ঢাকা, শনিবার ২৬ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ৩০ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শনিবার ২৬ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ৩০ মহররম ১৪৪৭

পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য কাজ করছে বসুন্ধরা গ্রুপ

  • মো. শফিউল্লাহ সুলতান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, বাঘা, রাজশাহী
শেয়ার
পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য কাজ করছে বসুন্ধরা গ্রুপ

রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়নের একটি প্রত্যন্ত গ্রাম পলাশী ফতেপুর। এই গ্রামে কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিল না। শিক্ষার অভাবে সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা ছোট থেকেই মা-বাবার সঙ্গে কাজে চলে যেত। পদ্মা নদী বেষ্টিত এই চরাঞ্চলের গ্রামটি শিক্ষার আলো থেকে ক্রমেই বঞ্চিত হচ্ছিল।

মানুষ গড়ার প্রাথমিক পাঠশালা না থাকার কারণে দুরবস্থার মধ্যে পড়েছে প্রত্যন্ত এই গ্রামের মানুষগুলো। তাদের পাশে দাঁড়িয়ে আশার আলো জ্বেলেছে বসুন্ধরা গ্রুপ। বসুন্ধরা গ্রুপের অর্থায়নে এই গ্রামের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুল। স্কুলটি যেদিন উদ্বোধন করা হয় আমিও সেখানে ছিলাম।
গ্রামের মানুষদের সেদিন দেখেছি কতটা আনন্দিত তারা। সবাই প্রাণভরে দোয়া করেছে বসুন্ধরা গ্রুপের জন্য।

সারা দেশেই অসংখ্য মানবিক কাজ করছে বসুন্ধরা গ্রুপ। আমি নিজেও বসুন্ধরা শুভসংঘের নানা কাজে সব সময় থাকার চেষ্টা করি।

মহামারি করোনায় যখন পুরো দেশ স্তব্ধ, মানুষ ঘরবন্দি হয়ে অসহায় অবস্থায় পড়ে আছে, কাজ করতে পারছে না, তখন এগিয়ে এসেছে বসুন্ধরা গ্রুপ। তাদের মানবিক সহায়তা সংগঠন বসুন্ধরা শুভসংঘের মাধ্যমে উত্তরবঙ্গের ৫০ হাজার পরিবারে এক মাসের খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে। আমাদের বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের ৩০০ পরিবার এই সহযোগিতা পেয়েছিল। প্রচণ্ড শীতে যখন জনজীবন স্থবির, তখনো শীতবস্ত্র দিয়ে শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ। আমি কয়েকটি আয়োজনে উপস্থিত ছিলাম।
বিশ্বের প্রতিটি দেশেই সরকারের পাশাপাশি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিক থেকে ব্যক্তি পর্যায়েও সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়। আমাদের দেশে এই কাজটি করছে বসুন্ধরা গ্রুপ। মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস ও তাঁর স্ত্রী মিলে একটি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বিল ও মেলিনা গেটস ফাউন্ডেশন দারিদ্র্য বিমোচনে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য এমনই সব কাজ করছে বসুন্ধরা গ্রুপ। তাদের এসব কর্মকাণ্ড নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় ও অনুকরণীয়। যে সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুল, তারাই একদিন সমাজ ও দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে। অসহায় নারীদের সেলাই প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের হাতে সেলাই মেশিন তুলে দেওয়া হচ্ছে। এই নারীরা সেলাই প্রশিক্ষণ নিয়ে স্বাবলম্বী হয়ে সোনার বাংলা গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ৬৪টি জেলার দুর্গম ও শিক্ষাবঞ্চিত এলাকায় স্কুল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছেন। এরই মধ্যে ১৫টি স্কুল চালু হয়েছে। এই উদ্যোগের কোনো তুলনা হয় না।

সম্প্রতি বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের পরিকল্পনায় দেশের সর্ববৃহৎ কোরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। ব্যতিক্রমী এই আয়োজনে সবাই মুগ্ধ। দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করা বসুন্ধরা গ্রুপ এভাবেই সমৃদ্ধিশালী দেশ গঠনে কাজ করে যাবে, এই প্রত্যাশা করি। মহান আল্লাহ বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও তাঁর পরিবারের সবাইকে সুস্থ রাখুন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বসুন্ধরা গ্রুপকে অনেক ধন্যবাদ

    মো. মিজানুর রহমান, ওসি, পাটগ্রাম থানা লালমনিরহাট
শেয়ার
বসুন্ধরা গ্রুপকে অনেক ধন্যবাদ

প্রান্তিক পর্যায়ের সীমান্ত এলাকার দারিদ্র্যপীড়িত, অসহায় নারীদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সাহায্য করার জন্য বসুন্ধরা গ্রুপকে অনেক ধন্যবাদ ও সাধুবাদ জানাই। তারা পিছিয়ে পড়া নারীদের জন্য যে কাজ করছে, সেটা প্রশংসাযোগ্য। আমি দাবি জানাই, আমাদের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে যেন বসুন্ধরার মতো অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও এগিয়ে আসে। যারা এ ধরনের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের জন্য কাজ করবে, তাদের সাহায্য করবে।

এ ধরনের কাজের মাধ্যমে মানুষ স্বাবলম্বী হয়ে উঠবে, তাদের পরিবারে ফিরবে সচ্ছলতা। এর মাধ্যমে সমাজের পাশাপাশি উপকৃত হবে আমাদের দেশ। পাটগ্রামে যে অসচ্ছল নারীরা সেলাইয়ে দক্ষ হয়ে উঠে মেশিন পেলেন, তাঁদের মাধ্যমে উপকৃত হবে আরো অনেকে। তাঁরা এখন আশপাশের অনেক নারীকে কাজ শেখাতে পারবেন।
বসুন্ধরার এই কার্যক্রম আরো ব্যাপকভাবে চলতে থাকুক, তাদের সুনাম চারদিকে ছড়িয়ে পড়ুক।

