ঢাকা, শনিবার ১৯ জুলাই ২০২৫
৪ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৩ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শনিবার ১৯ জুলাই ২০২৫
৪ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৩ মহররম ১৪৪৭
গাজীপুরের কাপাসিয়া থেকে মনোহরগঞ্জের বন্যার্তদের পাশে

২০০ পরিবারের মুখে হাসি ফোটাল বসুন্ধরা শুভসংঘ

আবদুর রহমান
আবদুর রহমান
শেয়ার
২০০ পরিবারের মুখে হাসি ফোটাল বসুন্ধরা শুভসংঘ

স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা হয়েছে এবার কুমিল্লায়। জেলার ১৭টি উপজেলার মধ্যে ১৪টি  বানের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। বন্যাদুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। জেলার অন্যান্য উপজেলায় খাদ্য সহায়তা পৌঁছালেও মনোহরগঞ্জ উপজেলায় সেভাবে সহায়তা পৌঁছায়নি।

বিষয়টি জানতে পেরে গাজীপুরের কাপাসিয়া থেকে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন বসুন্ধরা শুভসংঘের সদস্যরা। কাপাসিয়া উপজেলা বসুন্ধরা শুভসংঘের পক্ষ থেকে মনোহরগঞ্জের ২০০ বন্যার্ত পরিবারকে দেওয়া হয়েছে খাদ্য সহায়তা। নানা ধরনের খাবার পেয়ে হাসি ফুটেছে বানভাসি ওই ২০০ পরিবারের মুখে। সম্প্রতি উপজেলার বাইশগাঁও ইউনিয়নের ডাবুরিয়া গ্রাম, জলিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রসহ কয়েকটি স্থানে এই সহায়তা দেওয়া হয়।
কাপাসিয়া উপজেলা বসুন্ধরা শুভসংঘের আহ্বায়ক আশিকুল ইসলাম আশিক বলেন, এখানে এসে দেখেছি, মনোহরগঞ্জে বন্যার পানি এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে। পুরো উপজেলার মানুষ এখনো পানিবন্দি। এই পরিস্থিতিতে মনোহরগঞ্জ উপজেলার বাইশগাঁও ইউনিয়ন ও বিভিন্ন এলাকায় স্বল্প পরিসরে বন্যাদুর্গতদের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করেছেন বসুন্ধরা শুভসংঘ কাপাসিয়া উপজেলা শাখার সদস্যরা। আমাদের এ কাজে সহযোগিতা করেছে স্টুডেন্টস সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ও মোফাজা টেক সলিউশনস।
বানভাসিদের খাদ্য সহায়তা হিসেবে দেওয়া হয়েছে মুড়ি, চিড়া, চিনি, বিস্কুট, ড্রাই কেক, তরল দুধ, তিন প্রকার ওষুধ, খাওয়ার স্যালাইন, স্যানিটারি ন্যাপকিন, মোমবাতি, দিয়াশলাই ও বিশুদ্ধ পানি। শুভসংঘ টিমের সঙ্গে ছিলেন একজন সংবাদিকও। আবুল হোসেন সবুজ নামের ওই সাংবাদিক উপজেলা বসুন্ধরা শুভসংঘের সদস্য। তিনি বলেন, এই উপজেলায় কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি। সামর্থ্যবানদের উচিত নিজ নিজ অবস্থান থেকে বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়ানো।
মনোহরগঞ্জে এখনো বানভাসি মানুষের মধ্যে খাদ্যের জন্য হাহাকার রয়েছে। এখানে আরো অনেক সহায়তা দরকার। আমরা বসুন্ধরা শুভসংঘ সব সময়ই মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি। আমাদের এই মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোফাজা টেক সলিউশনসের বাংলাদেশের আইটি রিসোর্স ম্যানেজার আজহারুল ইসলাম আশিক, এইচ আর ম্যানেজার ইমতিয়াজ জামান অমি, শুভ এবং স্টুডেন্টস সোশ্যাল ওয়েলফেয়ারের সৈকতসহ বেশ কয়েকজন। বসুন্ধরা শুভসংঘ মনোহরগঞ্জ উপজেলার সভাপতি শাহাদাত হোসেনসহ তানভীর মাহমুদ আরমান, আব্দুর রহমান তুহিন, তানভীর মাহমুদ নাইম, নাহিদ হাসান তুষার পুরো সহায়তা বিতরণে সঙ্গে ছিলেন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বসুন্ধরা গ্রুপকে অনেক ধন্যবাদ

    মো. মিজানুর রহমান, ওসি, পাটগ্রাম থানা লালমনিরহাট
শেয়ার
বসুন্ধরা গ্রুপকে অনেক ধন্যবাদ

প্রান্তিক পর্যায়ের সীমান্ত এলাকার দারিদ্র্যপীড়িত, অসহায় নারীদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সাহায্য করার জন্য বসুন্ধরা গ্রুপকে অনেক ধন্যবাদ ও সাধুবাদ জানাই। তারা পিছিয়ে পড়া নারীদের জন্য যে কাজ করছে, সেটা প্রশংসাযোগ্য। আমি দাবি জানাই, আমাদের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে যেন বসুন্ধরার মতো অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও এগিয়ে আসে। যারা এ ধরনের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের জন্য কাজ করবে, তাদের সাহায্য করবে।

