দিনটি ছিল শনিবার। সাপ্তাহিক বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীদের আগ্রহের কোনো কমতি ছিল না। সকাল ৮টা থেকেই চর আগস্তি মুজিব কেল্লা শুভসংঘ স্কুলের চারদিকে উত্সুক মানুষের ভিড়। পূর্ব পাড়া থেকে ঢোল বাজিয়ে নেচে-গেয়ে স্কুলের আঙিনায় জড়ো হয় একদল বাদ্যকার।
শুভসংঘ স্কুলের আলোয় আলোকিত পুরো গ্রাম
সাইমুন রহমান এলিট

গত তিন দশক আগে জেগে ওঠা চরবিশ্বাস ইউনিয়নের পশ্চিম দিকে চর আগস্তি ও চরনজির। প্রায় দেড় দশক ধরে এখানে বসবাস করছে ৪০০ জেলে ও ভূমিহীন কৃষক পরিবার।
গত ২৭ মে শনিবার সকাল ১০টায় গলাচিপা উপজেলার চর আগস্তি মুজিব কেল্লা ‘শুভসংঘ স্কুল’ উদ্বোধন করেন পটুয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদা। অনুষ্ঠানে কালের কণ্ঠ শুভসংঘ চরবিশ্বাস ইউনিয়ন শাখার সভাপতি মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গলাচিপা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ সাহিন, জেলা পরিষদের সদস্য মাইনুল ইসলাম রনো, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা খোকন চন্দ্র দাস, গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ শোণিত কুমার গায়েন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হাজি মজিবুর রহমান, রেজাউল করিম, আজিজুর রহমান বাবলু, সাংগঠনিক সম্পাদক তপন বিশ্বাস, চরবিশ্বাস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জেল হোসাইন, শুভসংঘের উপজেলা শাখার উপদেষ্টা আলমগীর হোসেন, মোফাজ্জেল হোসেন মাসুদ প্রমুখ।
অতিথিরা বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপ দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে। সরকারের সহযোগী হয়ে সমাজ উন্নয়নমূলক নানা কর্মকাণ্ডে শুভসংঘ সব সময়ই এগিয়ে। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে শুভসংঘ স্কুল অনন্য ভূমিকা পালন করবে।
সম্পর্কিত খবর

হার না মানা সুস্মিতা এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ
বসুন্ধরা শুভসংঘ ডেস্ক

বাবা সমর চক্রবর্তী ছিলেন ব্যবসায়ী। তাঁর আয়েই চলত সংসার ও তিন সন্তানের লেখাপড়া। আকস্মিকভাবে তাঁর মৃত্যুতে স্ত্রী লক্ষ্মীরাণী চক্রবর্তী দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে বিপাকে পড়েন। দোকান চালানোর মতো আর কেউ না থাকায় বন্ধ হয়ে যায়।

রাশিদার সন্তানদের লেখাপড়াও চলবে নিশ্চিন্তে
বসুন্ধরা শুভসংঘ ডেস্ক

‘স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে দুই সন্তানকে নিয়ে খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। না পারছি তাদের ঠিকভাবে খাওয়াতে, না পারছি লেখাপড়ার খরচ জোগাড় করতে। এই বিষয়ে কাউকে কিছু না পারছি বলতে, পারছি না সহ্য করতে।’ তিন মাসের প্রশিক্ষণ শেষে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে সেলাই মেশিন পেয়ে এভাবেই অনুভূতি জানাচ্ছিলেন রাশিদা বেগম।

দারিদ্র্য দূর করতে বসুন্ধরা গ্রুপের অনন্য উদ্যোগ
- ফারহান উদ্দিন আহমেদ পাশা, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, বিএনপি কালীগঞ্জ, লালমনিরহাট

গ্রামীণ দরিদ্র নারীদের পাশে দাঁড়ানোর এই মহতী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। বসুন্ধরা গ্রুপ যে চিন্তা থেকে বাংলাদেশের একেবারে শেষ প্রান্তের জেলা লালমনিরহাটের কালীগঞ্জকে বেছে নিয়েছে, তাদের প্রতি অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। পিছিয়ে পড়া এই উপজেলায় অসচ্ছল মানুষ যেমন আছে, তেমনি নদীভাঙন-বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যাও কম নয়। এসব পরিবারের অনেক ছেলেমেয়ে অভাবের কারণে লেখাপড়া করতে পারছে না, নানাভাবে সমাজে লাঞ্ছিত হচ্ছে।

এই নারীরা একদিন সমাজের মডেল হবেন
- মাওলানা রুহুল আমিন, আমির, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কালীগঞ্জ, লালমনিরহাট

আমাদের দেশের শিল্পপতিরা প্রতিদিন নাশতা খেতে বা সামান্য কাজে যত টাকা ব্যয় করেন, তা দিয়ে যদি সাধারণ মানুষের ভালো করার কথা চিন্তা করেন, তাহলে সমাজের জন্য তাঁরা অনেক কিছু করতে পারেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ প্রান্তিক মানুষের জন্য কাজ করেন। তাঁদেরই একজন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। বসুন্ধরা গ্রুপ বা বসুন্ধরা শুভসংঘ ইচ্ছা করলে অসচ্ছল নারীদের বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ শেষে সেলাই মেশিন বিতরণ না করে এই টাকা অন্য কাজে ব্যবহার করতে পারত।