ঢাকা, শুক্রবার ১৮ জুলাই ২০২৫
৩ শ্রাবণ ১৪৩২, ২২ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শুক্রবার ১৮ জুলাই ২০২৫
৩ শ্রাবণ ১৪৩২, ২২ মহররম ১৪৪৭

বড় সমস্যার সহজ সমাধান পেল শিক্ষার্থীরা

অমিতাভ দাস হিমুন
অমিতাভ দাস হিমুন
শেয়ার
বড় সমস্যার সহজ সমাধান পেল শিক্ষার্থীরা
গাইবান্ধা সরকারি কলেজে সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে আয়োজিত সেমিনারে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম

হলরুমে প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী। তাদের মধ্য থেকে হাত তুললেন অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী শাম্মী আক্তার। শাম্মীর একটি প্রশ্ন আছে। অনুমতি দেন র‌্যাব কমান্ডার আসিফউদদৌলা।

কারণ জবাবটিও যে তাঁকে দিতে হবে। শাম্মী বলেন, ‘আমার অ্যানড্রয়েট মোবাইলটি হারিয়ে গেছে। এর মধ্যে আমার ব্যক্তিগত অনেক তথ্য আছে। এখন মোবাইলটি ফিরে পেতে আমার করণীয় কী?’

র‌্যাব কমান্ডার আসিফউদদৌলা এর সহজ উত্তর দেন।

ফোন হারালে দ্রুত আইএমইআই নম্বর নিয়ে র‌্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর কাছে যেতে হবে। কোনো কারণে চোর কিংবা ছিনতাইকারী সেটটিকে দীর্ঘদিন বন্ধ করে রাখতে পারে। তাই ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করলে এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরে খোঁজ রাখলে সেটটি খোলা হলেই তার সন্ধান বের করা সম্ভব।

শাম্মীর প্রশ্ন শেষ হতে না হতেই হাত তুলে নতুন প্রশ্ন করেন প্রথম বর্ষের জেমি সুলতানা।

তাঁর প্রশ্ন, হ্যাকারদের কবল থেকে ফেসবুক বা মেইল আইডি রক্ষায় করণীয় কী? এই প্রশ্নের উত্তরে র‌্যাব কমান্ডার বলেন, আইডি বা পিন একটি ব্যক্তিগত বিষয়। এটি কারো সঙ্গে শেয়ার বা কোথাও লিখে রাখবেন না। পাসওয়ার্ড কঠিন করে দিতে হবে। জন্ম তারিখ, রোল নম্বর বা এমন সহজ কিছু দিয়ে পাসওয়ার্ড দেওয়া যাবে না। এটি হ্যাকারদের জন্য বের করা একটি সহজাত বিষয়।
এ ছাড়া প্রতিটি সেক্টরে আলাদা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করার পরামর্শ দেন তিনি। একই সঙ্গে অবাঞ্ছিত কোনো লিংকে কেউ ঢুকবেন না।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক নারী বুলিংয়ের শিকার হন। তাঁদের আইডি থেকে ছবি নিয়ে নতুন আইডি খুলে প্রতারণা করে একটি চক্র। এ ছাড়া ছবি এডিট করে বিভিন্ন অশ্লীল গ্রুপ বা পেজে দেয় তারা। এই ছবি দিয়ে করা হয় ব্ল্যাকমেইল। এ সমস্যা নিয়ে প্রশ্ন ছিল শুভসংঘের সদস্য শিমু আক্তারের।

এ ক্ষেত্রে র‌্যাব কমান্ডারের পরামর্শ ওই ফেক আইডিটি ব্লক করবেন না। ভুয়া আইডিটির কর্মকাণ্ডের স্ক্রিনশট রাখতে হবে, যাতে তাকে খুঁজে বের করতে সহজ হয়। এ বিষয়ে ওই স্ক্রিনশটসহ সব প্রমাণ নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে লিখিতভাবে জানাতে হবে।

এই প্রশ্নের উত্তরগুলো কালের কণ্ঠ শুভসংঘ আয়োজিত ‘সাইবার নিরাপত্তা’ বিষয়ক একটি সেমিনারের। গত ১ আগস্ট সোমবার গাইবান্ধা সরকারি কলেজের সার্বিক সহযোগিতায় শুভসংঘের এই সেমিনারে ৩০০ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, আধুনিক প্রযুক্তির কল্যাণকর দিকটি অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে যথাযথ প্রশিক্ষণ ও জ্ঞান অর্জন না করা গেলে পদে পদে হোঁচট খেতে হবে। 