মন্তব্য

নিঃসন্দেহে মহৎ কাজ

    দীন মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ্, ফিশারিজ কোয়ারেন্টাইন অফিসার, বুড়িমারী স্থলবন্দর লালমনিরহাট
শেয়ার
নিঃসন্দেহে মহৎ কাজ

গ্রামীণ দরিদ্র পরিবারের নারীদের স্বাবলম্বী করতে বসুন্ধরা গ্রুপ যে কাজগুলো করছে, এটা নিঃসন্দেহে অনেক মহৎ কার্যক্রম। কারণ ছিন্নমূল, অসহায়, দুস্থ নারীদের মধ্যে প্রশিক্ষণ শেষে উপহার হিসেবে সেলাই মেশিন বিতরণ ব্যতিক্রমী আইডিয়া। এই মেশিনই একদিন অসচ্ছল নারীদের বাঁচার অবলম্বন হয়ে দাঁড়াবে। এ ধরনের উদ্যোগ আমার দেখা সব ভালো কার্যক্রমের মধ্যে একটি।

এমন কাজের উদ্যোক্তারা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখেন। সমাজের তথা দেশের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে এমন কাজের জন্য বসুন্ধরা গ্রুপকে অনেক ধন্যবাদ জানাই। বিশেষ করে ধন্যবাদ জানাই দেশের শেষ প্রান্তের সীমান্তবর্তী উপজেলাগুলোর একটি পাটগ্রামকে বেছে নেওয়ার জন্য। আমরা আশা করব, বসুন্ধরা শুভসংঘের মাধ্যমে বসুন্ধরা গ্রুপ পিছিয়ে পড়া এ ধরনের এলাকার আরো বেশিসংখ্যক অসচ্ছল-অসহায় নারীকে স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ নেবে।
শুভ কামনা বসুন্ধরা গ্রুপের জন্য।

মন্তব্য

মেশিনটি একটি পরিবারের বাঁচার অবলম্বন

    মো. মাহমুদুন-নবী, ওসি, হাতীবান্ধা থানা লালমনিরহাট
শেয়ার
মেশিনটি একটি পরিবারের বাঁচার অবলম্বন

বিনামূল্যে তিন মাসের প্রশিক্ষণ শেষে সেলাই মেশিন বিতরণ আধুনিক ও টেকসই আইডিয়া। এর মাধ্যমে হাতীবান্ধা উপজেলার নারীদের, বিশেষ করে অনগ্রসর নারীদের জীবন ও জীবিকা এগিয়ে নেওয়ার জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। এটি অত্যন্ত মহতী একটি উদ্যোগ। ভবিষ্যতেও এই শিল্পগোষ্ঠী তাদের মহৎ কাজগুলো আরো বেগবান করবেএমনটাই আশা করি।

তাদের এই ভালো কাজের মাধ্যমে যেন অনগ্রসর মানুষগুলো এগিয়ে যায়। একেকটি সেলাই মেশিন একেকটি পরিবারের বাঁচার অবলম্বন হতে পারে। এই মেশিন চালিয়ে অসচ্ছল এসব নারী ধনাঢ্য হয়ে না উঠলেও তাঁদের পরিবারগুলোতে সচ্ছলতা ফিরবে। কর্মহীন মানুষকে এভাবে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তুলে কর্মসংস্থান সৃষ্টির এই প্রক্রিয়া দেশ থেকে দারিদ্র্য দূর করার একটি পথ হতে পারে।
বসুন্ধরা গ্রুপ ও বসুন্ধরা শুভসংঘ তাদের এমন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখুক। তাদের জন্য শুভ কামনা।

মন্তব্য

বসুন্ধরাকে দেখে অন্যরাও এগিয়ে আসুক

    মনোয়ার হোসেন লিটন, সেক্রেটারি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, পাটগ্রাম উপজেলা শাখা, লালমনিরহাট
শেয়ার
বসুন্ধরাকে দেখে অন্যরাও এগিয়ে আসুক

সেলাই মেশিন প্রদানের মাধ্যমে বসুন্ধরা গ্রুপ ও বসুন্ধরা শুভসংঘ অসহায় সুবিধাবঞ্চিত নারীসমাজকে এগিয়ে নিতে যে সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, এটা অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়। তাদের সাধুবাদ জানাই। বসুন্ধরা তাদের সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে, এটাই কামনা করছি। পাশাপাশি সব স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ সবাইকে মানবকল্যাণে এগিয়ে আসার আহবান জানাই।

অসহায় বা আর্থিকভাবে অসচ্ছল কিংবা কর্মহীন নারী-পুরুষের জন্য আমাদের সবাইকে সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে। প্রশিক্ষণ বা বিভিন্নভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষকে কর্মক্ষম করে গড়ে তুলতে পারলে সমাজ থেকে অভাব বিতাড়িত হবে। আবার এসব মানুষের জীবনে চলার কষ্টও দূর হবে। এ ধরনের কাজের মাধ্যমে মানুষ হিসেবে আমরাও আমাদের সামাজিক দায়িত্ব পালন করতে পারব, যা দেখে শিখবে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম।
বসুন্ধরা গ্রুপকে অনুসরণ করে অন্যরাও ভালো কাজে এগিয়ে আসুক।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