ঢাকা, বুধবার ০৯ জুলাই ২০২৫
২৫ আষাঢ় ১৪৩২, ১৩ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, বুধবার ০৯ জুলাই ২০২৫
২৫ আষাঢ় ১৪৩২, ১৩ মহররম ১৪৪৭

উপুড় করা হৃদয়

  • জাহিদ হায়দার
অন্যান্য
অন্যান্য
শেয়ার
উপুড় করা হৃদয়

(হৃদয় উপুড় করেও সান্ত্বনা নেই : ভিনসেন্ট ভ্যান গঘ)

 

উত্তর                দিশাহারা এক ক্ষত,

জিজ্ঞাসা                       তোমার খবর খোঁজে।  

পটভূমি                        আমার তোমার ঋণ,

স্বাভাবিক                     কবেকার প্রিয় ঋতু।

 

আকাঙ্ক্ষা                      ক্লান্ত ছায়ার পাশে

ছত্রাক,              আমাকে ঢাকছে রোজ।

সহিষ্ণু               হারাবে পথের রেখা,

করণীয়             পাশে দাঁড়াবার রোদ।

 

বিস্তার              শামুকের মুখে বালি,

উত্থান              আকাশ ছুঁয়েছে হাত।

বিপক্ষ               সিঁড়িতে জমায় বিষ,

নিশ্চিত             উৎসে অন্ধকার।

 

পুনশ্চ                জাগরণে ফিরে আসা।

আনন্দ              ফেরাবে অচেনা দেশে,

উষ্ণতা              শীতের রাত্রে তুমি,

বিকল্প               সংহতি খোঁজে ছায়া।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

পিয়াস মজিদ

খুচরা আষাঢ়

শেয়ার
খুচরা আষাঢ়

আসকাল আজ

মেঘের মনের গায়ে

কেউ কাক

চুপচাপ।

ভিজে যেতে চেয়ে আমি

বহুকালের শুকনো সরোদ;

বাজনারা ঝরে গিয়ে

পাহাড়ের চুল চুইয়ে।

আকাশ বাজারের ব্যাগ হাতে ফিরবে ঘরে।

কেনাবেচার রিমঝিম শব্দে বধির মাটিতে

থেকে থেকে ঠিক তোমার মতো

প্রয়াত জ্বরেদের স্মৃতি মনে আসে!

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য
নাসির আহমেদ

পাঁচটি আঙুল

শেয়ার
পাঁচটি আঙুল

কিছুই বলোনি, শুধু রুপালি আঙুল, নখ-ছবি

পাঠিয়ে দিয়েছ এই লেখার সম্মানে। মুগ্ধ কবি!

অনামিকা থেকে কনিষ্ঠায় দ্যুতিময় রাঙা হাত

হঠাৎ জানাল যেন প্রথম দিনের সুপ্রভাত!

 

তীব্র, তীক্ষ এই মুগ্ধ মৌন অনুভব

কতটা প্রকাশযোগ্য! ভাষায় কতটা তাকে ধারণ সম্ভব!

 

বর্ষার বৃষ্টির মতো রুপালি সৌন্দর্যে রিমঝিম

সবুজ পাতায় জ্বলে পাঁচটি আঙুল। ব্যাখ্যাও সম্ভব নয় কবিতার থিম।

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য
দিলারা মেসবাহ

পাথরে ফুটুক ফুল

শেয়ার
পাথরে ফুটুক ফুল

তুমি সেই প্রত্নপাথর!

মরমি সান্নিধ্যের সাধন ভজন

‘সুপ্রভাত’ বলার সাধুবাদ, শেখোনি কস্মিন।

তুমি এক অচিন পাথর

দেখো আজ অনামিকায় ওপাল ঝলক

খোঁপায় তারার ফুল!

তুমি সেই অন্ধ পাথর।

দেখো আজ জোড়া চোখ বিহ্বল বিজন

অপার মায়ার বশে বেদনাবিধুর।

তুমি সেই নির্বোধ পাথর,

শুনলে না কলকণ্ঠ পাখির গোপন।

তুমি এক পাইথন শীতনিদ্রা স্বভাব

তুমি সেই প্রত্নপাথর।

খোলস খসাও—

দেখাও ফণার সার্কাস!