গাইবান্ধা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও জেলা শুভসংঘের সিনিয়র সহসভাপতি উম্মে কুলসুম তালুকদার তুলনার সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন র‌্যাব-১৩-এর গাইবান্ধার কমান্ডার এএসপি আসিফউদদৌলা, গাইবান্ধা সদর থানার ওসি মাসুদুর রহমান, শুভসংঘের জেলা কমিটির উপদেষ্টা কবি সরোজ দেব, আলোকচিত্র শিল্পী কুদ্দুস আলম, গাইবান্ধা সরকারি কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুর রশিদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের জেলা সম্পাদক আব্দুর রউফ মিয়া, শুভসংঘের জেলা সভাপতি হুমায়ুন আহমেদ বিপ্লব, সহসভাপতি শিমুল হাওলাদার প্রমুখ।

শুরুতে প্রজেক্টরের মাধ্যমে বিষয়ভিত্তিক তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন গাইবান্ধা সরকারি কলেজের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রভাষক শাহরিয়ার রাগিব। অনুষ্ঠান সমন্বয় করেন শুভসংঘের কেন্দ্রীয় সহক্রীড়া সম্পাদক সামিউল ইসলাম সাকিব, শুভসংঘের জেলা সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক, শুভসংঘের বন্ধু দেবী সাহা, জয় কুমার দাস, জান্নাতুল মাওয়া মীম, জুঁই খাতুন তানহা, চয়নিকা আক্তার সীমা, তাহমিদ চৌধুরী, রওশন আলম, ফুয়াদ হাসান, মোরশেদ মারুফ, স্বজন খন্দকার, আহসানিয়া তাসনিম স্নিগ্ধা, তৌফিক মাহমুদ, শরীফুজ্জামান সাগর, আমিনুল ইসলাম আকাশ, সাইদুর রহমান, নাজমুল মোল্লা, আশিকুর রহমান প্রমুখ।

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

হার না মানা সুস্মিতা এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ

বসুন্ধরা শুভসংঘ ডেস্ক
বসুন্ধরা শুভসংঘ ডেস্ক
শেয়ার
হার না মানা সুস্মিতা এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ

বাবা সমর চক্রবর্তী ছিলেন ব্যবসায়ী। তাঁর আয়েই চলত সংসার ও তিন সন্তানের লেখাপড়া। আকস্মিকভাবে তাঁর মৃত্যুতে স্ত্রী লক্ষ্মীরাণী চক্রবর্তী দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে বিপাকে পড়েন। দোকান চালানোর মতো আর কেউ না থাকায় বন্ধ হয়ে যায়।

সেই দোকান ভাড়া দিয়ে সামান্য যে টাকা পাওয়া যেত, তা দিয়ে কোনো রকমে চলার চেষ্টা করে পরিবারটি। অনটনের কারণে একসময় পড়ালেখা ছাড়িয়ে বড় মেয়েকে অনেক কষ্টে বিয়ে দেন। কিন্তু হাল ছাড়েননি মেজো মেয়ে সুস্মিতা চক্রবর্তী। বাবা যখন মারা যান, তখন তিনি পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
বাড়ি লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার বৈরাতী গ্রামে। শত অভাব-অনটনের মধ্যেও লেখাপড়া চালিয়ে যান তিনি। দশম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় সুস্মিতা প্রাইভেট পড়িয়ে কিছু আয় করার চেষ্টা শুরু করেন। সেটি আজও চালিয়ে যাচ্ছেন।
এখন স্থানীয় একটি কলেজে হিসাববিজ্ঞান বিভাগে অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী সুস্মিতা। নিজের লেখাপড়া আর প্রাইভেট পড়ানোর মধ্যেই থেমে থাকেননি তিনি। কয়েক বছর থেকে বিভিন্ন পণ্য নিজে বানিয়ে অনলাইনে বিক্রির চেষ্টা করছেন। এসব পণ্যের অনেকগুলো আবার সেলাইসংক্রান্ত। কাজের পাশাপাশি ছোট ভাইকেও লেখাপড়া করাচ্ছেন।
ভাইটি এবার এইচএসসি দিচ্ছে। সুস্মিতার ভাষ্য, বাবার মৃত্যুতে অনেকটাই ভেঙে পড়েছিলাম। আমার প্রবল চেষ্টা ও আগ্রহ ছিল। তাই আমি কখনো হতাশ হয়ে পড়িনি। কষ্ট করে হলেও নিজের লেখাপড়া চালিয়ে নিচ্ছি, ছোট ভাইটিকে পড়াচ্ছি, মায়ের সংসারেও সাহায্য করার চেষ্টা করছি। একটি সেলাই মেশিনের অভাব দীর্ঘদিন ধরে অনুভব করছিলেন তিনি। সুস্মিতা বলেন, আমি অনলাইনে বিক্রির জন্য যেসব কাজ করি, সেগুলো অনেকটাই সেলাই রিলেটেড। এই মেশিনের মাধ্যমে আমি এখন থেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এটি দিয়ে আমি আমার আয় আরো অনেক বাড়াতে পারব, যা দিয়ে ছোট ভাইসহ নিজের লেখাপড়া চলবে। পরিবারকেও এগিয়ে নিতে পারব। বসুন্ধরা গ্রুপ ও শুভসংঘের প্রতি আমি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব।

