ঢাকা, মঙ্গলবার ২২ জুলাই ২০২৫
৭ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৬ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, মঙ্গলবার ২২ জুলাই ২০২৫
৭ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৬ মহররম ১৪৪৭

নতুন ঘর পেয়ে খুশি নেজাম ও নাছিমা

জাকারিয়া জামান
জাকারিয়া জামান
শেয়ার
নতুন ঘর পেয়ে খুশি নেজাম ও নাছিমা
নতুন ঘর পেয়ে হাস্যোজ্জ্বল শারীরিক প্রতিবন্ধী নেজাম উদ্দিন ও অসহায় নাছিমা বেগম

বন্যা-পরবর্তী মানুষের নানা দুর্ভোগ লাঘবে কাজ করার ইচ্ছা থেকেই সেদিন ফেনী সদরের পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নে গিয়েছিলেন বসুন্ধরা শুভসংঘ জেলা শাখার কয়েকজন বন্ধু। পানি থাকাকালে এসব এলাকায় মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়েছিলেন তাঁরা। এর মধ্যেই দেখা হয় মাথিয়ারা গ্রামের মিস্ত্রিবাড়ির শারীরিক প্রতিবন্ধী নেজাম উদ্দিনের সঙ্গে। অসহায় এই মানুষটির নেই কোনো স্থায়ী আয়ের পথ।

স্ত্রীও অসুস্থ। নানাজনের কাছে চেয়েচিন্তে চলে তাঁর সংসার। সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় তাঁর ঘরের চারপাশের টিনগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। সব দেখে বসুন্ধরা শুভসংঘ ফেনী শাখার সদস্যরা তাঁর ঘরটি সংস্কারের উদ্যোগ নেন।
প্রতিবন্ধী নেজামের আবার হাসিমুখে দাবি ঘরের বেড়াগুলো যেন রঙিন টিনের দেওয়া হয়। নেজামের দাবি মেনে নিয়েই এক সকালে মাইনউদ্দিন ও খুরশীদ মিস্ত্রির তত্ত্বাবধানে কাজ শুরু হয়। এ সময় সেখানে ছিলেন শুভসংঘ ফেনী শাখার উপদেষ্টা আসাদুজ্জামান দারা, সভাপতি ফয়জুল হক বাপ্পি, সহসভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক নাসিম আনোয়ার জাকি, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) ফেনী শাখার সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক শুভ চৌধুরিসহ বসুন্ধরা শুভসংঘের সদস্য ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। কার্যক্রম সমন্বয় করেছে ঘুরে দাঁড়াবে ফেনী।
বসুন্ধরা শুভসংঘ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাসিম আনোয়ার জাকি বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো খুবই দরিদ্র। বেশির ভাগ ঘর নষ্ট হয়েছে। আমরা আরো কয়েকটি ঘর মেরামত করে দিতে পারব আশা করি।

এ ছাড়া নরসিংদী কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবী ফোরামের উদ্যোগে বসুন্ধরা শুভসংঘের মাধ্যমে ফেনী সদরের লক্ষ্মীপুর এলাকার মহব্বত আলী ভুঁইয়া বাড়ির অসহায় নাছিমা বেগমের ঘরটি মেরামত করে দেওয়া হয়েছে। এবারের বন্যায় একেবারেই ভেঙে গিয়েছিল তাঁর ঘর।

চারপাশের বেড়া, এমনকি চালার কিছু অংশ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। বিশালাকৃতির এই ঘরে তিনটি পরিবার থাকত। ঘরটি মেরামত করতে নরসিংদী থেকে ছুটে গিয়েছিল একটি টিম। কয়েক দিনের পরিশ্রমে সফলভাবে নাছিমা বেগমের ঘরটি মেরামত করে দেওয়া হয়েছে। নতুন ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে নাছিমা বেগমের আনন্দ ছিল দেখার মতো।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বসুন্ধরা গ্রুপকে অনেক ধন্যবাদ

    মো. মিজানুর রহমান, ওসি, পাটগ্রাম থানা লালমনিরহাট
শেয়ার
বসুন্ধরা গ্রুপকে অনেক ধন্যবাদ

প্রান্তিক পর্যায়ের সীমান্ত এলাকার দারিদ্র্যপীড়িত, অসহায় নারীদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সাহায্য করার জন্য বসুন্ধরা গ্রুপকে অনেক ধন্যবাদ ও সাধুবাদ জানাই। তারা পিছিয়ে পড়া নারীদের জন্য যে কাজ করছে, সেটা প্রশংসাযোগ্য। আমি দাবি জানাই, আমাদের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে যেন বসুন্ধরার মতো অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও এগিয়ে আসে। যারা এ ধরনের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের জন্য কাজ করবে, তাদের সাহায্য করবে।

এ ধরনের কাজের মাধ্যমে মানুষ স্বাবলম্বী হয়ে উঠবে, তাদের পরিবারে ফিরবে সচ্ছলতা। এর মাধ্যমে সমাজের পাশাপাশি উপকৃত হবে আমাদের দেশ। পাটগ্রামে যে অসচ্ছল নারীরা সেলাইয়ে দক্ষ হয়ে উঠে মেশিন পেলেন, তাঁদের মাধ্যমে উপকৃত হবে আরো অনেকে। তাঁরা এখন আশপাশের অনেক নারীকে কাজ শেখাতে পারবেন।
বসুন্ধরার এই কার্যক্রম আরো ব্যাপকভাবে চলতে থাকুক, তাদের সুনাম চারদিকে ছড়িয়ে পড়ুক।

