রাশিয়ার সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় উদ্বেগজনক অবস্থা দেখা দিয়েছে উত্তর ইউক্রেনের চেরনোবিল পারমাণবিক স্থাপনায়।</p> <p>বৃহস্পতিবার ভোরে অর্থাৎ ২৪ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধ ঘোষণার সময় রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছিলেন, দোনেস্ক ও লোহানস্কের রুশভাষী জাতিগোষ্ঠীর ঘোষিত স্বাধীনতাকে সুপ্রতিষ্ঠিত ও নিরাপদ করার জন্যই তাঁর এ যুদ্ধের আয়োজন। কিন্তু এরপর ক্রমে ক্রমে তাঁর মুখ থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করে যে তিনি ইউক্রেনকে সামরিকায়ন থেকে মুক্ত বা ডিমিলিটারাইজড করে কিয়েভে একটি নিরপেক্ষ বা বন্ধুভাবাপন্ন সরকার প্রতিষ্ঠা করতে ইচ্ছুক। ইংরেজিতে এটিকে বলে রেজিম চেঞ্জ করা। শুধু তা-ই নয়, এমনও শোনা যায় যে তিনি ইউক্রেনকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী জার্মানির মতো দুই ভাগে বিভক্ত করতে চান। পুতিনের কাছ থেকে এখনো এর বেশি আর কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। তবে জনরব রয়েছে যে তিনি সম্পূর্ণ ইউক্রেনকেই সম্ভব হলে দখল করতে চান।</p> <p>বেসামরিক এলাকায় গোলাবর্ষণ ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হবে না বললেও কিয়েভের কয়েকটি জনবহুল অঞ্চল রকেট হামলার শিকারে পরিণত হয়েছে। তাতে শিশু, বৃদ্ধসহ এ পর্যন্ত কয়েক শ মানুষ মারা গেছে। এই আকস্মিক ঘটনার ধারাবাহিকতায় ইউরোপ, আমেরিকা ও এশিয়ার বিভিন্ন নগরীতে মানুষ পুতিনের বিরুদ্ধে অত্যন্ত প্রতিবাদী হয়ে উঠতে দেখা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন শক্তিশালী অর্থনৈতিক অবরোধ ঘোষণা করেছেন। এ ছাড়া ২৫ ফেব্রুয়ারি ন্যাটো একটি জরুরি সভায় বিভিন্ন সামরিক ব্যবস্থার কথাও ঘোষণা করেছে। ন্যাটো নেতারা বলেছেন, রাশিয়ার প্রতিবেশী ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটোভুক্ত দেশ পোল্যান্ড, রোমানিয়া, এস্তোনিয়া, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, মলদোভাসহ অন্যান্য সম্ভাব্য রুশ আক্রমণের মুখে সামরিক সাহায্য দেওয়া হবে। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন সদস্য দেশের সেনা সদস্যদের সেখানে পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে এবং পাশাপাশি ইউরোপের অসদস্য দেশ ইউক্রেনকে আরো কিভাবে সাহায্য দেওয়া যায় তা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা চলছে।</p> <p>মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উত্থাপন করে বলেছেন, তিনি (পুতিন) রাশিয়ার চারদিকে অবস্থিত সাবেক সোভিয়েত শাসনামলের সব ছোট-বড় দেশকে ক্রমে ক্রমে করায়ত্ত করে রাশিয়ার শক্তি বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। সে কারণেই রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ। কিন্তু একটি জায়গায় তিনি সুস্পষ্টভাবে কথা না বলে সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে যাচ্ছেন। আর তা হলো, অর্থনৈতিক অবরোধ জারি করে ‘রুশ সম্রাট’ পুতিনকে এ পর্যায়ে ঠেকানো যাবে না। কারণ তেলের সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বমূল্যের কারণে তার হাতে এখন বিশাল অঙ্কের অর্থ জমা হয়েছে। এ ছাড়া চীন রয়েছে রাশিয়ার পাশে। অর্থনৈতিক অবরোধ জারি করে এ পর্যন্ত ইরান, ভেনিজুয়েলা ও উত্তর কোরিয়াকে নিঃশেষ কিংবা নতজানু করা যায়নি। বর্তমান অর্থনৈতিক অবরোধের দংশন কার্যকর হতে হতে বর্তমান বিশ্বের চেহারাও সম্পূর্ণভাবে পাল্টে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।