এ ধরনের কাজের মাধ্যমে মানুষ স্বাবলম্বী হয়ে উঠবে, তাদের পরিবারে ফিরবে সচ্ছলতা। এর মাধ্যমে সমাজের পাশাপাশি উপকৃত হবে আমাদের দেশ। পাটগ্রামে যে অসচ্ছল নারীরা সেলাইয়ে দক্ষ হয়ে উঠে মেশিন পেলেন, তাঁদের মাধ্যমে উপকৃত হবে আরো অনেকে। তাঁরা এখন আশপাশের অনেক নারীকে কাজ শেখাতে পারবেন।
বসুন্ধরার এই কার্যক্রম আরো ব্যাপকভাবে চলতে থাকুক, তাদের সুনাম চারদিকে ছড়িয়ে পড়ুক।

মন্তব্য

নিঃসন্দেহে মহৎ কাজ

    দীন মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ্, ফিশারিজ কোয়ারেন্টাইন অফিসার, বুড়িমারী স্থলবন্দর লালমনিরহাট
শেয়ার
নিঃসন্দেহে মহৎ কাজ

গ্রামীণ দরিদ্র পরিবারের নারীদের স্বাবলম্বী করতে বসুন্ধরা গ্রুপ যে কাজগুলো করছে, এটা নিঃসন্দেহে অনেক মহৎ কার্যক্রম। কারণ ছিন্নমূল, অসহায়, দুস্থ নারীদের মধ্যে প্রশিক্ষণ শেষে উপহার হিসেবে সেলাই মেশিন বিতরণ ব্যতিক্রমী আইডিয়া। এই মেশিনই একদিন অসচ্ছল নারীদের বাঁচার অবলম্বন হয়ে দাঁড়াবে। এ ধরনের উদ্যোগ আমার দেখা সব ভালো কার্যক্রমের মধ্যে একটি।

এমন কাজের উদ্যোক্তারা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখেন। সমাজের তথা দেশের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে এমন কাজের জন্য বসুন্ধরা গ্রুপকে অনেক ধন্যবাদ জানাই। বিশেষ করে ধন্যবাদ জানাই দেশের শেষ প্রান্তের সীমান্তবর্তী উপজেলাগুলোর একটি পাটগ্রামকে বেছে নেওয়ার জন্য। আমরা আশা করব, বসুন্ধরা শুভসংঘের মাধ্যমে বসুন্ধরা গ্রুপ পিছিয়ে পড়া এ ধরনের এলাকার আরো বেশিসংখ্যক অসচ্ছল-অসহায় নারীকে স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ নেবে।
শুভ কামনা বসুন্ধরা গ্রুপের জন্য।

মন্তব্য

মেশিনটি একটি পরিবারের বাঁচার অবলম্বন

    মো. মাহমুদুন-নবী, ওসি, হাতীবান্ধা থানা লালমনিরহাট
শেয়ার
মেশিনটি একটি পরিবারের বাঁচার অবলম্বন

বিনামূল্যে তিন মাসের প্রশিক্ষণ শেষে সেলাই মেশিন বিতরণ আধুনিক ও টেকসই আইডিয়া। এর মাধ্যমে হাতীবান্ধা উপজেলার নারীদের, বিশেষ করে অনগ্রসর নারীদের জীবন ও জীবিকা এগিয়ে নেওয়ার জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। এটি অত্যন্ত মহতী একটি উদ্যোগ। ভবিষ্যতেও এই শিল্পগোষ্ঠী তাদের মহৎ কাজগুলো আরো বেগবান করবেএমনটাই আশা করি।

তাদের এই ভালো কাজের মাধ্যমে যেন অনগ্রসর মানুষগুলো এগিয়ে যায়। একেকটি সেলাই মেশিন একেকটি পরিবারের বাঁচার অবলম্বন হতে পারে। এই মেশিন চালিয়ে অসচ্ছল এসব নারী ধনাঢ্য হয়ে না উঠলেও তাঁদের পরিবারগুলোতে সচ্ছলতা ফিরবে। কর্মহীন মানুষকে এভাবে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তুলে কর্মসংস্থান সৃষ্টির এই প্রক্রিয়া দেশ থেকে দারিদ্র্য দূর করার একটি পথ হতে পারে।
বসুন্ধরা গ্রুপ ও বসুন্ধরা শুভসংঘ তাদের এমন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখুক। তাদের জন্য শুভ কামনা।

মন্তব্য

বসুন্ধরাকে দেখে অন্যরাও এগিয়ে আসুক

    মনোয়ার হোসেন লিটন, সেক্রেটারি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, পাটগ্রাম উপজেলা শাখা, লালমনিরহাট
শেয়ার
বসুন্ধরাকে দেখে অন্যরাও এগিয়ে আসুক

সেলাই মেশিন প্রদানের মাধ্যমে বসুন্ধরা গ্রুপ ও বসুন্ধরা শুভসংঘ অসহায় সুবিধাবঞ্চিত নারীসমাজকে এগিয়ে নিতে যে সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, এটা অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়। তাদের সাধুবাদ জানাই। বসুন্ধরা তাদের সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে, এটাই কামনা করছি। পাশাপাশি সব স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ সবাইকে মানবকল্যাণে এগিয়ে আসার আহবান জানাই।

অসহায় বা আর্থিকভাবে অসচ্ছল কিংবা কর্মহীন নারী-পুরুষের জন্য আমাদের সবাইকে সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে। প্রশিক্ষণ বা বিভিন্নভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষকে কর্মক্ষম করে গড়ে তুলতে পারলে সমাজ থেকে অভাব বিতাড়িত হবে। আবার এসব মানুষের জীবনে চলার কষ্টও দূর হবে। এ ধরনের কাজের মাধ্যমে মানুষ হিসেবে আমরাও আমাদের সামাজিক দায়িত্ব পালন করতে পারব, যা দেখে শিখবে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম।
বসুন্ধরা গ্রুপকে অনুসরণ করে অন্যরাও ভালো কাজে এগিয়ে আসুক।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