গল্পের ছলে আইন
ব্যারিস্টার ওমর এইচ খানের ব্যতিক্রমধর্মী আইনের বই ‘লিগ্যাল স্টোরিজ অব লাইফ’। বইটি প্রকাশ করেছে ‘লিগ্যাল কাউন্সিল’। ল ফার্মটি এই বইয়ের মাধ্যমে প্রকাশনার জগতে আত্মপ্রকাশ করছে। এটি লেখকেরও প্রথম বই।
গল্পের ছলে আইন
ব্যারিস্টার ওমর এইচ খানের ব্যতিক্রমধর্মী আইনের বই ‘লিগ্যাল স্টোরিজ অব লাইফ’। বইটি প্রকাশ করেছে ‘লিগ্যাল কাউন্সিল’। ল ফার্মটি এই বইয়ের মাধ্যমে প্রকাশনার জগতে আত্মপ্রকাশ করছে। এটি লেখকেরও প্রথম বই।
কয়েকটি অধ্যায়ে ভাগ করা হয়েছে বইটি।
আইন সম্পর্কে আগ্রহ নেই, এমন পাঠকও যদি বইটি হাতে পান, তিনি গল্পের ছলে বিভিন্ন মানুষের জীবন থেকে নেওয়া ঘটনা ও তার আইনগত সমাধান জানতে পারবেন। বইটিতে বিভিন্ন কেস স্টাডিজ রয়েছে। এসব কেসের সমাধান এবং একই সঙ্গে আইন বিষয়ে জানানোর চেষ্টা করা হয়েছে বইটিতে।
বইটি পাঠকের কাছে গ্রহণযোগ্য ও আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য সাতটি পেইন্টিং তুলে ধরা হয়েছে। দৃষ্টিনন্দন এসব চিত্র এঁকেছেন প্রখ্যাত সাত চিত্রশিল্পী। বিভিন্ন চ্যাপ্টারের সূচনা করা হয়েছে এসব চিত্রের মাধ্যমে। গল্পগুলোকে প্রাণবন্ত করে উপস্থাপনের জন্য বইটিতে ঠাঁই পেয়েছে ৯টি আলোকচিত্র। চমত্কার প্রচ্ছদ ও আর্টপেপারে ছাপা বইটি পাঠককে আকৃষ্ট করবে। শুধু আইনজীবী নয়, সাধারণ পাঠকের কাছেও সুখপাঠ্য হবে বইটি। আরাফাত শাহরিয়ার
আসকাল আজ
মেঘের মনের গায়ে
কেউ কাক
চুপচাপ।
ভিজে যেতে চেয়ে আমি
বহুকালের শুকনো সরোদ;
বাজনারা ঝরে গিয়ে
পাহাড়ের চুল চুইয়ে।
আকাশ বাজারের ব্যাগ হাতে ফিরবে ঘরে।
কেনাবেচার রিমঝিম শব্দে বধির মাটিতে
থেকে থেকে ঠিক তোমার মতো
প্রয়াত জ্বরেদের স্মৃতি মনে আসে!
।কিছুই বলোনি, শুধু রুপালি আঙুল, নখ-ছবি
পাঠিয়ে দিয়েছ এই লেখার সম্মানে। মুগ্ধ কবি!
অনামিকা থেকে কনিষ্ঠায় দ্যুতিময় রাঙা হাত
হঠাৎ জানাল যেন প্রথম দিনের সুপ্রভাত!
তীব্র, তীক্ষ এই মুগ্ধ মৌন অনুভব
কতটা প্রকাশযোগ্য! ভাষায় কতটা তাকে ধারণ সম্ভব!
বর্ষার বৃষ্টির মতো রুপালি সৌন্দর্যে রিমঝিম
সবুজ পাতায় জ্বলে পাঁচটি আঙুল। ব্যাখ্যাও সম্ভব নয় কবিতার থিম।
।
তুমি সেই প্রত্নপাথর!