</p> <p>রাশিয়া, চীন, ইরান, উত্তর কোরিয়াসহ মধ্য এশিয়ার সোভিয়েত শাসনাধীন সাবেক রাষ্ট্রগুলো মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ও তার তাঁবেদার যুক্তরাজ্যের বিরুদ্ধে চলে গেলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বর্তমান নেতৃস্থানীয় দেশ ফ্রান্স, জার্মানি ও পোল্যান্ড হয়তো তৃতীয় একটি ফ্রন্ট বা জোট গঠন করে স্বতন্ত্র অবস্থানে চলে যেতে পারে। এটি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডার জন্য কোনো সুখবর বয়ে আনবে না। সে অবস্থায় ভারত ও জাপানের মতো দেশকেও নতুনভাবে চিন্তা-ভাবনা শুরু করতে হতে পারে। অন্যদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যে আগ্রাসনের পথে পা বাড়িয়েছেন তা তাঁকে ক্ষমতাচ্যুতও করতে পারে। পুতিনের ইউক্রেন আক্রমণের প্রতিবাদে এরই মধ্যে তাঁর নিজের দেশ রাশিয়াতেই মস্কো ও সেন্ট পিটার্সবার্গসহ বিভিন্ন শহরে প্রতিবাদ বিক্ষোভ সংগঠিত হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে কয়েক শ বিক্ষোভকারীকে।</p> <p>ইউক্রেনের প্রবল প্রতিরোধের মধ্যেও উন্নত যুদ্ধ প্রযুক্তিসম্পন্ন রুশ সেনাবাহিনী দেশটির উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে। এমনও হতে পারে যে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিভিন্ন বাধা ও ক্ষয়ক্ষতির মুখে রুশ সেনারা কিয়েভ সম্পূর্ণভাবে অবরোধ করে ফেলতে পারে এবং একে একে বাস্তবায়ন করতে পারে তার গোপন কর্মসূচি অত্যন্ত ক্ষিপ্রগতিতে। তাতে কী হবে? যুক্তরাষ্ট্র আটলান্টিকের অন্য পার থেকে কবে আসবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে? শেষ ভরসা হচ্ছে, ইউক্রেন যদি কোনো মতে কিয়েভে রাশিয়ার অনুপ্রবেশ ঠেকাতে পারে তাহলে তাদের দুই লাখ সেনা সদস্য দেশব্যাপী এক প্রতিরোধ যুদ্ধে লিপ্ত হতে পারে। গেরিলা পদ্ধতির সে যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। তাতে আফগানিস্তানে রাশিয়ার যে পরিণাম হয়েছে, ইউক্রেনেও তার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে রাশিয়ার অন্য প্রতিবেশী মিত্র দেশ বেলারুশ রাশিয়ার সমর্থনে অস্ত্র ধরতে পারে। এখন ইউক্রেনে রাশিয়ার এক নম্বর শত্রু হচ্ছে প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। ইউক্রেনে রাশিয়া অসংখ্য ‘স্যাবোটাজ বাহিনী’ নামিয়ে দিয়েছে বলে জেলেনস্কি অভিযোগ করেছেন। গোয়েন্দা তৎপরতা ও দুষ্কৃতিমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য রাশিয়া বিশ্বখ্যাত। সেটিই জেলেনস্কির ভয়ের কারণ। এ ছাড়া তাঁর নিজের সামরিক বাহিনীর মধ্যেও বিরোধ কিংবা ক্ষমতার দ্বন্দ্ব রয়েছে।</p> <p>এ অবস্থায় যুদ্ধবিরতির কোনো প্রস্তাব না দিয়ে জাতিসংঘ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন যখন রাশিয়ার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধ নিয়ে সোচ্চার হয়ে পড়েছে, তখন চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং একটি আপস নিষ্পত্তির প্রস্তাব নিয়ে এগিয়ে এসেছেন। তিনি বলেছেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে বিস্তারিত সংলাপ ও দর-কষাকষি প্রয়োজন। ন্যাটোতে ইউক্রেনের নিরপেক্ষ অবস্থানসহ দোনেস্ক ও লোহানস্কের স্বাধিকার নিয়েও কথা বলতে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন চীনের নেতা শি চিনপিংকে তাঁর সম্মতির কথা জানিয়েছেন। এখন দেখা যাক, পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়।</p> <p>লেখক : বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সাবেক প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ দূতাবাসে নিযুক্ত</p> <p>সাবেক মিনিস্টার</p> <p>gaziulhkhan@gmail.com</p>