 

মন্তব্য

রাশিদার সন্তানদের লেখাপড়াও চলবে নিশ্চিন্তে

বসুন্ধরা শুভসংঘ ডেস্ক
বসুন্ধরা শুভসংঘ ডেস্ক
শেয়ার
রাশিদার সন্তানদের লেখাপড়াও চলবে নিশ্চিন্তে

স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে দুই সন্তানকে নিয়ে খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। না পারছি তাদের ঠিকভাবে খাওয়াতে, না পারছি লেখাপড়ার খরচ জোগাড় করতে। এই বিষয়ে কাউকে কিছু না পারছি বলতে, পারছি না সহ্য করতে। তিন মাসের প্রশিক্ষণ শেষে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে সেলাই মেশিন পেয়ে এভাবেই অনুভূতি জানাচ্ছিলেন রাশিদা বেগম।

তাঁর দুচোখ দিয়ে ততক্ষণে গড়িয়ে পড়ছে পানি। লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার প্রয়াত এন্তাজ আলীর স্ত্রী রাশিদা। তাঁর ছেলে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। মেয়ে পড়েন অনার্সে।
স্বামী বেঁচে থাকতেই বড় মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। কালীগঞ্জ বাজারে ছোট্ট একটি চায়ের দোকান করতেন তাঁর স্বামী। দুই বছর আগে তিনি মারা গেলে পরিবারটি বিপাকে পড়ে। খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাতে হয়।
বাধ্য হয়ে ছোট ছেলেটি পড়ালেখার পাশাপাশি বাবার বন্ধ হয়ে যাওয়া দোকানের হাল ধরে। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত দোকান চালিয়ে যা আয় হয়, তা দিয়ে সংসার চালায়। ছেলের এসএসসি পরীক্ষার কারণে প্রায় পাঁচ মাস দোকান বন্ধ রেখেছিলেন রাশিদা। সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। একটি বিকল্প আয়ের পথ খুঁজছিলেন।
তাঁকে সেই পথ দেখাল বসুন্ধরা শুভসংঘ। বিনামূল্যে তিন মাসের সেলাই প্রশিক্ষণ শেষে তিনি পেয়েছেন বসুন্ধরা গ্রুপের উপহার। এটি শুধুই একটি মেশিন নয়, তাঁর কাছে যেন বাঁচার অবলম্বন। বিধবা এই নারী বলেন, সেলাইয়ের কাজ জানতাম না, ছিল না মেশিনও। এখন দুটিই দিল বসুন্ধরা। এই মেশিন চালিয়ে আয় করার সব চেষ্টা করব, যাতে সন্তানদের খাওয়াতে পারি, লেখাপড়া করাতে পারি। যারা আমাকে এই পথ দেখিয়েছে, তাদের জন্য মন থেকে দোয়া করব।

মন্তব্য

দারিদ্র্য দূর করতে বসুন্ধরা গ্রুপের অনন্য উদ্যোগ

    ফারহান উদ্দিন আহমেদ পাশা, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, বিএনপি কালীগঞ্জ, লালমনিরহাট
শেয়ার
দারিদ্র্য দূর করতে বসুন্ধরা গ্রুপের অনন্য উদ্যোগ

গ্রামীণ দরিদ্র নারীদের পাশে দাঁড়ানোর এই মহতী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। বসুন্ধরা গ্রুপ যে চিন্তা থেকে বাংলাদেশের একেবারে শেষ প্রান্তের জেলা লালমনিরহাটের কালীগঞ্জকে বেছে নিয়েছে, তাদের প্রতি অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। পিছিয়ে পড়া এই উপজেলায় অসচ্ছল মানুষ যেমন আছে, তেমনি নদীভাঙন-বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যাও কম নয়। এসব পরিবারের অনেক ছেলেমেয়ে অভাবের কারণে লেখাপড়া করতে পারছে না, নানাভাবে সমাজে লাঞ্ছিত হচ্ছে।