মরমি সান্নিধ্যের সাধন ভজন
‘সুপ্রভাত’ বলার সাধুবাদ, শেখোনি কস্মিন।
তুমি এক অচিন পাথর
দেখো আজ অনামিকায় ওপাল ঝলক
খোঁপায় তারার ফুল!
তুমি সেই অন্ধ পাথর।
দেখো আজ জোড়া চোখ বিহ্বল বিজন
অপার মায়ার বশে বেদনাবিধুর।
তুমি সেই নির্বোধ পাথর,
শুনলে না কলকণ্ঠ পাখির গোপন।
তুমি এক পাইথন শীতনিদ্রা স্বভাব
তুমি সেই প্রত্নপাথর।
খোলস খসাও—
দেখাও ফণার সার্কাস!
চেয়ে দেখো হাত দুটো বিজন ব্যাকুল
জেগে ওঠো, পাথরে ফোটাও ফুল।
গ্যালারি কায়া মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে ২১ বছর ধরে। প্রতিনিয়ত উপহার দিচ্ছে বৈচিত্র্যময় শিল্পকলা প্রদর্শনীর। প্রায় আট দশকের দেশের শিল্পকলার সংগ্রহ নিয়ে এবারের প্রদর্শনী। দেশের চারুকলা শিক্ষার শুরুটা হয় ১৯৪৮ সালে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের হাত ধরে।
ঈদমেলা থেকে বাড়ি ফেরা। শিল্পী : মুর্তজা বশীর
আরো আছে সমরজিৎ রায়চৌধুরী, হাশেম খান, রফিকুন নবী, হামিদুজ্জামান খান, আবদুস শাকুর শাহ, মাহমুদুল হক, আবুল বারক আলভী, মোহাম্মদ ইউনুস, জামাল আহমেদ, চন্দ্র শেখর দে, মোস্তাফিজুল হক, রণজিৎ দাস, রতন মজুমদার, ফরিদা জামান, কনক চাঁপা চাকমা, শেখ আফজাল, আহমেদ শামসুদ্দোহা, শিশির ভট্টাচার্য্য, মোহাম্মদ ইকবাল, গৌতম চক্রবর্তীর মতো গুরুত্বপূর্ণ শিল্পীদের কাজ। প্রদর্শনীতে রয়েছে প্রতিশ্রতিশীল শিল্পীদের কাজও। গৌতম চক্রবর্তী গ্যালারিটির প্রতিষ্ঠাতা।
প্রদর্শনীতে গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ মুর্তজা বশীরের ‘ঈদমেলা থেকে বাড়ি ফেরা’। ১৯৫৬ সালে তিনি এই ছবিটি এঁকেছেন ছাত্রজীবনে। রাজধানীর চকবাজারের ঈদমেলার ঐতিহ্য আছে।
কামরুল হাসানের প্রিন্ট দুটি দেখে ভালো লাগবে। কাইয়ুম চৌধুরীর একটি মিছিলের ছবি। ব্যানারে লেখা ‘নিপাত যাক’। কাজী আবদুল বাসেতের দুই বৃদ্ধার গল্প বলা। এই প্রদর্শনীতে একটি কাজ আছে মাহমুদুল হকের। মাহমুদুল হক গুরুত্বপূর্ণ শিল্পী। তিনি জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২০২২ সালে তিনি নীরবে চলে যান আমাদের ছেড়ে।
২১ বছরের গ্যালারি কায়া দেখাচ্ছে প্রায় আট দশকের শিল্পকলা ইতিহাস। এই গুরুত্বপূর্ণ প্রদর্শনীতে শিল্পাচার্যের একটি কাজ থাকলে ষোলো কলা পূর্ণ হতো। আবার যা আছে তা-ও কম কিসের। প্রদর্শনী চলবে ১২ জুলাই পর্যন্ত।