হলরুমে প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী। তাদের মধ্য থেকে হাত তুললেন অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী শাম্মী আক্তার। শাম্মীর একটি প্রশ্ন আছে। অনুমতি দেন র্যাব কমান্ডার আসিফউদদৌলা।
বড় সমস্যার সহজ সমাধান পেল শিক্ষার্থীরা
অমিতাভ দাস হিমুন

র্যাব কমান্ডার আসিফউদদৌলা এর সহজ উত্তর দেন।
শাম্মীর প্রশ্ন শেষ হতে না হতেই হাত তুলে নতুন প্রশ্ন করেন প্রথম বর্ষের জেমি সুলতানা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক নারী বুলিংয়ের শিকার হন। তাঁদের আইডি থেকে ছবি নিয়ে নতুন আইডি খুলে প্রতারণা করে একটি চক্র। এ ছাড়া ছবি এডিট করে বিভিন্ন অশ্লীল গ্রুপ বা পেজে দেয় তারা। এই ছবি দিয়ে করা হয় ব্ল্যাকমেইল। এ সমস্যা নিয়ে প্রশ্ন ছিল শুভসংঘের সদস্য শিমু আক্তারের।
এ ক্ষেত্রে র্যাব কমান্ডারের পরামর্শ ওই ফেক আইডিটি ব্লক করবেন না। ভুয়া আইডিটির কর্মকাণ্ডের স্ক্রিনশট রাখতে হবে, যাতে তাকে খুঁজে বের করতে সহজ হয়। এ বিষয়ে ওই স্ক্রিনশটসহ সব প্রমাণ নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে লিখিতভাবে জানাতে হবে।
এই প্রশ্নের উত্তরগুলো কালের কণ্ঠ শুভসংঘ আয়োজিত ‘সাইবার নিরাপত্তা’ বিষয়ক একটি সেমিনারের। গত ১ আগস্ট সোমবার গাইবান্ধা সরকারি কলেজের সার্বিক সহযোগিতায় শুভসংঘের এই সেমিনারে ৩০০ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, আধুনিক প্রযুক্তির কল্যাণকর দিকটি অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে যথাযথ প্রশিক্ষণ ও জ্ঞান অর্জন না করা গেলে পদে পদে হোঁচট খেতে হবে।
গাইবান্ধা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও জেলা শুভসংঘের সিনিয়র সহসভাপতি উম্মে কুলসুম তালুকদার তুলনার সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন র্যাব-১৩-এর গাইবান্ধার কমান্ডার এএসপি আসিফউদদৌলা, গাইবান্ধা সদর থানার ওসি মাসুদুর রহমান, শুভসংঘের জেলা কমিটির উপদেষ্টা কবি সরোজ দেব, আলোকচিত্র শিল্পী কুদ্দুস আলম, গাইবান্ধা সরকারি কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুর রশিদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের জেলা সম্পাদক আব্দুর রউফ মিয়া, শুভসংঘের জেলা সভাপতি হুমায়ুন আহমেদ বিপ্লব, সহসভাপতি শিমুল হাওলাদার প্রমুখ।
শুরুতে প্রজেক্টরের মাধ্যমে বিষয়ভিত্তিক তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন গাইবান্ধা সরকারি কলেজের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রভাষক শাহরিয়ার রাগিব। অনুষ্ঠান সমন্বয় করেন শুভসংঘের কেন্দ্রীয় সহক্রীড়া সম্পাদক সামিউল ইসলাম সাকিব, শুভসংঘের জেলা সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক, শুভসংঘের বন্ধু দেবী সাহা, জয় কুমার দাস, জান্নাতুল মাওয়া মীম, জুঁই খাতুন তানহা, চয়নিকা আক্তার সীমা, তাহমিদ চৌধুরী, রওশন আলম, ফুয়াদ হাসান, মোরশেদ মারুফ, স্বজন খন্দকার, আহসানিয়া তাসনিম স্নিগ্ধা, তৌফিক মাহমুদ, শরীফুজ্জামান সাগর, আমিনুল ইসলাম আকাশ, সাইদুর রহমান, নাজমুল মোল্লা, আশিকুর রহমান প্রমুখ।
সম্পর্কিত খবর

হার না মানা সুস্মিতা এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ
বসুন্ধরা শুভসংঘ ডেস্ক

বাবা সমর চক্রবর্তী ছিলেন ব্যবসায়ী। তাঁর আয়েই চলত সংসার ও তিন সন্তানের লেখাপড়া। আকস্মিকভাবে তাঁর মৃত্যুতে স্ত্রী লক্ষ্মীরাণী চক্রবর্তী দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে বিপাকে পড়েন। দোকান চালানোর মতো আর কেউ না থাকায় বন্ধ হয়ে যায়।

রাশিদার সন্তানদের লেখাপড়াও চলবে নিশ্চিন্তে
বসুন্ধরা শুভসংঘ ডেস্ক

‘স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে দুই সন্তানকে নিয়ে খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। না পারছি তাদের ঠিকভাবে খাওয়াতে, না পারছি লেখাপড়ার খরচ জোগাড় করতে। এই বিষয়ে কাউকে কিছু না পারছি বলতে, পারছি না সহ্য করতে।’ তিন মাসের প্রশিক্ষণ শেষে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে সেলাই মেশিন পেয়ে এভাবেই অনুভূতি জানাচ্ছিলেন রাশিদা বেগম।

দারিদ্র্য দূর করতে বসুন্ধরা গ্রুপের অনন্য উদ্যোগ
- ফারহান উদ্দিন আহমেদ পাশা, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, বিএনপি কালীগঞ্জ, লালমনিরহাট

গ্রামীণ দরিদ্র নারীদের পাশে দাঁড়ানোর এই মহতী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। বসুন্ধরা গ্রুপ যে চিন্তা থেকে বাংলাদেশের একেবারে শেষ প্রান্তের জেলা লালমনিরহাটের কালীগঞ্জকে বেছে নিয়েছে, তাদের প্রতি অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। পিছিয়ে পড়া এই উপজেলায় অসচ্ছল মানুষ যেমন আছে, তেমনি নদীভাঙন-বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যাও কম নয়। এসব পরিবারের অনেক ছেলেমেয়ে অভাবের কারণে লেখাপড়া করতে পারছে না, নানাভাবে সমাজে লাঞ্ছিত হচ্ছে।

এই নারীরা একদিন সমাজের মডেল হবেন
- মাওলানা রুহুল আমিন, আমির, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কালীগঞ্জ, লালমনিরহাট

আমাদের দেশের শিল্পপতিরা প্রতিদিন নাশতা খেতে বা সামান্য কাজে যত টাকা ব্যয় করেন, তা দিয়ে যদি সাধারণ মানুষের ভালো করার কথা চিন্তা করেন, তাহলে সমাজের জন্য তাঁরা অনেক কিছু করতে পারেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ প্রান্তিক মানুষের জন্য কাজ করেন। তাঁদেরই একজন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। বসুন্ধরা গ্রুপ বা বসুন্ধরা শুভসংঘ ইচ্ছা করলে অসচ্ছল নারীদের বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ শেষে সেলাই মেশিন বিতরণ না করে এই টাকা অন্য কাজে ব্যবহার করতে পারত।