সেই দিক চিন্তা করে দেশের প্রতিষ্ঠিত শিল্পপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ তাদের সামাজিক সংগঠন শুভসংঘের মাধ্যমে এখানকার যে উপকারভোগীদের বাছাই করেছে, এরপর তিন মাস ধরে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দিয়েছেএটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। সমাজের পিছিয়ে পড়া অসচ্ছল এসব নারী এখন থেকে বাড়িতে বেকার সময় না কাটিয়ে রোজগার করে দুবেলা ঠিকভাবে খেতে পারবেন। উন্নতি করতে পারবেন সংসারের। লেখাপড়া করিয়ে মানুষের মতো মানুষ করতে পারবেন সন্তানদের।
ফলে এই পরিবারগুলোর এগিয়ে যাওয়ার সুফল পাবে আমাদের সমাজ, আমাদের দেশ। একসময় স্বাবলম্বী এসব নারীকে দেখে পিছিয়ে পড়া অন্য নারীরাও আশাবাদী হবেন, সন্ধান পাবেন নতুন পথের। সেলাই মেশিন হাতে পাওয়া এই নারীদের হাত ধরে একদিন আরো অনেকে স্বাবলম্বী হবেন। সচ্ছলতা ফিরবে তাঁদের পরিবারে।
মেশিনপ্রাপ্ত কোনো শিক্ষার্থী যেমন নিজের লেখাপড়ার খরচ নিজেই এখন থেকে জোগাতে পারবেন, তেমনি কোনো নারী হয়তো সংসারের নানা কাজের পাশাপাশি ঘরে বসে আয়ের মাধ্যমে স্বামীকে সাহায্য করতে পারবেন। স্থায়ীভাবে সমাজ থেকে দারিদ্র্য দূর করতে বসুন্ধরার এটি একটি অনন্য উদ্যোগ।

 

 

মন্তব্য

এই নারীরা একদিন সমাজের মডেল হবেন

    মাওলানা রুহুল আমিন, আমির, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কালীগঞ্জ, লালমনিরহাট
শেয়ার
এই নারীরা একদিন সমাজের মডেল হবেন

আমাদের দেশের শিল্পপতিরা প্রতিদিন নাশতা খেতে বা সামান্য কাজে যত টাকা ব্যয় করেন, তা দিয়ে যদি সাধারণ মানুষের ভালো করার কথা চিন্তা করেন, তাহলে সমাজের জন্য তাঁরা অনেক কিছু করতে পারেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ প্রান্তিক মানুষের জন্য কাজ করেন। তাঁদেরই একজন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। বসুন্ধরা গ্রুপ বা বসুন্ধরা শুভসংঘ ইচ্ছা করলে অসচ্ছল নারীদের বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ শেষে সেলাই মেশিন বিতরণ না করে এই টাকা অন্য কাজে ব্যবহার করতে পারত।

কিন্তু তারা সেটি না করে প্রান্তিক-দরিদ্র নারীদের কথা চিন্তা করে এই মহতী আয়োজন করেছেন। এ জন্য তাদের সাধুবাদ জানাই। ইসলামে নারীদের খাটো করে দেখা হয়নি। সমাজেও অর্ধেক নারী ও অর্ধেক পুরুষ।
ফলে তাঁদের বাদ দিয়ে সমাজের উন্নয়ন আশা করা যায় না। নারীদের বাদ দিয়ে কোনো উন্নয়নই আশা করা যায় না। আজকে যাঁরা মেশিন পেলেন, তাঁরা সংসারের কাজ শেষে যদি সেলাইয়ের কাজ করেন, তবে তাঁদের সংসারে অনেক উন্নতি হবে। আপনারা একদিন মডেল হবেন, আপনাদের দেখে সমাজের আর দশজন মা-বোন বেঁচে থাকার পথ পাবেন।
অসচ্ছল নারীদের পাশে দাঁড়িয়ে বসুন্ধরা গ্রুপ যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, সে জন্য তাদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। তারা দেশের উন্নয়নের জন্য, দেশের মানুষের উন্নতির জন্য যে কাজগুলো করে যাচ্ছে, সেটি অন্যদের জন্য অনুকরণীয় হতে পারে। আশা করি, বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তা নিয়ে বসুন্ধরা শুভসংঘ দেশজুড়ে নানা সামাজিক কাজ অব্যাহত রাখবে।

 

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