চেয়ে দেখো হাত দুটো বিজন ব্যাকুল

জেগে ওঠো, পাথরে ফোটাও ফুল।

 

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য
প্রদর্শনী

গ্যালারি কায়ায় মাস্টার শিল্পীদের কাজ

    মোহাম্মদ আসাদ
শেয়ার
গ্যালারি কায়ায় মাস্টার শিল্পীদের কাজ
শিরোনামহীন ২। শিল্পী : কামরুল হাসান

গ্যালারি কায়া মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে ২১ বছর ধরে। প্রতিনিয়ত উপহার দিচ্ছে বৈচিত্র্যময় শিল্পকলা প্রদর্শনীর। প্রায় আট দশকের দেশের শিল্পকলার সংগ্রহ নিয়ে এবারের প্রদর্শনী। দেশের চারুকলা শিক্ষার শুরুটা হয় ১৯৪৮ সালে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের হাত ধরে।

শিল্পাচার্য ও তাঁর সঙ্গে যাঁরা যোগ দিয়েছিলেন এই প্রতিষ্ঠানে, তাঁদের ধরে নেওয়া হয় প্রথম প্রজন্মের শিল্পী। প্রথম প্রজন্মের শিল্পী কামরুল হাসানের কাজ রয়েছে এই প্রদর্শনীতে। রয়েছে দ্বিতীয় প্রজন্মের শিল্পী মোহাম্মদ কিবরিয়া, মুর্তজা বশীর, কাইয়ুম চৌধুরী, দেবদাস চক্রবর্তী, কাজী আব্দুল বাসেতের কাজ। এই শিল্পীরাই দেশের শিল্পকলাকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করিয়েছেন।

গ্যালারি কায়ায় মাস্টার শিল্পীদের কাজ

ঈদমেলা থেকে বাড়ি ফেরা।   শিল্পী : মুর্তজা বশীর

আরো আছে সমরজিৎ রায়চৌধুরী, হাশেম খান, রফিকুন নবী, হামিদুজ্জামান খান, আবদুস শাকুর শাহ, মাহমুদুল হক, আবুল বারক আলভী, মোহাম্মদ ইউনুস, জামাল আহমেদ, চন্দ্র শেখর দে, মোস্তাফিজুল হক, রণজিৎ দাস, রতন মজুমদার, ফরিদা জামান, কনক চাঁপা চাকমা, শেখ আফজাল, আহমেদ শামসুদ্দোহা, শিশির ভট্টাচার্য্য, মোহাম্মদ ইকবাল, গৌতম চক্রবর্তীর মতো গুরুত্বপূর্ণ শিল্পীদের কাজ। প্রদর্শনীতে রয়েছে প্রতিশ্রতিশীল শিল্পীদের কাজও। গৌতম চক্রবর্তী গ্যালারিটির প্রতিষ্ঠাতা।

দ্বিতীয় প্রজন্মের শিল্পী দেবদাস চক্রবর্তীর সুযোগ্য সন্তান তিনি। দেবদাস চক্রবর্তী এই দেশের শিল্পীদের কাছের মানুষ ছিলেন।

প্রদর্শনীতে গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ মুর্তজা বশীরের ‘ঈদমেলা থেকে বাড়ি ফেরা’। ১৯৫৬ সালে তিনি এই ছবিটি এঁকেছেন ছাত্রজীবনে। রাজধানীর চকবাজারের ঈদমেলার ঐতিহ্য আছে।

পুতুল-ঘোড়া কিনে আনা শিশুদের মধ্যে সম্ভ্রান্তর একটা ছাপ আছে। তাঁর আরেকটি ছবি ‘রক্তাক্ত একুশ’। এই লিনোকাট প্রিন্টটি বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের প্রথম ছবি।

কামরুল হাসানের প্রিন্ট দুটি দেখে ভালো লাগবে। কাইয়ুম চৌধুরীর একটি মিছিলের ছবি। ব্যানারে লেখা ‘নিপাত যাক’। কাজী আবদুল বাসেতের দুই বৃদ্ধার গল্প বলা। এই প্রদর্শনীতে একটি কাজ আছে মাহমুদুল হকের। মাহমুদুল হক গুরুত্বপূর্ণ শিল্পী। তিনি জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২০২২ সালে তিনি নীরবে চলে যান আমাদের ছেড়ে।

২১ বছরের গ্যালারি কায়া দেখাচ্ছে প্রায় আট দশকের শিল্পকলা ইতিহাস। এই গুরুত্বপূর্ণ প্রদর্শনীতে শিল্পাচার্যের একটি কাজ থাকলে ষোলো কলা পূর্ণ হতো। আবার যা আছে তা-ও কম কিসের। প্রদর্শনী চলবে ১২ জুলাই পর্যন্ত।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