মন্তব্য

নিঃসন্দেহে মহৎ কাজ

    দীন মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ্, ফিশারিজ কোয়ারেন্টাইন অফিসার, বুড়িমারী স্থলবন্দর লালমনিরহাট
শেয়ার
নিঃসন্দেহে মহৎ কাজ

গ্রামীণ দরিদ্র পরিবারের নারীদের স্বাবলম্বী করতে বসুন্ধরা গ্রুপ যে কাজগুলো করছে, এটা নিঃসন্দেহে অনেক মহৎ কার্যক্রম। কারণ ছিন্নমূল, অসহায়, দুস্থ নারীদের মধ্যে প্রশিক্ষণ শেষে উপহার হিসেবে সেলাই মেশিন বিতরণ ব্যতিক্রমী আইডিয়া। এই মেশিনই একদিন অসচ্ছল নারীদের বাঁচার অবলম্বন হয়ে দাঁড়াবে। এ ধরনের উদ্যোগ আমার দেখা সব ভালো কার্যক্রমের মধ্যে একটি।

এমন কাজের উদ্যোক্তারা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখেন। সমাজের তথা দেশের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে এমন কাজের জন্য বসুন্ধরা গ্রুপকে অনেক ধন্যবাদ জানাই। বিশেষ করে ধন্যবাদ জানাই দেশের শেষ প্রান্তের সীমান্তবর্তী উপজেলাগুলোর একটি পাটগ্রামকে বেছে নেওয়ার জন্য। আমরা আশা করব, বসুন্ধরা শুভসংঘের মাধ্যমে বসুন্ধরা গ্রুপ পিছিয়ে পড়া এ ধরনের এলাকার আরো বেশিসংখ্যক অসচ্ছল-অসহায় নারীকে স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ নেবে।
শুভ কামনা বসুন্ধরা গ্রুপের জন্য।

মন্তব্য

মেশিনটি একটি পরিবারের বাঁচার অবলম্বন

    মো. মাহমুদুন-নবী, ওসি, হাতীবান্ধা থানা লালমনিরহাট
শেয়ার
মেশিনটি একটি পরিবারের বাঁচার অবলম্বন

বিনামূল্যে তিন মাসের প্রশিক্ষণ শেষে সেলাই মেশিন বিতরণ আধুনিক ও টেকসই আইডিয়া। এর মাধ্যমে হাতীবান্ধা উপজেলার নারীদের, বিশেষ করে অনগ্রসর নারীদের জীবন ও জীবিকা এগিয়ে নেওয়ার জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। এটি অত্যন্ত মহতী একটি উদ্যোগ। ভবিষ্যতেও এই শিল্পগোষ্ঠী তাদের মহৎ কাজগুলো আরো বেগবান করবেএমনটাই আশা করি।

তাদের এই ভালো কাজের মাধ্যমে যেন অনগ্রসর মানুষগুলো এগিয়ে যায়। একেকটি সেলাই মেশিন একেকটি পরিবারের বাঁচার অবলম্বন হতে পারে। এই মেশিন চালিয়ে অসচ্ছল এসব নারী ধনাঢ্য হয়ে না উঠলেও তাঁদের পরিবারগুলোতে সচ্ছলতা ফিরবে। কর্মহীন মানুষকে এভাবে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তুলে কর্মসংস্থান সৃষ্টির এই প্রক্রিয়া দেশ থেকে দারিদ্র্য দূর করার একটি পথ হতে পারে।
বসুন্ধরা গ্রুপ ও বসুন্ধরা শুভসংঘ তাদের এমন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখুক। তাদের জন্য শুভ কামনা।

মন্তব্য

বসুন্ধরাকে দেখে অন্যরাও এগিয়ে আসুক

    মনোয়ার হোসেন লিটন, সেক্রেটারি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, পাটগ্রাম উপজেলা শাখা, লালমনিরহাট
শেয়ার
বসুন্ধরাকে দেখে অন্যরাও এগিয়ে আসুক

সেলাই মেশিন প্রদানের মাধ্যমে বসুন্ধরা গ্রুপ ও বসুন্ধরা শুভসংঘ অসহায় সুবিধাবঞ্চিত নারীসমাজকে এগিয়ে নিতে যে সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, এটা অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়। তাদের সাধুবাদ জানাই। বসুন্ধরা তাদের সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে, এটাই কামনা করছি। পাশাপাশি সব স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ সবাইকে মানবকল্যাণে এগিয়ে আসার আহবান জানাই।

অসহায় বা আর্থিকভাবে অসচ্ছল কিংবা কর্মহীন নারী-পুরুষের জন্য আমাদের সবাইকে সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে। প্রশিক্ষণ বা বিভিন্নভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষকে কর্মক্ষম করে গড়ে তুলতে পারলে সমাজ থেকে অভাব বিতাড়িত হবে। আবার এসব মানুষের জীবনে চলার কষ্টও দূর হবে। এ ধরনের কাজের মাধ্যমে মানুষ হিসেবে আমরাও আমাদের সামাজিক দায়িত্ব পালন করতে পারব, যা দেখে শিখবে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম।
বসুন্ধরা গ্রুপকে অনুসরণ করে অন্যরাও ভালো কাজে এগিয়ে আসুক।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